রোববারের আলাপন- চীনের ‘ডবল ইলেভেন’ অনলাইন কেনাকাটা উৎসব
2023-11-12 06:36:36

আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আকাশ...

 

আকাশ: ভাই, এ মাসের এগারো তারিখ একটি বিশেষ দিবস হবে, আপনি কি জানান, সেটা কি?

তৌহিদ: জানি না।

আকাশ: আপনি ওইদিনের তারিখ একটু দেখুন। এখন বুঝতে পারেন?

তৌহিদ: উম..... ১১ই নভেম্বর, এর মানে কি?

আকাশ: ১১,১১, চারটি ১, অর্থ অনুমান করুন। 

তৌহিদ: আপনি বলুন।

আকাশ: আমি আপনাকে একটি tip দেই। বৌ বা মেয়েবন্ধু থাকলে মানে দু’জন, আর যদি ব্যাচেলর হয়, তাহলে এক জন, একা মানুষ, তাইনা?

তৌহিদ: হ্যাঁ, তাহলে ১১,১১ মানে চারজন ব্যাচেলর!

আকাশ: আপনি ঠিক বলেছেন, এত বেশি ব্যাচেলর, এজন্য সেদিনটি হলো ব্যাচেলর দিবস!

তৌহিদ: সত্যি! হাহা, আপনি নিশ্চয়ই মজা করছেন, তাইনা?

আকাশ: না না... সত্যিই সেদিন চীনের ব্যাচেলর দিবস!

তৌহিদ: হাহা, কি মজা!

আকাশ: আরো মজা আছে, প্রথম এ দিবস শুরু হওয়ার পর শুধু ব্যাচেলররা একসাথে মিলিত হয়ে ডিনার খায়। আর তাদের মেয়েবন্ধু বা ছেলেবন্ধু না থাকার কারণে এদিন তারা অনলাইনে শপিং করেন। এজন্য অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট, যেমন- থাওপাও, জিনতুং এদিন বড় ডিসকাউন্ট দেয়। এ জন্য এ দিনটি অনলাইন শপিং দিবসও হয়ে গেছে।


তৌহিদ: সত্যি? এতো দারুণ মজা।

আকাশ: বন্ধুরা, ২০২২ সালে চীনে এই কেনাকাটা দিবসে, অনলাইনে বিক্রির পরিমাণ ৫৫৭.১ বিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে যায়। যা ২০২১ সালের  একই সময়ের চেয়ে ৮.৪৫ শতাংশ বেশি। তৌহিদ ভাই, আপনি গত বছরের এ দিনে কেনাকাটা করেছেন? 

তৌহিদ: আসলে, সবসময়ই অনলাইনে কিনি।

আকাশ: আপনার চীনের অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা আমাদের বলুন।

তৌহিদ: 


আকাশ: ভাই, আমি উত্তরা থাকার সময়ে অনলাইন কেনাকাটা করিনি। কিন্তু এখন এ খাতটি অবশ্যই বাংলাদেশে অনেক উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশে এখন এ খাতে কি অবস্থা?

তৌহিদ: 

আকাশ: আশা করি, এ ধরনের নতুন ব্যবস্থা আমাদের জন্য আরও বেশি সুবিধা দেবে।

সংগীত


বন্ধুরা, নভেম্বর ৭, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে সহায়ক সামগ্রী হস্তান্তর করেছে চীন। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালিক এবং অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চীন ও বাংলাদেশের কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারি সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। এ বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ডেঙ্গু মহামারী আঘাত হেনেছে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে, চীনের জরুরি মহামারী প্রতিরোধক সামগ্রী দ্রুত বাংলাদেশে পৌঁছেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, চীন ও বাংলাদেশের জনগণ যৌথভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে অবশ্যই জয়ী হবে। চীন স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা জোরদার করা এবং দু’দেশের জনগণের জন্য আরও বাস্তব কল্যাণ বয়ে আনতে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায়।


মন্ত্রী মালিক বলেন, মহামারী প্রতিরোধের উপকরণ দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, চীন সরকার এবং চীনা জনগণের গভীর বন্ধুত্ব প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলাদেশ এতে মুগ্ধ এবং দ্রুত মহামারী নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবে।


ভাই, চলতি বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ডেঙ্গু মহামারী আঘাত হেনেছে। এতে আমি মনে অনেক কষ্ট পেয়েছি এবং আমি খুব চিন্তিত। কিভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যায়? এবং কিভাবে চিকিৎসা করা যেতে পারে? আপনি আমাদের বাংলাদেশের বন্ধুদের কিছু পরামর্শ দিতে পারবেন কি?

তৌহিদ:.... কিছু সাধারণ নিয়ম মানা উচিত

ঘিঞ্জি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় না থাকার চেষ্টা করুন,

বাড়িতে মশারি, মশা তাড়ানোর ঔষধ ব্যবহার করুন,

বাইরে যাওয়ার সময় ফুলহাতা জামা ব্যবহার করুন,

মোজা পরুন,

জানালায় নেট লাগান অথবা দরজা জানালা বন্ধ করে রাখুন,

এয়ারকন্ডিশন থাকলে ব্যবহার করুন,

ডেঙ্গুর লক্ষণ থাকলে ডাক্তার দেখান।

মনে রাখবেন, সাধারণত দিনের বেলা ও সন্ধ্যার সময় ডেঙ্গু মশা কামড়ায়।


 (আকাশ/তৌহিদ)