চলতি বাণিজ্যের ৩৯তম পর্ব
2023-10-13 19:14:21

চলতি বাণিজ্যের ৩৯তম পর্বে থাকছে:

১. বিআরআইয়ের ছোঁয়ায় বদলে গেছে সিনচিয়াং

২. বাংলাদেশকে ৭শ সেট ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট হস্তান্তর করেছে চীন

৩. চীনের সেবাখাতের বাণিজ্য আকর্ষণ করছে বিদেশিদের

বিআরআইয়ের ছোঁয়ায় বদলে গেছে সিনচিয়াং

সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: চীনের প্রস্তাব করা বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের বদৌলতে বদলে গেছে ইউগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ের সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট। বিশেষ করে সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ণ এই অঞ্চলকে করেছে ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে চীনের যোগাযোগের মূল কেন্দ্র। এখানকার স্থানীয় সরকার বলছে, গেল এক দশকে নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে সিনচিয়াংয়ে। বিস্তারিত থাকছে আমার তৈরি করা একটি প্রতিবেদনে।

এক দশক আগে চীনের প্রস্তাব করা বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের কেন্দ্রভূমি হলো সিনচিয়াং। প্রস্তাবের পর থেকেই এই অঞ্চলে নজিরবিহীন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এখানকার স্থানীয় সরকার জানায়, রাজধানী উরুমচি ও এখানে স্থাপনকরা স্থলবন্দরকে ঘিরে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও রাশিয়া হয়ে ইউরোপসহ বিশ্বের প্রায় ২ ডজন দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে চীন।

মূলত বিআরআই সহযোগিতার আওতায় চীনের সঙ্গে মধ্য এশিয়া হয়ে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে সংযোগকারী এই সিনচিয়াংয়ে নানা অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে এই অঞ্চলে আছে ১১৮টি আন্তর্জাতিক সড়ক-মহাসড়ক যোগাযোগ রুট। এটি চীনের মোট যোগাযোগ নেটওয়ার্কের প্রায় এক তৃতীয়াংশ। বর্তমানে মধ্যএশিয়ার দেশ কাজাখস্তানের সঙ্গে নির্মাণ করা দ্বিতীয় রেলওয়ে লাইন চালু হয়েছে।

সিনচিয়াং ইউগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের স্থানীয় সরকারের ভাইস চেয়ার‌ম্যান ইউসুপজান মামাত জানান, গেল বছর নাগাদ এখানকার বৈদেশিক বাণিজ্যের আকার দাড়ায় প্রায় আড়াইশ’ বিলিয়ন ইউয়ান। তিনি জানান, মূলত চীনের প্রধান উন্নয়ন কার্যক্রমগুলোর তৎপরতা চোখে পড়বে এই সিনচিয়াংয়ে। 

ইউসুপজান মামাত, ভাইস চেয়ারম্যান, সিনচিয়াং স্থানীয় সরকার

“অবকাঠামো সংযোগের দিক দিয়ে সিনচিয়াং এগিয়ে যাচ্ছে। বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অংশ হিসেবে এখানে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিনিময় ও সহযোগিতাও অনেক বেড়েছে। এখানে ক্রস-বর্ডার টেলিমেডিসিন সেবার প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে বিশ্বের ২৪টি বড় হাসপাতালের সঙ্গে আমরা কাজ করেছি। এছাড়া বিশ্বের ৪৫টি দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সগযোগিতা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত সিনচিয়াংয়ের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ দাড়িয়েছে ২৪০ বিলিয়ন ইউয়ান।“

মূলত সিনচিয়াং হয়ে চীনের সঙ্গে মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। ফলে সিনচিয়াং হয়ে উঠেছে চীনা সিল্করোড়ের এক কৌশলগত এলাকা। এর প্রধান কেন্দ্র রাজধানী উরুমচির আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর দিয়ে বছরে আমদানি-রফতানি হচ্ছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের পণ্য।

সিনচিয়াংয়ের মাধ্যমেই রাশিয়া, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের দিকে সিল্করোডের প্রধান ৩টি রুট চলে গেছে বেলারুশ হয়ে পোল্যান্ড পর্যন্ত। আফগানিস্তান-বুলগেরিয়া হয়ে ইতালিকে সংযুক্ত করেছে বিআরআই। আর তৃতীয় রুটের মাধ্যমে উজবেকিস্তান হয়ে ইরান পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করেছে।

“চীনের সামগ্রিক পশ্চিমমুখী উন্মুক্তকরণ পরিকল্পনার মধ্যেই সিনচিয়াংয়ের উন্নয়ন গ্রথিত আছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সিনচিয়াং অর্থনৈতিক নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং উচ্চ মানের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। বিশেষ করে উরুমচির আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর এলাকা ও আরাল সমুদ্র এলাকার বাস্তুতান্ত্রিক উন্নয়নে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।“

