তিব্বতে ভ্রমণের কৌশল
2023-11-08 15:53:30

এ অনুষ্ঠানে আমরা পালাক্রমে সিনচিয়াং ও তিব্বতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি, এর মাধ্যমে শ্রোতারা চীনের সুন্দর সিনচিয়াং ও সুন্দর তিব্বত সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাচ্ছেন। তাহলে দেরি না করে শুরু করি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান। আজকে আমরা তিব্বত নিয়ে কথা বলব।

 

গ্রীষ্মকাল তিব্বত ভ্রমণের সর্বোত্তম সময়। কারণ, এ সময়ে তিব্বতের আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে ভালো। এ সময় তাপমাত্রা থাকে সহনীয় পর্যায়ে।

 

আবহাওয়া ওভারভিউ

গ্রীষ্মকালে, তিব্বতে গড় তাপমাত্রা থাকে প্রায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ও সন্ধ্যায় এবং বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরও কমে দাঁড়ায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।

 

ড্রেসিং গাইড

এ সময় তিব্বত ভ্রমণে এলে অল্প পরিমাণে গ্রীষ্মের পোশাক, এবং বসন্ত ও শরতে পরার উপযোগী জামাকাপড় আনা উচিত। বাইরে যাওয়ার সময় আপনি লম্বা স্কার্ট ও জ্যাকেট পরতে পারেন। এতে আপনার ঠান্ডা লাগবে না।

 

ভ্রমণের সময়সূচী

তিব্বত ভ্রমণ সহজ কাজ নয়। তিব্বতের সুন্দর সুন্দর দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে বেশি সময় নিয়ে সেখানে যেতে হবে। অন্তত ৭ দিন থাকলে আপনি তিব্বতের সৌন্দর্য ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন।

 

আসুন, এই সম্ভাব্য ৭ দিন আপনি কী কী করতে পারেন, তা জানিয়ে দিই।

 

দিন ১: লাসায় পৌঁছানোর পরে, হোটেলে চেকইন করুন। তিব্বতের পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে আপনি হোটেলে বিশ্রাম নিতে পারেন। আপনি যদি দ্রুত খাপ খাইয়ে নেন, তবে চারপাশে কেনাকাটা করতে যেতে পারেন এবং লাসার বৈশিষ্ট্যগুলো অনুভব করতে পারেন।

 

দিন ২:  প্রথমে পোতালা প্রাসাদে যান, তারপর তিব্বতি পোশাকের ছবি তোলার জন্য বালাং স্ট্রিটে যান।

 

দিন ৩: লাসা থেকে রওনা হন এবং কুশুই, ইয়ামড্রোক ইউমকুও, করোলা হিমবাহ, গিয়ানতসে এবং শিগাতসে যান।

 

দিন ৪: শিগাতসে থেকে রওনা হয়ে লাজি, কংমা প্রেইরি, কিয়াওমু ইয়ংকিং, কিলিন গর্জ, ডিংজি ওয়েটল্যান্ড, রিমানা স্নো মাউন্টেন এবং মাউন্ট এভারেস্টে যান।

 

দিন ৫: এভারেস্ট বেস ক্যাম্প, উলা পাস, টিংরি যান এবং তারপরে শিগাতসে ফিরে আসুন।

 

দিন ৬: শিগাতসে, তাশিলহুনপো মঠে যান এবং তারপর লাসায় ফিরে যান।

 

দিন ৭: আপনি স্বাভাবিকভাবে জেগে ওঠা পর্যন্ত ঘুমান, আপনার লাগেজ প্যাক করুন এবং বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিন।

 

আরও কিছু পরামর্শ

১. তিব্বতে অতিবেগুনী রশ্মি খুব শক্তিশালী। শীতল তাপমাত্রা দ্বারা প্রতারিত হবেন না। আপনি যখনই বাইরে যাবেন তখন সর্বদা সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

২. তিব্বতিরা খুব অতিথিপরায়ণ, কিন্তু অনুমতি ছাড়া ছবি তুলবেন না বা শিশুদের মাথা স্পর্শ করবেন না। এটা খুবই অসভ্যতার কাজ তাদের দৃষ্টিতে এবং এতে সহজে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে।

 

৩. উচ্চতার কারণে অসুস্থতা অনুভব করলেই অক্সিজেন নিতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। অধিকাংশ সময় শরীর তা মানিয়ে নেয়। তবে, যদি কোনো অস্বস্তি বোধ করেন, তবে আপনাকে অবশ্যই চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে হবে।

 

৪. দূরে কোনো জায়গায় যেতে হলে আপনাকে আগে গাড়ি ভাড়া করতে হবে।

 

তিব্বত ভ্রমণের আগে অনেকগুলো বিষয় আগে থেকে পরিকল্পনা করা দরকার এবং অনেকগুলো জিনিসের দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার। আপনি তিব্বতে যেতে চাইলে, আরও বেশি প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে পারেন। আপনি একটি পেশাদার ট্রাভেল এজেন্সি বেছে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি অনেক ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকবেন।

 

প্রিয় শ্রোতা, আমাদের হাতে আর সময় নেই। আজকে এখানেই শেষ করতে হচ্ছে। আজকের ‘সিনচিয়াং থেকে তিব্বত’ এ পর্যন্তই। তবে, আগামী সপ্তাহে আমরা আবার আপনাদের সামনে হাজির হবো সিনচিয়াং ও তিব্বতের কোনো গল্প বা তথ্যভান্ডার নিয়ে। আপনারা আমাদের লিখুন। আমাদের ইমেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn  আমাদের ওয়েবসাইটেও আপনারা অনুষ্ঠান শুনতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানা:  https://bengali.cri.cn/  সবাই ভাল থাকুন, সুন্দর থাকুন। (উর্মী/আলিম)