সুপ্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা ভালো আছেন। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘রোবাবারের আলাপন’; আর আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আকাশ।
বন্ধুরা, বাংলাদেশের একদল সাংবাদিক সম্প্রতি চীনের ইনার মঙ্গোলিয়া সফর করেন। আমরা আজ প্রথমে এ বিষয়ে আলাপ করব।
বন্ধুরা, চীনে এখন ফসল তোলার সময়। অনেক ধরনের শস্য সংগ্রহে ব্যস্ত চীনের কৃষকরা। এ সময়ে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের একদল সাংবাদিক চীনের ইনার মঙ্গোলিয়া সফরে আসেন। আমরা আজ তাঁদের সাথে একযোগে দেশের ইনার মঙ্গোলিয়ার গ্রামাঞ্চল ঘুরে দেখব, কেমন?
বন্ধুরা, একটি ক্ষেতে ধান, মাছ, কাঁকড়া, হাঁস একসাথে লালনপালন করা হয়। এমনটা আমি আগে কখনও দেখিনি। ইনার মঙ্গোলিয়ার খে ইউ ছিয়াং ছির ক্ষেতে আমি তা প্রথম দেখেছি। সোনালী ধানের ক্ষেতে মাছ, কাঁকড়া, হাঁস একসাথে লালনপালন করা হয় এখানে। এর পাশে একটি ছোট হ্রদ আছে। এখানে ছুটির সময় অনেক পর্যটক মাছ ধরার জন্য আসেন। চাং চোং সিন হচ্ছেন স্থানীয় একটি কৃষক সমবায় সমিতির প্রধান। তিনি আমাদের জানান, বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহারে, অর্গানিক ধান, মাছ,কাঁকড়া, হাঁস একসঙ্গে লাপনপালন সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি, স্থানীয় পর্যটনশিল্পও উন্নত হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ নতুন প্রযুক্তিতে উত্পাদিত ধান, মাছ, কাঁকড়া, হাঁসের গুণগত মান ও পরিমাণ উন্নততর। এতে কৃষকদের আয়ও অনেক বেড়েছে। প্রতিবছর প্রতি হেক্টর ক্ষেতে ৭৫০০ কেজি ধান, ৩৭৫০ কেজি মাছ, ৪৫০ কেজি কাঁকড়া, ও ২২৫টি হাঁস উত্পদান করা সম্ভব। আর প্রতি হেক্টর জমিতে কৃষকের আয় ৬১৫০০ ইউয়ান বেড়েছে।
তিনি আমাদের জানান, নতুন প্রযুক্তি প্রমোট করা ও স্থানীয় কৃষকদের সমর্থন দেয়ার জন্য সরকার ধারাবাহিক ব্যবস্থা নিয়েছে বা নিচ্ছে। তিনি বলেন, প্রত্যেক বসন্তকালের মে মাসে, সরকার বিনামূল্যে মাছ ও কাঁকড়ার পোনা এবং হাঁসের বাচ্চা কৃষকদের সরবরাহ করে। পাশাপাশি, সরকার বিশেষভাবে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয় ও সংশ্লিষ্ট দিকনিদের্শনাও দেয়।
তিনি জানান, তাদের এ সমবায় সমিতিতে তিন শতাধিক কৃষক কাজ করেন। তাঁর পরিবারের তিন সদস্যের সবাই এখানে কাজ করেন। ধারাবাহিক নতুন প্রযুক্তি ও সংশ্লিষ্ট সমর্থননীতির কারণে সবার জীবনমান উন্নত হয়েছে।
বিস্তীর্ণ ধান ও ভুট্টার ক্ষেত এবং সবুজ তৃণভূমি, উষ্ণ সূর্যালোক এবং মানুষের হাসিমুখ খে ইউ ছিয়াং ছির গ্রামাঞ্চলের প্রতীক। ২০২১ সালে, দারিদ্র্যবিমোচন খাতে চীন সার্বিক বিজয় অর্জন করে। ৮ বছরের অব্যাহত প্রচেষ্টায়, দেশের প্রায় ১০ কোটি লোক দারিদ্র্যসীমার ওপরে ওঠে। এভাবে চীন নতুন যুগের দারিদ্র্যবিমোচন মিশন সম্পন্ন করে। নিদিষ্ট সময়ের দশ বছরের আগে, চীন জাতিসংঘের ‘এজেন্ডা ২০৩০’-র দারিদ্র্যবিমোচন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে। সার্বিকভাবে গ্রামাঞ্চলের পুনর্জাগরণের পথে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে চীন। এ খাতে বিশ্বের জন্য চীন অবশ্যই অব্যহতভাবে অবদান রাখবে।
ভাই, খে ইউ ছিয়ান ছির গল্প শুনে আপনার কেমন লাগলো?
আলিম:...
সংগীত
এবার আসুন আমরা এশিয়ান গেমসের সফল সমাপ্তি নিয়ে কিছুটা আলোচনা করি।
৮ অক্টোবর সন্ধ্যায়, ১৯তম এশিয়ান গেমস হাংচৌয়ে শেষ হয়। এশিয়ান অলিম্পিক কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক বলেন, “হাংচৌ এশিয়ান গেমস হচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল এশিয়ান গেমস।” এবারের এশিয়ান গেমসে, মোট ১৫টি নতুন বিশ্ব রেকর্ড এবং ৩৭টি নতুন এশিয়ান রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ৪৫টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ২৭টি অন্তত একটি স্বর্ণপদক ও ৪১টি কোনো-না-কোনো পদক পেয়েছে। এবার পদকের সংখ্যাও ছিল রেকর্ডসংখ্যক। এশিয়ান গেমসের ১৬ দিনে, চীন তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছে, পাশাপাশি এবারের এশিয়ান গেমসের মাধ্যমে বিশ্ব চীনকে আরও ভালোভাবে জেনেছে।
ভাই, এবারের এশিয়ান গেমস আপনার কেমন লেগেছে?
আলিম:..
চীনের খেলাধুলা সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?
আলিম:..
(আকাশ/আলিম)