সিনচিয়াংজুড়ে চীন সরকারে নানা উন্নয়ন কার্যক্রম ও সুবিধা বিবেচনা করে এখানে বিনিয়োগও আসছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। ফলে চীন সীমান্তের প্রান্তিক এলাকা হলেও এই স্থলবন্দরকে ঘিরে বৈশ্বিক সংযোগের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে সিনচিয়াং।

পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইউরোপগামী অন্তত ৬৫ হাজার মালবাহী ট্রেন চলাচল করেছে এই সিনচিয়াং দিয়ে। এসব ট্রেনের মাধ্যমে নানা রকম মালামাল পরিবহন করা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রধান আমদানি পণ্যের মধ্যে আছে পেলেট, আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম ও কপার পাউডারসহ নানা রকম খনিজ পণ্য, রান্নার কয়লা, কাঠ, পাল্প, খাদ্যশষ্য ও তেল। অন্যদিকে চীন থেকে এসব দেশ ও অঞ্চলে রফতানি হয় স্টিল ও রাসায়নিকসহ নানা ধরনের শিল্পের কাঁচামাল, টমেটো পেস্ট ও শুকনো ফল। এর পাশাপাশি চীনের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক, বাড়ি তৈরির উপকরণ, ইলেক্ট্রনিক পণ্য ও অটো পার্টস।

“দক্ষিণ সিনচিয়াংয়ে ইলেক্ট্রনিক পণ্য, কৃষি পণ্য ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি ও সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে সিনচিয়াং আঞ্চলিক সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করছে। এর ফলে দারিদ্র বিমোচন হচ্ছে এবং পল্লী অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন খুব দ্রুত হচ্ছে। অন্যদিকে সিনচিয়াং যেহেতু একটি বন্দর শহর তাই এখানকার সামাজিক উন্নয়নও তরান্বিত হচ্ছে।“

বর্তমানে সিনচিয়াংয়ে ৪টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে। বৈদেশিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিতে নানা ধরনের প্রণোদনা ও সুবিধা দিচ্ছে সরকার। এরইমধ্যে ৫শ’ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করেছে। এসবের মাধ্যমে কাজের সুযোগ হয়েছে অন্তত ১ লাখ মানুষের।

“সিনচিয়াংয়ের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে আরও গভীর ও প্রসারিত উন্মুক্তকরণ কার্যক্রম চলবে। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শক্তিশালী করতে, নতুন ধরনের ব্যবসা ও অর্থনীতির সম্ভাবনা খুজে বের করতে এবং শিল্পখাতগুলোকে আরও ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অংশ হিসেবে আরও যত্নসহকারে এসব প্রকল্প দেখভাল করা হচ্ছে।“

কর্তৃপক্ষ বলছে, অবস্থানগত কারণ, নীতিগত সহযোগিতা ও সম্পদের প্রাচুর্যের কারণে কারণেই সম্ভাবনার নানা ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে সিনচিয়াং। ফলে এখান গড়ে উঠেছে নানা রকম শিল্প। বিশেষ করে তেল ও গ্যাস পেট্রোলিয়াম, খনি শিল্প, খাদ্যশষ্য চাষাবাদ, তুলা উৎপাদন ও টেক্সটাইল শিল্প। কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব খাতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহযোগিতার এক নতুন মাত্রা যুক্ত হবে অদূর ভবিষ্যতে।

 

ভিনদেশে চীন:

বাংলাদেশকে ৭শ সেট ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট হস্তান্তর করেছে চীন

শুভ আনোয়ার, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: বাংলাদেশকে সহযোগিতার অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে ৭শ সেট ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট হস্তান্তর করেছে চীন। বুধবার সকালে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাকক্ষে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের হাতে এসব ডেঙ্গু টেস্টিং কিট হস্তান্তর করেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। রাষ্ট্রদূত জানান, এই পরিমাণ কিট দিয়ে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষের ডেঙ্গু টেস্ট করা যাবে।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অদূরে অবস্থিত সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেওয়া হয় ৭০০ সেট টেস্টিং কিট। চীন সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর হাতে এসব কিট তুলে দেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রথম দফার টেস্টিং কিট দিয়ে প্রায় ১৯ হাজার মানুষের ডেঙ্গু টেস্ট করা যাবে। তিনি বলেন, চীনের দেওয়া ২৫ মিলিয়ন ইউয়ান বা ৪০ কোটি টাকা মূল্যের টেস্টিং কিটের বাকিটা আসবে পর্যায়ক্রমে। চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু ও কৌশলগত অংশীদার উল্লেখ করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে চীন।

