অক্টোবর ২১: সম্প্রতি বেইজিংয়ে আয়োজিত তৃতীয় ‘বেল্ট এন্ড রোড’ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শীর্ষ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেহিস বলেন, ‘সবুজ রেশমপথ’ পরিকল্পনা আমাদেরকে মানবজাতি ও পৃথিবীর একটি নতুন পথ শুরু করতে সাহায্য করতে পারে।
সবুজ হলো ‘বেল্ট এন্ড রোড’ উদ্যোগ যৌথ নির্মাণের মূল রঙ। দশ বছরে দক্ষিণ আমেরিকার মালভূমিতে নির্মিত ফোটোভোলটাইক পাওয়ার স্টেশনগুলো, মধ্য এশিয়ার গোবি মরুভূমিতে নির্মিত বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পটি এবং দক্ষিণ এশিয়ার নদীতে নির্মিত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, এসবই ‘বেল্ট এন্ড রোড’ উদ্যোগের পরিকল্পনা, যা স্থানীয় জ্বালানি ঘাটতি দূর করেছে। এসব দেশের আধুনিকায়নে সহায়তা করা হয়েছে। এবারের শীর্ষ ফোরামে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেন, বিদ্যুত ঘাটতি উন্নয়নের পথে বাধা হবে না, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সবুজ ও স্বল্প-কার্বন উন্নয়নের স্বপ্ন পূরণ হবে।
দশ বছরে চীন ৪০টিরও বেশি দেশের ১৫০টিরও বেশি সহযোগিতামূলক অংশীদারের সঙ্গে ‘বেল্ট এন্ড রোড’ উদ্যোগের সবুজ উন্নয়ন আন্তর্জাতিক জোট গড়ে তুলেছে এবং ৩২টি দেশের সঙ্গে জ্বালানি সম্পদ খাতে সহযোগিতামূলক অংশীদারি সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। নীতিগত ধারণা ও প্রকল্পের নকশায় চীন বিশ্বব্যাপী নিম্ন-কার্বন অর্থনীতির উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
এবারের শীর্ষ ফোরামে চীন উচ্চ মানের ‘বেল্ট এন্ড রোড’ যৌথ নির্মাণের জন্য আটটি কার্যক্রম তুলে ধরেছে। এর মধ্যে একটি হলো সবুজ উন্নয়ন জোরদার করা। চীন ‘সবুজ পানি ও পাহাড় হলো স্বর্ণ ও রূপা পাহাড়’ ধারণায় অবিচল রয়েছে। চীন ব্যাপকভাবে সবুজ ও নিম্ন কার্বন প্রযুক্তি উন্নত করবে। সবুজ পরিবর্তনকে উন্নয়নের নতুন চালিকাশক্তি করেছে। দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে সবুজ রূপান্তর মানবজাতির সাধারণ বাসস্থান রক্ষায় সহায়ক।
দশ বছরে দেখা গেছে ‘সবুজ রেশমপথ’ কোনো একটি দেশের নয়, বরং যৌথভাবে জাতি গঠনের প্রচেষ্টা। আগামী বছর পরিকল্পনায় আরো বেশি দেশ অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন অর্জন করবে। পৃথিবী সুরক্ষার পাশাপাশি বিশ্বের আধুনিকায়নের সবুজ উন্নয়ন জোরদার হবে।
(ছাই/তৌহিদ)