নভেম্বর ১৫: ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় চীনের জাতীয় পারফর্মিং আর্ট কেন্দ্রে ‘বন্ধুত্বের ৫০ বছর-ফিলাডেলফিয়া অর্কেস্ট্রার ১৯৭৩ সালে চীন সফরের বিশেষ বার্ষিকী কনসার্ট’ আয়োজন করা হয়। কনসার্ট-টি ফিলাডেলফিয়া অর্কেস্ট্রা ও চীনের জাতীয় সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার যৌথ পরিবেশনা।
সম্প্রতি, মার্কিন ফিলাডেলফিয়া অর্কেস্ট্রার প্রধান মা সি ইকে দেওয়া এক জবাবি চিঠিতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জানান, ১৯৭৩ সালে ফিলাডেলফিয়া অর্কেস্ট্রা প্রথমবার চীন সফর করেছিল। ঘটনাটির স্মরণে ফিলাডেলফিয়া অর্কেস্ট্রা নভেম্বরে ১৩তম দফায় চীন সফর করবে এবং চীনের সঙ্গে ধারাবাহিক পরিবেশনা ও বিনিময় কার্যক্রম চালাবে। এ খবরে তিনি আন্তরিক আনন্দ বোধ করেন।
১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরে, ফিলাডেলফিয়া অর্কেস্ট্রা প্রথমবার চীন সফর করে। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর, ফিলাডেলফিয়া অর্কেস্ট্রা হলো চীন সফরকারী প্রথম মার্কিন অর্কেস্ট্রা দল। টেবিল টেনিস কূটনীতির পর এবারের ‘সংগীত কূটনীতি’ চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।
জবাবি চিঠিতে, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেন, ৫০ বছর পর ফিলাডেলফিয়া অর্কেস্ট্রা, চীনের অর্কেস্ট্রা ও একাধিক দেশের শিল্পী একযোগে চীনে পরিবেশনা করেন। তা অবশ্যই ইতিহাসে লেখা থাকবে।
বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ ও বৃহত্তম উন্নত দেশ হিসেবে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক হচ্ছে বহুমাত্রিক ও বহুমুখী। দু’দেশের বিনিময় ও আদানপ্রদানও একটি বড় দেশের ‘সামঞ্জস্য’।
তা কিভাবে আরও সুরেলা ও সুন্দর হতে পারে? তা দু’দেশের জনগণের অভিন্ন প্রত্যাশা। এর উপর বিশ্ববাসী নজর রাখছে।
সম্প্রতি, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিনিময় উন্নত হয়েছে।
পঞ্চম চীন-যুক্তরাষ্ট্র সিস্টার সিটি সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা হয়, মার্কিন ‘ফ্লাইং টাইগার্স’- জাপানের আগ্রাসী যুদ্ধে চীনা বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়ার ঘটনা- চীন-মার্কিন সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।
জুন মাস থেকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলে, বাণিজ্যমন্ত্রী গিনা রেইমন্ডো-সহ একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা চীন সফর করেছিলেন।
পাশাপাশি, চীন-মার্কিন আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতাও উন্নত হচ্ছে। এ বছরের চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় অংশগ্রহণ করা মার্কিন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পরিমাণ দু’শ ছাড়িয়ে গেছে। যা একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
বাস্তবতা প্রমাণ করেছে যে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার প্রাণশক্তি বেশ শক্তিশালী এবং বেসরকারি পর্যায়ের বিনিময়ের ভিত্তি অনেক মজবুত।
অবশ্যই, প্রতিযোগিতা দু’দেশের সম্পর্কের একটি অংশ। এ নিয়ে এক বছর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বালি দ্বীপে বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেছিলেন, বিশ্বে সবসময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে। তবে, এতে একে অপরের শিক্ষা ও একযোগে অগ্রগতি হওয়া উচিত। একপক্ষ পরাজিত হবে, অন্য পক্ষ জয়ী হবে- এমন হওয়া উচিত নয়।
প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সুরেলা সমন্বয় বাস্তবায়ন সম্ভব।
বালি দ্বীপ বৈঠকের পর, চীন-মার্কিন সম্পর্ক উন্নত হয়েছে। তা বাস্তবায়ন করা সহজ কাজ নয়। সানফ্রান্সিসকোর এ সময়ে আমাদের উচিত একসাথে চীন-মার্কিন সম্পর্কের স্থিতিশীল ও সুষ্ঠু উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া।
(আকাশ/তৌহিদ)