“আমরা বন্ধু। আমরা সবসময় একে অপরকে সহযোগিতা করি। যখন চীন কিংবা বাংলাদেশে কোনো খারাপ সময় আসে তখন আমরা একে অপরকে সাহায্য করি। এটা আমাদের ট্রেডিশন আমরা সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দেই। যেমনটা আমরা তিন বছর আগে করেছিলাম। আমরা সকলেই কোভিড-১৯ এর মুখোমুখি হয়েছিলাম। তখন বাংলাদেশ চীনকে সাহায্য করেছে, একইভাবে চীনও বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ডেঙ্গুর সঙ্গে লড়াই করছে সুতরাং চীন এখানে অবশ্যই কিছু করবে। আমরা চিন্তু করেছি কি দেওয়া যায়। এই কিটগুলো টেস্ট এবং ডায়াগনসিসের কাছে লাগবে।... আজকে আমরা প্রথম ধাপে ৭০০ কিট দিয়েছি সামনে আরও আসবে।“

এ সময় বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপহার হিসেবে পাওয়া এসব কিট সরকারের নীতি অনুযায়ী ব্যবহার করা হবে।

এর আগে হাসপাতালের সভাকক্ষে দুপক্ষের সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়। সেখানে দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করে এবং ১ হাজারে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে ২৫ মিলিয়ন ইউয়ান সমমূল্যের অ্যান্টি-ডেঙ্গু টেস্টিং কিট দেওয়ার ঘোষণা দেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। গেল আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক কালে এমন ঘোষণা দেন তিনি।

কোম্পানি প্রোফাইল:

চীনের সেবাখাতের বাণিজ্য আকর্ষণ করছে বিদেশিদের

সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: চীনের সেবাখাতের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বিদেশি কোম্পানিগুলোকে ক্রমেই বিনিয়োগে উৎসাহিত করছে বলে মনে করেন দেশটির অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, সেবাখাতের স্থিতিশীলতা ও ডিজিটাল রূপান্তর প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা অনেক লাভজনক করেছে। পাশাপাশি নানা মাধ্যমে গ্রাহকের কাছাকাছি আসাও এখন আরও সহজ করেছে। এর ফলে চীনের বিভিন্ন শহরের সেবাখাতে বিনিয়োগে উৎসাহ দেখাচ্ছে বিভিন্ন দেশের কোম্পানিগুলো।

চীন সরকারের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, মূলত চীনের পরিবহন, বাণিজ্য, পর্যটন, টেলিযোগাযোগ, নির্মাণ, বিজ্ঞাপনখাত, কম্পিউটিং ও অ্যাকাউন্টিং সেবাখাতে বিদেশি কোম্পানিগুলো কাজ করার আগ্রহ দেখাচ্ছে।

চীনের শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, চীনের বাজার ধরতে হলে এবং গ্রাহকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হলে এখানে উৎপাদন কারখানা স্থাপন করা জরুরি। তা না হলে স্থানীয় কোম্পানি ও অন্যান্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে পেরে ওঠা সহজ হবে না।

বাণিজ্যখাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন ক্রমেই যে উন্মুক্তকরণের পথে হাঁটছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাণিজ্যিক নীতি কাঠামো সংস্কার করা হচ্ছে। ফলে বিদেশি কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের চিত্র এখন দৃশ্যমান।

সম্প্রতি নামকরা বিদেশি কোম্পানিগুলো চীনে আসছে, বিনিয়োগ করছে। এদের মধ্যে আছে ফ্রান্সের স্নাইডার ইলেক্ট্রিক এসই, ফিনল্যান্ডভিত্তিক ওয়ার্টসিলা কর্পোরেশন, সৌদি আরবের আজলান অ্যান্ড জোস গ্রুপ। এসব কোম্পানি এরইমধ্যে চীনে তাদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। এমনকি কোন কোন কোম্পানি তাদের আঞ্চলিক অফিস চীনে স্থাপন করছে।

স্নাইডার ইলেক্ট্রিক জানায়, চীনের ডিজিটাল ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারকে উৎসাহিত করার কার্যক্রম সেবাখাতে তাদের বাণিজ্যের জন্য সহায়ক হয়েছে। এই কোম্পানিটি চীনের বিভিন্ন স্থানীয় কোম্পানি ও উৎপাদনকারীদের কার্বন নিঃসরণ কমানোর মতো সফটওয়ার ও প্রযুক্তি সরবরাহ করে। বিশেষ করে ২০২৩ সালে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ফেয়ার ফর ট্রেড ইন সার্ভিসে সফটওয়ার ভিত্তিক সেবার দিয়ে সবার নজরে আসে। এর পর থেকেই কোম্পানিটির উৎপাদন অনেক বেড়েছে, বেড়েছে গ্রাক সংখ্যাও।

স্নাইডার ইলেক্ট্রকস এর চীন শাখার বাণিজ্য ও কৌশলগত উন্নয়ন বিষয়ক সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট সিয়ং ই জানান, ডিজিটাল অর্থনীতির এই সময়ে আধুনিক সেবাখাতের সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এই কার্যক্রম চীনের অর্থনীতিকে সত্যিকারের উন্নয়ন, মানোন্নয়ন ও রূপান্তরের দিকে দিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।