“সিলন পর্বতের বৌদ্ধ মন্দিরে ভিক্ষাদানের প্রস্তরচিত্র”--জেং হ্য প্রস্তরচিত্র
2023-10-17 18:44:17

 

২০১৯ সালের মে মাসে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ব্যক্তিগত উদ্যোগে, ‘এশীয় সভ্যতা সংলাপ’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে, সি চিন পিং ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিদেশী নেতারা, জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত "মহান এশিয়া: এশীয় সভ্যতার প্রদর্শনী"-তে নির্বাচিত নয়টি চীনা ও বিদেশী সাংস্কৃতিক নিদর্শন পরিদর্শন করেন। প্রবেশদ্বারে স্থাপিত প্রথম প্রদর্শিত আইটেম ছিল শ্রীলঙ্কা থেকে আসা “সিলন পর্বতের বৌদ্ধ মন্দিরে ভিক্ষাদানের প্রস্তরচিত্র”-এর প্রতিকৃতি।

 

এই প্রস্তরচিত্রটি চীনের মিং রাজবংশের একজন বিখ্যাত নেভিগেটর এবং কূটনীতিক জেং হ্য দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, যিনি ১৪০৯ সালে শ্রীলঙ্কা সফর করার সময়, সাতটি সমুদ্র ভ্রমণে তার নৌবহরকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাই, এটি "জেং হ্য প্রস্তরচিত্র" নামেও পরিচিত।

 

প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বিদেশী নেতাদের বলেন, সেই সময়ে জেং হ্য তাঁর নৌবহর নিয়ে যেখানেই যেতেন, সেখানেই স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করতেন। জেং হ্য তার সফরের মাধ্যমে যুদ্ধ নয়, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে এসেছিলেন।

 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সি চিন পিং অনেক অনুষ্ঠানে জেং হ্য-এর সমুদ্র ভ্রমণের গল্প উল্লেখ করেছেন। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে, ইউনেস্কোর সদর দফতরে এক বক্তৃতায়, সি চিন পিং জেং হ্য-এর উদাহরণ টানেন। তিনি বলেন, চীনা সভ্যতা এমন একটি সভ্যতা যা চীনের ভূমিতে উদ্ভূত হয়েছে এবং এটি একটি সভ্যতা যা অন্যান্য সভ্যতার সাথে ক্রমাগত বিনিময় এবং পারস্পরিক দেওয়া-নেওয়া দ্বারা সমৃদ্ধ হয়েছে। তিনি বলেন:

 

“১৫ শতকের শুরুতে, মিং রাজবংশের বিখ্যাত চীনা নৌযানবিদ জেং হ্য সাত বার সমুদ্র ভ্রমণ করেছিলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক জায়গায় পৌঁছেছিলেন, এবং আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের কেনিয়ায় পৌঁছেছিলেন। তিনি চীনের সাথে অন্যান্য দেশের মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের একটি ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।”

 

১৯১১ সালে, একজন ব্রিটিশ প্রকৌশলী শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ বন্দর শহর গোরে একটি নর্দমায় নর্দমা কভার হিসাবে ব্যবহৃত একটি পাথরের ট্যাবলেট আবিষ্কার করেন। এটি ১৪৪.৫ সেমি উঁচু, ৭৬.৫ সেমি চওড়া এবং ১২.৫ সেমি পুরু। এর সামনের ও পিছনের উভয় অংশই পাঁচ-নখরযুক্ত ডাবল ড্রাগনের সূক্ষ্ম রিলিফ দিয়ে খোদাই করা আছে এবং সামনের আয়তক্ষেত্রাকার অংশটিতে আছে চীনা নিদর্শন।

 

চীনা, তামিল ও ফার্সি ভাষায় এতে লেখা আছে যে জেং হ্য সিলন দেশ, যা আজকের শ্রীলঙ্কা, পরিদর্শন করেছিলেন এবং স্থানীয় মন্দিরে অর্থ দান করেছিলেন।

 

