থু হংগাং
2023-11-03 15:48:42

থু হংগাং ১৯৬৭ সালের ১৫ মার্চ চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের একজন পুরুষ কণ্ঠশিল্পী এবং জাতীয় পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীর অভিনেতা । তিনি চীনের জাতীয় থিয়েটার আর্টস একাডেমির একজন স্নাতক। ১৯৭৮ সালে ১১ বছর বয়সী থু হংগাং চীনের জাতীয় থিয়েটার আর্টস একাডেমিতে প্রবেশ করেন এবং পিকিং অপেরা পরিবেশন শিখতে শুরু করেন। একই বছর হংকং ও তাইওয়ানের সঙ্গীত মূল-ভূখণ্ডে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে। তখন থেকে তিনি পপসঙ্গীত পছন্দ করতে শুরু করেন। মাঝেমাঝে তিনি রেকর্ডারের সাথে গান শিখতেন ও গাইতেন। তিনি তাঁর সহপাঠীর সঙ্গে ‘লাইট মিউজিক’ নামে ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। তারা নিজেরাই সঙ্গীত রচনা করে এবং সুরারোপ করে স্কুলের কার্যক্রম বা পরিবেশনে অংশ নেন।

১৯৮৫ সালে থু হংগাং চীনের জাতীয় থিয়েটার আর্টস একাডেমি থেকে স্নাতক পর্যায়ের পড়াশোনা শেষ করে চায়না রেলওয়ে আর্ট ট্রুপে যোগ দেন। এর মধ্য দিয়ে তাঁর সঙ্গীত ক্যারিয়া শুরু হয়। একই বছর তিনি স্টুডিওতে রেকর্ড করার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে গান পরিবেশন করতে শুরু করেন। তারপর তিনি ছি ছিন, ওয়াং চিয়ে ও স্যুই শিয়াওফেংসহ বহু হংকং ও তাইওয়ানি কণ্ঠশিল্পীর গানের কভার সংস্করণ করেন।  ক্যারিয়ারের ব্যস্ততম সময় বছরে তিনি ৪০ থেকে ৫০টি অ্যালবাম রেকর্ড করেন। বন্ধুরা, ‘ফুলের উৎসব’ হলো তাঁর কভার সংস্করণ গানগুলোর অন্যতম। 


১৯৮৮ সালে থু হংগাং তৃতীয় ‘জাতীয় তরুণ গায়ক টিভি প্রতিযোগিতা’য় অংশ নেন। ৫০ হাজারের বেশি প্রতিযোগীর মধ্যে ২১ বছর বয়সী থু হংগাং ‘অসামান্য গায়ক’ পুরষ্কার জেতেন। ১৯৯০ সালে তিনি প্রথমবারের মতো সিসিটিভির বসন্ত উত্সব গালায় অংশ নেন। একই বছরের নভেম্বরে তিনি বিখ্যাত শিল্পী জাং কুওলির সঙ্গে চীনের প্রথম মিউজিক ভিডিও করেন। সে বছরই তিনি এশীয় গেমসের জন্য রেকর্ড করেন এবং এসবের মধ্য দিয়ে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। বন্ধুরা, এখন আমি থু হংগাংয়ের অন্য একটি গান আপনাদের শোনাতে চাই, গানের নাম ‘প্রেমিকা’। তিনি অন্য একজন কণ্ঠশিল্পী ওয়াং ফেইফেই’র সঙ্গে গানটি গেয়েছেন। 

১৯৯১ সালে তিনি বেশ কয়েকজন বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গে ‘লাল সূর্য’ নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামের ৭২ লাখ কপি বিক্রি হয়েছিল। একই বছর তাঁর নিজের রচিত ‘নিজেকে অনুভব করা’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। কিন্তু সঙ্গীতজগতে তখন মন্দা দেখা দেওয়ার কারণে তিনি অস্থায়ীভাবে সঙ্গীতজগত ত্যাগ করেন। ১৯৯৪ সালে থু হংগাং নিজের কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ‘বিদায় আমার উপপত্নী’ গানটির পরিকল্পনা ও সেটি তৈরি করেন। ১৯৯৬ সালে যখন গানটি প্রকাশিত হয়, তখন সেটি সমাজের বিভিন্ন মহল ও শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। একই বছর গানটি ‘চায়না মিউজিক টিভি প্রতিযোগিতায়’ স্বর্ণপদক জেতে। 


১৯৯৬ সাল থেকে থু হংগাং টিভি ও চলচ্চিত্র মহলে প্রবেশ করেন। ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে তিনি পরপর চারটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ‘সীমাহীন’ সেগুলোর অন্যতম। পাশাপাশি এটি একটি খুবই জনপ্রিয় টিভি নাটকের পাঁচটি পর্বের সূচনাসঙ্গীত। 

বন্ধুরা, ২০১১ সালের ১৪ জুন থু হংগাং আবার সঙ্গীতজগতে ফিরে আসেন। ওই বছর তিনি নতুন গান ‘নিজের মানুষ’ প্রকাশ করেন। একই বছরের নভেম্বরে প্রায় তাঁর ৫ বছরের বিশ্ব ভ্রাম্যমান সঙ্গীতানুষ্ঠান শুরু হয়। শোবিজে প্রবেশ করার পর প্রথম বেইজিংয়ে আয়োজিত সঙ্গীতানুষ্ঠানে তাঁর অনেক বন্ধু আসেন তার প্রতি সমর্থন জানাতে। 


প্রিয় বন্ধুরা, গান শুনতে শুনতে বিদায়ের সময় চলে এসেছে। তাহলে থু হংগাংয়ের আরেকটি গান দিয়ে আজকের অনুষ্ঠান শেষ করছি। গানের নাম ‘তিনচুন পাহাড়’। 


 

(প্রেমা/রহমান)