নভেম্বর ২: গতকাল (বুধবার) সিনচিয়াং অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। এটি চীনের ২২তম অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকা, এবং চীনের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত প্রথম অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকা।
এদিন চীনের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী এক বিশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, পুঁজি বিনিয়োগ বাড়ানো, আর্থিক পরিষেবা জোরদার করা, এবং ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিনচিয়াং অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকাকে সমর্থন করবে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় পরিষদের প্রকাশিত ‘চীনের (সিনচিয়াং) অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকার সামষ্টিক প্রস্তাব’-এ বলা হয়, সিনচিয়াং অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকার আরও বেশি সংস্কার করার অধিকার থাকতে হবে। প্রস্তাবে সিনচিয়াংয়ের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সুবিধাজনক শিল্পের বিকাশের নীতি এবং নিকটবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়াসহ ২৫টি ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। সিনচিয়াং অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকা, ২০১৩ সালে সাংহাইয়ে চীনের প্রথম অবাধ বাণিজ্য এলাকা চালু হওয়ার পর থেকে অবাধ বাণিজ্য এলাকার সপ্তম সম্প্রসারণ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী কুও থিংথিং এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সিনচিয়াং অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকার প্রতিষ্ঠা অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্ভাবনের সুবিধা এবং সিনচিয়াংয়ের অবস্থানের সুবিধাগুলোকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহায়ক হবে। সিনচিয়াংয়ের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে উদ্দীপিত করবে এটি। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিনচিয়াং অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকাকে সিনচিয়াংয়ের প্রকৃত অবস্থার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে একীভূত করতে সমর্থন করবে, দেশী ও বিদেশী সম্পদ আকৃষ্ট করার চেষ্টা করবে। আর এর লক্ষ্য হবে, সুবিধাজনক পুঁজি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করা, আর্থিক পরিষেবা জোরদার করা এবং ডিজিটাল অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া। এই সম্পর্কে তিনি আরও বলেন,
“সিনচিয়াং অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকাকে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য পরিষেবা গ্যারান্টি প্রক্রিয়া উন্নত করতে উত্সাহিত করা হবে; বিদেশী-বিনিয়োগকৃত উদ্যোগগুলো আইন অনুসারে সরকারী ক্রয়, বিডিং, স্ট্যান্ডার্ড সেটিং ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপে ন্যায্যভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে। শিল্প ও আঞ্চলিক উন্নয়নের নীতিমালার সুবিধা সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। তাদেরকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে। বহুমুখী ডিজিটাল পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হবে।
সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পিপলস গভর্নমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুং হুং মেই বলেন, অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে উচ্চ গুণগত মানের উন্মুক্তকরণের মাধ্যমে সিনচিয়াংয়ে সংস্কার, উন্নয়ন ও নবত্যাপ্রবর্তনকে এগিয়ে নিতে হবে। এই সম্পর্কে তিনি আরও বলেন,
“বিশেষ করে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি, ঐতিহ্যগত সুবিধাজনক শিল্পগুলোর বিকাশ সাধন করতে হবে; শিল্প রূপান্তরকে উন্নত করতে হবে; ডিজিটাল অর্থনীতির মাধ্যমে নব্যতাপ্রবর্তন ও উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হবে, যা ডিজিটাল রেশমপথ নির্মাণকাজের জন্য সহায়ক। অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সিনচিয়াংয়ের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের দরজা আরও বড় হবে।” (ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)