দীর্ঘকালের ক্ষয়ের কারণে, প্রস্তরের তামিল ও ফার্সি অংশগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং সম্পূর্ণরূপে সনাক্ত করা কঠিন ছিল। তবে চীনা অংশটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং সাধারণভাবে চিহ্নিত করা যায়। পরে, এই প্রাচীন প্রস্তরচিত্রের নাম দেওয়া হয় "সিলন পর্বতের বৌদ্ধ মন্দিরের প্রস্তরচিত্র"।

 

ঐতিহাসিক নথি অনুসারে, জেং হ্য তার সমুদ্র ভ্রমণের সময় অনেকবার শ্রীলঙ্কায় এসেছিলেন। জেং হ্যর দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রার সময় জেং হ্য প্রস্তরচিত্রটি নির্মাণ করেছিলেন। এটি একটি মূল্যবান ভৌত ঐতিহাসিক রেকর্ড, যা প্রাচীন মেরিটাইম সিল্ক রোডসংশ্লিষ্ট বিনিময়ের সাক্ষী। এটি সেই সময়ে মেরিটাইম সিল্ক রোডে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী, ভাষা ও ধর্মের সহাবস্থানের ইতিহাসকেও প্রতিফলিত করে।

 

এই সাংস্কৃতিক নিদর্শন রক্ষা করার জন্য, চীন ও শ্রীলঙ্কা ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করেছে। শ্রীলঙ্কায় চীনা দূতাবাস, জিয়াংসু প্রাদেশিক সরকার এবং নানজিং মিউজিয়ামের সহায়তায় চীনের দেওয়া একটি প্রতিরক্ষামূলক ঢাল শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে জাতীয় জাদুঘরে পাঠানো হয়েছিল। নানজিং মিউজিয়াম শ্রীলঙ্কাকে ঐতিহাসিক উপকরণ রেকর্ড করতে সাহায্য করার জন্য বিশেষজ্ঞদেরও পাঠায়।

 

জেং হ্য প্রস্তরচিত্র সংগ্রহকারী শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে জাতীয় জাদুঘরের পরিচালক রঞ্জিত হেরওয়াগ বলেছেন:

 

“আমি মনে করি জেং হ্য প্রস্তরচিত্র একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন, যা শ্রীলঙ্কা ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সাক্ষী। শিলালিপির বিষয়বস্তুতে বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রতিফলিত হয়। অতএব, শ্রীলঙ্কানরা তখন বিশ্বাস করত যে, চীন শ্রীলঙ্কার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

 

জেং হ্য সাত বার সমুদ্রযাত্রা করেছেন এবং বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন; অনেক সামুদ্রিক বাণিজ্য চ্যানেল উন্মুক্ত করেছেন। জেং হ্য’র নেতৃত্বে বহরে বিভিন্ন ধরনের ২০০টিরও বেশি জাহাজ ছিল, যা সেই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে উন্নত নৌবহর ছিল। নিরাপত্তার কারণে, বহরটি প্রচুরসংখ্যক অস্ত্রও বহন করেছে এবং হাজার হাজার লোক ও কয়েক ডজন যুদ্ধজাহাজ নিয়ে গঠিত জলদস্যুদের বহরকে পরাজিত করেছে। কিন্তু, জেং হ্য তাঁর সাতটি সমুদ্র যাত্রার সময় বিদেশের এক ইঞ্চি জমিও দখল করেননি। তারা শুধুমাত্র সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির বিস্তার ঘটিয়েছেন, বিনিময় ও সমৃদ্ধি প্রচার করেছেন, এবং চীনা সভ্যতা ও বিশ্ব সভ্যতার মধ্যে বিনিময় ও পারস্পরিক শিক্ষার একটি ভালো গল্প রেখে গেছেন।

 

চায়না ইউনিভার্সিটি অফ পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ল-এর স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল ল-এর অধ্যাপক হুও জেংসিন বিশ্বাস করেন যে "জেং হ্য প্রস্তরচিত্র" এবং জেং হ্য-এর সমুদ্র ভ্রমণের ইতিহাস চীনা সভ্যতার শান্তিপূর্ণ প্রকৃতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি বলেন,

 

“সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং যেমন বলেছেন, চীনা সভ্যতার একটি অসামান্য ‘শান্তিপূর্ণ প্রকৃতি’ রয়েছে। ইতিহাসে, জেং হ্য  যেখানেই গেছেন, সেখানকার এক ইঞ্চি জমিও দখল করেননি। এভাবে তিনি সাতটি সমুদ্রযাত্রা শেষ করেন। স্থানীয় মানুষের কাছে তিনি যা নিয়ে গেছেন তা হল শান্তি, বন্ধুত্ব এবং সভ্যতার বিনিময়ের ধারণা। অতএব, জেং হ্য-এর সমুদ্রযাত্রার সময়, অনেক জায়গায় জেং হ্য প্রস্তরচিত্র স্থাপিত হয়েছিল, যা জেং হ্য-এর বহরের প্রতি স্থানীয় জনগণের ভালোবাসার প্রতিফলন এবং আমাদের চীনা সভ্যতার অসামান্য ‘শান্তিপূর্ণ প্রকৃতি’-র প্রতিফলন।”

 

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বিজনেস ডেইলির প্রাক্তন প্রধান সম্পাদক ইগর শ্নুশেঙ্কো বলেছেন, চীনা সভ্যতার অসামান্যতা  রয়েছে, যা আজকের মানবসমাজ ও মানবসভ্যতার বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন,

 

“এতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে চীনের অভিন্ন উন্নয়নের বৈদেশিক নীতি প্রতিফলিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যেমন বলেছেন, চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পক্ষে এবং অন্য দেশের ওপর তার নিজস্ব মূল্য চাপিয়ে দেবে না। চীন সর্বদা সহযোগিতা ও সমতার বৈশ্বিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পক্ষে।”

 

শ্রীলঙ্কার কলম্বো জাতীয় জাদুঘরের পরিচালক রঞ্জিত হেরওয়াগ বিশ্বাস করেন যে, আজকের বিশ্বে বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে, শুধুমাত্র বিভিন্ন সভ্যতা ও দেশের মধ্যে আন্তরিক বিনিময় এবং পারস্পরিক শিক্ষার মাধ্যমেই আমরা বিভিন্ন সভ্যতার জ্ঞান সম্পূর্ণরূপে প্রদর্শন করতে পারি এবং আজকের বিশ্বের বিভিন্ন অসুবিধা ও চ্যালেঞ্জের সমাধানে অবদান রাখতে পারে। তিনি বলেন,

 

“বৈশ্বিক বৈচিত্র্যময় সভ্যতার প্রেক্ষাপটে, মানুষ যোগাযোগ করে ও একসাথে কাজ করে। তাই আমাদের প্রতিটি সভ্যতার প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যেমন বলেছেন, চীনা জাতি সবসময়ই শান্তিপ্রিয় জাতি। আমরা যদি চাই মানবসভ্যতা স্থিতিশীলভাবে বিকশিত হোক, প্রতিটি দেশের উচিত চীনের মতো বিভিন্ন সভ্যতাকে সম্মান করা।”

 

হাঙ্গেরিয়ান ছাত্রী কামিলা: উহান আমার বাড়ির মতো

কামিলা শৈশব থেকেই পূর্ব এশিয়ার সংস্কৃতিকে ভালোবাসেন। যখন তিনি বুদাপেস্টে একজন স্নাতক ছাত্রী ছিলেন, তখন তার প্রধান মেজর ছিল পূর্ব এশীয় ভাষা ও সংস্কৃতি। তখন থেকেই তিনি চীনা ভাষা শিখতে শুরু করেন এবং এর প্রতি তীব্র আগ্রহ বোধ করেন। কামিলা বলেন,

 

“আমি ২০১৭ সালে চায়নিজ শেখা শুরু করি, এবং স্কুল কোর্সের পর আমি একজন প্রাইভেট টিউটর নিয়োগ করি।”

 

