‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী। দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার প্রধান হাতিয়ার তারুণ্য। তরুণরা চাইলেই পারে সমাজকে বদলে দিতে। এজন্য দরকার তাদের চিন্তা ও মেধার সমন্বয়। চীন ও বাংলাদেশের তরুণদের অফুরান সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবো এই অনুষ্ঠানে। তরুণদের সৃজনশীলতার গল্পগাঁথা নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের তারুণ্যের অগ্রযাত্রা।
১. ইসরাত আমিন। বাংলাদেশের সংবাদ ভিত্তিক গণমাধ্যম চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সিনিয়র ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন তিনি। সম্প্রতি চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে একজন তরুণ বাংলাদেশি প্রতিনিধি হিসেবে তিনি চীন সফর করেছেন। তাকে আমরা তারুণ্যের অগ্রযাত্রা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঢাকা স্টুডিওতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
‘আমি মনে করি, একটি দেশের সঙ্গে আরেকটি দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা, বলতে পারি সেতু বন্ধন তৈরি করা , মানুষে মানুষে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করাই বিআরআইয়ের মূল উদ্দেশ্য।’
‘বিআরআইয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ চলছে। এধরণের প্রজেক্টে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া যায়। বিশেষ করে চীন থেকে পড়াশোনা করে আসা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ দিলে বেকারত্ব কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব।’
সাক্ষাৎকার গ্রহণ : রওজায়ে জাবিদা ঐশী
২. আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি তুলে ধরছেন চীনের তরুণ শিল্পীরা
একটা সময় পর্যন্ত টেলিভিশন কিংবা কোনো ভিডিওতে নিজেদের কোনো ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি বা সাংস্কৃতিক দৃশ্য তুলে ধরতে হলে সে অনুযায়ী মঞ্চ, সেট, প্রপস, মেকআপসহ নানাবিধ কাজ করতে হতো, এরপরও সঠিকভাবে সাংস্কৃতিক দৃশ্য বা সময়টাকে তুলে ধরা সম্ভব হতো না। তবে বর্তমানে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিনব উপায়ে ঐতিহ্যবাহী সব সংস্কৃতি উপস্থাপন ও তুলে ধরছেন চীনের তরুণরা।
চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে নতুন উপায়ে তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছেন দেশটির তরুণ প্রজন্ম। আর এরজন্য তারা বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন। পুনরায় তৈরি করা এসব ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি শক্তিশালী সাংস্কৃতিক আত্মবিশ্বাস দেয় বলে তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপকহারে বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা।
এর আগে ২০২১ সালে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশটির থাং রাজবংশের (৬১৮-৯০৭) একটি নাচের অনুষ্ঠানের দৃশ্যকে পুনরায় তৈরি করা হয়, যা অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজেনদের কাছ থেকে বেশ প্রশংসা কুড়ায়।
মূলত বাস্তব মঞ্চের সঙ্গে ভার্চুয়াল দৃশ্যের সংমিশ্রণ, অভিনেত্রীদের ছিমছাম নাচের মুভ এবং জাতীয়তাবোধ প্রদর্শনের পাশাপাশি অনুষ্ঠানটিকে বিশেষ ও আকর্ষণীয় করে তোলার ক্ষেত্রে আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি যেমন- থ্রিডি বা ত্রিমাত্রিক ডাইমেনশন এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা এআর ব্যবহার করা হয়।
চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে নতুন উপায়ে তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের একজন ছেন লেই। ছেন এবং তার দলের দৃষ্টিভঙ্গি হল দেশটির প্রাচীন গল্পগুলোকে আধুনিকীকরণ করা।
ছেন লেই, শিল্পী ও গালা শো পরিচালক
‘হ্যনান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গর্ব করে এবং আমরা মনে করি আমরা নতুন উপায়ে সব তুলে ধরতে পারি।’
বর্তমানে এটি সাংস্কৃতিক বিনোদনের নতুন একটি ধরন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা চীনের তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
মা শিয়াওলিন, পরিচালক, হেনান মিউজিয়াম
‘১৯৯০ বা ২০০০ সালের পরে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তারা আধুনিক জীবন সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা রাখেন, কিন্তু একই সঙ্গে তারা দেশের ঐতিহ্য সম্পর্কেও জানতে আগ্রহী’।
বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এভাবে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির উপস্থাপন লিরিক নির্ভর চীনা ক্লাসিক নৃত্যের যে গতানুগতিক নিয়ম সেটিকে ভেঙে দিয়েছে এবং এটি উপভোগ্য ও বাস্তবের মতোই অনুভূতি প্রদান করছে।
প্রতিবেদক: শুভ আনোয়ার
সম্পাদক : রওজায়ে জাবিদা ঐশী
আমাদের ‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ আজ এই পর্যন্তই। পরবর্তী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভকামনা সবার জন্য। আল্লাহ হাফেজ।
পরিকল্পনা ,পরিচালনা ও সঞ্চালনা : রওজায়ে জাবিদা ঐশী
অডিও সম্পাদনা: রফিক বিপুল ও রওজায়ে জাবিদা ঐশী
সার্বিক সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী