অক্টোবর ১১: চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বেইজিংয়ে তৃতীয় ‘বেল্ড অ্যান্ড রোড’ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ফোরাম আয়োজিত হবে। বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশ ও ৩০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা ফোরামে অংশ নেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
গত ১০ বছরে এ উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ২০২৩ সালের জুন মাসের শেষ দিক পর্যন্ত বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশ এবং ৩০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ উদ্যোগের আওতায় চীনের সাথে দুই শতাধিক সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করে। চীন-লাওস রেলপথ, জাকার্তা-বান্দুং দ্রুতগতির রেলপথসহ বিভিন্ন প্রকল্প বিআরআইয়ের বৈশিষ্ট্যময় প্রকল্পে পরিণত হয়েছে।
এ উদ্যোগের কাঠামোতে চীন ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে রপ্তানির মোট পরিমাণ ১৯.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ১০ অক্টোবর চীন সরকার ‘যৌথভাবে বেল্ড অ্যান্ড রোড উদ্যোগ বাস্তবায়ন: মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম’ শীর্ষক শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, উন্নয়ন হবে যে কোনো সমস্যা মোকাবিলার চাবিকাঠি।
বস্তুত, বিআরআই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন। এসব প্রকল্পের নির্মাণকাজ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। চীন-লাওস রেলপথ প্রকল্পকে উদাহরণ হিসেবে টানা যায়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এ রেলপথ চালুর পর থেকে মোট ৩৫০০ জনেরও বেশি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে এবং মাল পরিবহন, যাতায়াত, বাণিজ্য ও পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে জড়িত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় লক্ষাধিক। চীনের বিআরআই উদ্যোগ কোনো রাজনৈতিক জোট নয়, বরং অভিন্ন পরামর্শ, নির্মাণ ও উপভোগের উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নতুন মডেল।
বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুসারে, ২০৩০ সালে বিআরআই উদ্যোগের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ৭৬ লাখ লোক চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয় এবং ৩.২ কোটি লোক মাঝারি পর্যায়ের দারিদ্র্য থেকে মুক্তি লাভ করে।
বেল্ড অ্যান্ড রোড উদ্যোগের সফলতার মূল কারণ, চীন ও বিভিন্ন দেশের সাথে যৌথ প্রয়াসে মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজের প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা। চলমান ভোগৌলিক রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও বিশ্বের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে দুর্বলতার প্রেক্ষাপটে, এ উদ্যোগের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। (সুবর্ণা/আলিম/রুবি)