কামিলা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, আপনি যদি সত্যিকার অর্থে একটি ভাষা ভালোভাবে শিখতে চান, তবে আপনাকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ভাষার পরিবেশে চর্চা করতে হবে। তিনি সত্যিই চায়নিজ ভালোভাবে শিখতে চেয়েছিলেন, তাই তিনি চীনে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করেন। সেই বছরের জুলাইয়ের শুরুতে, তিনি তার উইচ্যাট "মোমেন্টস"-এ উহান বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ভর্তির খবর প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,

 

“আমি মনে করি আমি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও কূটনীতির ক্ষেত্রে ফোকাস করব। ভবিষ্যতে আমি একজন কূটনীতিক বা কনস্যুলার অফিসার হয়ে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখার আশা করি। বর্তমানে, হাঙ্গেরি ও চীনের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতা হচ্ছে। আমি ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অব্যাহত উন্নতিতে আমার নিজের অবদান রাখার আশা করছি।”

 

অগাস্টের শেষে, কামিলা উহানে আসেন। এটি তার প্রথম চীন সফর। এক মাসেরও কম সময়ে তিনি উহানের প্রেমে পড়েন। তার মতে, উহান ও বুদাপেস্টের অনেক মিল রয়েছে, যা তাকে বিদেশের মাটিতে দেশে থাকার আমেজ দেয়। তিনি বলেন,

 

“ইয়াংসি নদী উহানকে কয়েকটি অংশে বিভক্ত করেছে এবং বুদাপেস্টকেও দানিউব নদী বিভক্ত করেছে। আমার স্নাতক থিসিসে, আমি চীনের পরিবেশ আইন এবং পরিবেশ নীতি অধ্যয়ন করেছি, এবং এর একটি বিষয় ছিল উহান। আমি সেই সময় অনেক গবেষণা করেছি এবং শিখেছি যে, উহান একটি খুব ভালো পরিবেশের শহর। আমি বর্তমানে ভালো আছি। সবাই খুব বন্ধুত্বপূর্ণ এবং উহান সম্পর্কে আমার খুব ভালো ধারণা রয়েছে। আমি হাঙ্গেরিতে নিরাপদ বোধ করি, কিন্তু আমি জানি না কেন আমি বাড়ির চেয়ে উহানে বেশি নিরাপদ বোধ করি।”

 

ক্লাস শুরু হওয়ার সাথে সাথেই, কামিলা স্কুলের মেয়েদের ভলিবল দল এবং অ্যানিমেশন রোল প্লেয়িং ক্লাবের মতো অনেক সংগঠনে যোগদান করেন। বর্তমানে উহান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত একমাত্র হাঙ্গেরিয়ান ছাত্রী কামিলা। তিনি বলেন,

 

“আমি ইতিমধ্যে আমার কাউন্সেলর এবং সহপাঠীদের সাথে দেখা করেছি। অনেক চায়নিজ সহপাঠী আছে, এবং আমি দারুণ অনুভব করি। সবাই উন্মুক্ত মনের, সদয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি আমরা ভবিষ্যতে একটি ভালো জোট হয়ে উঠব।”

 

হাঙ্গেরি ইউরোপে চীনের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ও অংশীদার এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক উন্নত হয়েছে। ২০১৫ সালে, হাঙ্গেরি এবং চীন ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষর করে। বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে যোগদানকারী প্রথম ইউরোপীয় দেশ হাঙ্গেরি। তারপর থেকে, দুই দেশ অবকাঠামো নির্মাণ, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য, এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মতো অনেক ক্ষেত্রে গভীর সহযোগিতা চালিয়েছে।

 

কামিলা বলেন, তিনি ভবিষ্যতে দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চান। তিনি বলেন,

 

“আমি আশা করি, হাঙ্গেরি-চীন সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও ভালো  হবে। আমি, বিশেষ করে সংস্কৃতি ও শিক্ষার ক্ষেত্রে, দুই দেশের মধ্যে আদান-প্রদান ও সহযোগিতা আরও অগ্রগতি প্রত্যাশা করি।"  (জিনিয়া/আলিম)