'বৃষ্টিতে দুঃখ’
2023-11-02 14:46:18


 

আজকের অনুষ্ঠানে চীনের তাইওয়ানের একজন কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গে আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবো, তার নাম ইন চেং ইয়াং। তিনি তার আবেগপূর্ণ ও সুন্দর কণ্ঠের জন্য পরিচিত। তিনি তাইওয়ানের সব প্রভাবশালী সংগীত অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে, তাই তার ‘তাইওয়ানের গানের রাজা’ খ্যাতি আছে। বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা একসঙ্গে তার কিছু সুন্দর গান শুনবো। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুনুন ইন চেং সিয়াংয়ের একটি সুন্দর গান ‘গভীর ভালোবাসা ও অগভীর ভাগ্য’।গান ১

 

ইন চেং ইয়াং ১৯৬১ সালে তাইওয়ানের তাইপেই শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ছোট থেকে তিনি একজন বুদ্ধিমান ও অনুগত ছেলে। উচ্চ বিদ্যালয়ের শেষে তিনি ভালো ফলাফলের সাথে তাইওয়ান কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পদার্থবিদ্যা শিখেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সময়ে ইন চেং ইয়াংয়ের সংগীত ও গান গাওয়ার প্রতি গভীর আগ্রহ তৈরি হয়, আর তার গায়ক হওয়ার ভাবনা ছিল। ১৯৮২ সালে ইন চেং ইয়াং তাইওয়ানের একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং চ্যাম্পিয়ন হন। এরপর তার সংগীত জীবন শুরু হয়।গান ২

 

১৯৮৬ সালে ইন চেং ইয়াং তার প্রথম অ্যালবাম ‘বৃষ্টিতে দুঃখ’ প্রকাশ করেন। তার কণ্ঠ পরিষ্কার ও আবেগপূর্ণ। অন্যান্য গায়কের মত পেশাদার সংগীতের প্রশিক্ষণ নেন নি। তবে, তার কণ্ঠের আন্তরিক ও সরল অনুভূতি খুব স্পর্শকাতর। একজন নতুন গায়ক হলেও এই অ্যালবাম মুক্তির পরপরই অনেকের পছন্দ হয়। তিনি সে বছর তাইওয়ানের সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়ক হন। বন্ধুরা, এখন শুনুন সেই অ্যালবাম থেকে ইন চেং ইয়াংয়ের একটি জনপ্রিয় গান ‘বৃষ্টিতে দুঃখ’।গান ৩

 

১৯৮৭ সালে ইন চেং ইয়াংয়ের নতুন অ্যালবাম ‘জীবনের রেকর্ড’ মুক্তি পায়। জনপ্রিয় হওয়ার পর তিনি নিজের ইচ্ছামত সংগীত তৈরি করতে পারেন। উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই তিনি তাইওয়ানের লোকসংগীত খুব পছন্দ করতেন। এই অ্যালবামটি তৈরির জন্য তিনি তাইওয়ানের অনেক বিখ্যাত লোকসংগীত শিল্পীকে আমন্ত্রণ করেছেন। তারা একসঙ্গে জীবনের সাধারণ মুহূর্ত ও জীবন সম্পর্কে চিন্তাভাবনা সংগীতের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। লোকজন বলে, তার এই অ্যালবাম যেন ‘সংগীত কবির’ মতো। এই অ্যালবাম মুক্তির পরই অনেক জনপ্রিয় হয়। আর ইন চেং ইয়াংও তাইওয়ানের অনেক সংগীত পুরস্কার পান। বন্ধুরা, এখন শুনুন এই অ্যালবামে ইন চেং ইয়াংয়ের একটি সুন্দর গান ‘ভোরে বৃষ্টি’।গান ৪

 

১৯৯০ সালে সংগীত শিল্পের উন্নয়নের জন্য তাইওয়ানের গোল্ডেন সুর অ্যাওয়ার্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত অ্যাওয়ার্ডটি ৩৪বার অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং চীনা সংগীত মহলের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগীত অ্যাওয়ার্ডে পরিণত হয়েছে। প্রথম গোল্ডেন সুর অ্যাওয়ার্ডে ইন চেং ইয়াং গান ‘আমাকে আবার ভালোবাসবে’র জন্য বার্ষিক শ্রেষ্ঠ গায়কের পুরস্কারও পেয়েছেন। পরে তিনি আবার দুইবার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পান। এই রেকর্ড এখনও কেউ অতিক্রম করতে পারে নি। বন্ধুরা, এখন শুনুন ইন চেং ইয়াংয়ের জনপ্রিয় গান ‘আমাকে আবার ভালোবাসবে’।গান ৫

 

ইন চেং ইয়াং তাইওয়ানের আধুনিক সংগীতের সোনালি যুগ শুরু করেন বলে মনে করা হয়। তার প্রভাবে তাইওয়ানে অনেক চমত্কার শিল্পীর আবির্ভাব ঘটে। সেসময় খুব প্রভাবশালী গায়ক হিসেবে ইন চেং ইয়াং আশা করেন নতুন গায়করা আরো বেশি সুযোগ পাবে। তাই তিনি গোল্ডেন সুর অ্যাওয়ার্ড নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেন। নতুন গান গাওয়ার পাশাপাশি ইন চেং ইয়াং আসলে পুরানো গান খুব পছন্দ করেন। তাই ১৯৯৪ সালে তিনি তাইওয়ানের অনেক ক্লাসিক গান নতুন করে গেয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করেন। পুরানো গানগুলো তার কণ্ঠে নতুন আকর্ষণ তৈরি করে, যা মুক্তির পরপরই বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বন্ধুরা, এখন শুনুন ইন চেং ইয়াংয়ের নতুন করে গাওয়া একটি ক্লাসিক পুরানো গান ‘ভাগ্য’।গান ৬

 

৪০ বছর বয়সে স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে ইন চেং ইয়াং আর গান গাননি। তবে, এখনও তার গানগুলো বেশ জনপ্রিয় এবং অন্যান্য শিল্পীরা বার বার তার গান গায়। বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমরা একসঙ্গে ইন চেং ইয়াংয়ের আরেকটি সুন্দর গান শুনব। গানটি হলো ‘জীবন একটি প্রাণবন্ত গান’! আশা করি, আপনারা তার গানগুলো পছন্দ করবেন।গান ৭

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান তাহলে এখানেই শেষ করছি। আশা করি, আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। এখন বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আবার কথা হবে। চাই চিয়ান।