‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী। দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার প্রধান হাতিয়ার তারুণ্য। তরুণরা চাইলেই পারে সমাজকে বদলে দিতে। এজন্য দরকার তাদের চিন্তা ও মেধার সমন্বয়। চীন ও বাংলাদেশের তরুণদের অফুরান সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবো এই অনুষ্ঠানে। তরুণদের সৃজনশীলতার গল্পগাঁথা নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের তারুণ্যের অগ্রযাত্রা।
১. বিজ্ঞানে চীনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সাক্ষী শাংহাই যুব উদ্ভাবক সম্মেলন
শাংহাইয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান টি সম্মেলনে তরুণ চীনারা তাদের উদ্ভাবন এবং পরীক্ষামূলক ফলাফল প্রদর্শন করেন।
টি বলতে মূলত টিনেজার বা কিশোরদের বুঝালেও এই আয়োজনটি ছিলো ৩০ বছরের কম বয়সী প্রতিশ্রুতিশীল তরুণদের নিয়ে। ইভেন্টের ষষ্ঠ সংস্করণে এই তরুণরা নতুন প্রজন্মের সম্ভাবনা উন্মোচনে বিভিন্ন ধারণা বিনিময় ও সহযোগিতা করেন।
এই তরুণ প্রতিভা প্রদর্শনীর মধ্যে, কেউ কেউ একটি মডেল-ভিত্তিক মঙ্গল তৈরি করার চেষ্টা করেন এবং অন্যরা কোভিড ১৯ পরীক্ষার কিটগুলোর যথার্থতা পরীক্ষা করেন।
তরুণদের বিভিন্ন দলে ভাগ করে তাদেরকে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক আলোচ্য বিষয় দেওয়া হয়, যাতে এই গতিশীল শিক্ষার পরিবেশে তারা একসঙ্গে সেগুলোর সমস্যা সমাধান করতে পারেন।
ডিজিটাল জগতের বাসিন্দা হিসেবে বেড়ে ওঠা একটি প্রজন্মের জন্য সামনাসামনি শিক্ষা এবং যোগাযোগে দক্ষতা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান হুনান ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র নি চিয়াচৌ।
"এটি অনলাইন চ্যাটিংয়ের চেয়ে ভাল কারণ আমরা সামনাসামনি যোগাযোগ করতে পারি এবং আমি বোর্ডে কিছু লিখতে পারি। আমরা নতুন কিছু খুঁজে পেতে পারি।"
চীনা তরুণদের উদ্ভাবন দেখে মুগ্ধ কুইন্স ইউনিভার্সিটির রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক জি জেসপ জানান, এই প্রতিভাবান তরুণদের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
"স্কুল-স্কুলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আমার ভালো লাগে। তরুণরাই জাতির ভবিষ্যত এবং তারা আমাদের সমাজকে আমার প্রজন্মের চেয়ে ভাল করে তুলবে।’
২০২৩ সালের WLA পুরস্কার বিজয়ী কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও জৈব রসায়নের অধ্যাপক ক্যারোলিন লুগার বলেন,
"আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। সম্মেলনে একটি ছাত্র ফোরাম ছিল এবং তারা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে খুব সক্রিয় ছিল এবং তারা খুব ভাল প্রশ্ন করে। আমি মনে করি, চীনা বিজ্ঞানের ভবিষ্যত খুব উজ্জ্বল।"
এই সম্মেলনে অনেক তরুণ-বিজ্ঞানী তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনের কথা তুলে ধরেন।
প্রতিবেদন : রওজায়ে জাবিদা ঐশী
সম্পাদক : মাহমুদ হাশিম
২. চীন বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ: বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এইচ এম শাখাওয়াত চীনের সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স করছেন। এর আগে হুনানের ছাংশা ইউনিভার্সিটি অব সাইয়েন্স এন্ড টেকনোলজি থেকে স্নাতক ডিগ্রি শেষ করেন। গবেষণামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম ছাড়াও তারুণ্য নির্ভর সাংগঠনিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন এই শিক্ষার্থী।
এইচ এম শাখাওয়াতকে আমরা তারুণ্যের অগ্রযাত্রার এই পর্বে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি অনলাইনে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তার শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও চিন্তা ভাবনা শেয়ার করেছেন।
‘শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা দরকার।শিক্ষা ব্যবস্থাকে সহজলভ্য করলে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে। আমি মনে করি, শিক্ষাকে সবার আগে রাখা উচিৎ।’
‘তরুণরা দেশের চলার শক্তি, একটি দেশ সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সুশিক্ষিত মানুষ দরকার, যেনো তারা সবধরনের দুর্নীতি থেকে দেশকে রক্ষা করে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।’
সাক্ষাৎকার গ্রহণঃ রওজায়ে জাবিদা ঐশী
আমাদের ‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ আজ এই পর্যন্তই। পরবর্তী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভকামনা সবার জন্য। আল্লাহ হাফেজ।
পরিকল্পনা ,পরিচালনা ও সঞ্চালনা : রওজায়ে জাবিদা ঐশী
অডিও সম্পাদনা: রফিক বিপুল
সার্বিক সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী