ষষ্ঠ চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা ও পাঁচটি প্রধান অতিথি-দেশ
2023-11-07 11:25:17

অক্টোবর ৭: ষষ্ঠ চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় ভিয়েতনাম, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাজাখস্তান, সার্বিয়া ও হন্ডুরাস প্রধান অতিথি-দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করছে। মেলায় দেশ-প্যাভিলিয়নগুলোতে বিভিন্ন দেশ নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যের পণ্য ও পরিষেবা নিয়ে হাজির হয়েছে। উন্মুক্তকরণ ও সহযোগিতামূলক উদ্ভাবনের মাধ্যমে অভিন্ন কল্যাণ লাভের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করছে দেশগুলো।

সার্বিয়া টানা ৫ বার আমদানি মেলায় এবং তিন বার দেশ-প্যাভিলিয়ন প্রদর্শনে অংশগ্রহণ করছে। এবারের মেলায় সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বড় প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছে। ষষ্ঠবার আমদানি মেলায় অংশগ্রহণের অনুভূতি প্রসঙ্গে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনা ব্রনাবিচ বলেন,

“প্রথমত: আমি বলতে চাই যে, চীনে আসতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। এটি আমার দ্বিতীয়বারের মতো শাংহাই সফর। আমরা চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছি। গত দশ বছরে চীনে সার্বিয়ার রপ্তানির পরিমাণ ১৮৫ গুণ বেড়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, চীন ও চীনা বাজার বিদেশীদের জন্য অনেক উন্মুক্ত হয়েছে। এবারের মেলায় সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদী আমরা।”

দক্ষিণ আফ্রিকা টানা ৫ বার আমদানি মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির খাদ্যপণ্য চীনা ভোক্তাদের টেবিল পর্যন্ত পৌঁছেছে। চীনে দক্ষিণ আফ্রিকার বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পণ্যের রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে আমদানি মেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার ভাইস-প্রেসিডেন্ট পল মাশাটাইল  দেশ-প্যাভিলিয়ন উদ্বোধনের সময় বলেন,“চীনে আছে অনেক সুযোগ। চীনা ব্যবসায়ীরা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার সুযোগ পাচ্ছে। আমরা হাতে হাত মিলিয়ে দু’দেশের বাণিজ্য জোরদার করতে পারি। দক্ষিণ আফ্রিকা ও চীনের দীর্ঘকালীন বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরে, চীনের সঙ্গে অনেক সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চীনের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বাণিজ্যের পরিমাণ ৬১ হাজার ৪শ কোটি র‍্যান্ড ছাড়িয়েছে এবং তা অব্যাহতভাবে বাড়ছে।”

কাজাখস্তান দ্বিতীয় বারের মতো প্রধান অতিথি-দেশ হিসেবে এ মেলায় অংশগ্রহণ করছে। চলতি বছর ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের দশম বার্ষিকীকে বিবেচনায় রেখে দেশটির প্যাভিলিয়নের ছাদ নির্মিত হয়েছে ঢেউয়ের আকৃতিতে, যার মানে ‘উন্নয়নের পথ”।  এর মধ্য দিয়ে ৫টি খাতে কাজাখস্তানের উন্নয়নের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়।

ভিয়েতনাম ‘ভিয়েতনাম-চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্যিক অঞ্চলের জানালা’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে, দেশটির উন্নয়নের সাফল্য এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তুলে ধরেছে। আমদানি মেলার প্ল্যাটফর্ম কাজে লাগিয়ে পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে, এবং পর্যটন খাতকে চাঙ্গা করতে আগ্রহী দেশটি।

পুরানো বন্ধুদের পাশাপাশি নতুন বন্ধুরাও এ মেলায় যোগ দিচ্ছে। চলতি বছর হন্ডুরাস প্রথমবারের মতো আমদানি মেলায় অংশ নিচ্ছে। দর্শকদের সামনে নিজের সমৃদ্ধ পর্যটনসম্পদ, পুরাকীর্তি, প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং বিষ্ময়কর অভিজ্ঞতা তুলে ধরছে হন্ডুরাস।

মেলা অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে পর্যাপ্ত চালিকাশক্তি নেই। চীন বরাবরই বৈশ্বিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। চীন অব্যাহতভাবে উচ্চমানের উন্মুক্তকরণের মাধ্যমে গুণগত মানসম্পন্ন উন্নয়ন সাধন করে এবং বড় বাজারের নতুন চালিকাশক্তি, সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ করে, যা বিশ্ব অর্থনীতির বলিষ্ঠতার জন্য প্রাণবন্ত চালিকাশক্তি যুগিয়ে চলেছে।

 (রুবি/আলিম/লাবণ্য)