চীনের সেরা শিক্ষক ধান বিশেষজ্ঞ চাং হং ছেং এবং সিপিইউ মাতা হুয়াং লিং ই
2023-10-02 15:00:46

গত সপ্তাহের অনুষ্ঠানে আমরা ২০২৩ সালের জন্য নির্বাচিত চীনের দু’জন সেরা শিক্ষকের গল্প তুলে ধরেছি। আজকের অনুষ্ঠানে আরও দু’জন সেরা শিক্ষকের মুগ্ধকর গল্প শেয়ার করবো। আর এ দু’জন হলেন চীনের ধান বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলী চাং হং ছেং এবং চীনের নিজস্ব ব্রান্ডের সিপিইউ আবিষ্কারক ম্যাডাম হুয়াং লিং ই।

 

চীনের ইয়াংচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং চীনের প্রকৌশল একাডেমির শিক্ষাবিদ চাং হং ছেং চীনের সুবিখ্যাত ধান বিশেষজ্ঞের অন্যতম। টানা ৪৮ বছর ধরে তিনি ধান চাষের সহজতর প্রক্রিয়া, মেশিন দিয়ে ধান চাষা এবং নির্ভুল ধান চাষ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। তাঁর নেতৃত্বে চীনের বিভিন্ন এলাকায় কৃষিজাত দ্রব্যের চাষাবাদ পদ্ধতি আরও সমৃদ্ধ হয়েছে এবং চীনা কৃষকরা আত্মবিশ্বাসের সাথে উত্পাদন বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি চীনের খাদ্যশস্য উত্পাদন খাতের উন্নয়নে অনস্বীকার্য অবদান রেখেছেন।

 

শিক্ষাবিদ চাং হং ছেং বলেন, “আমি গ্রামে জন্মগ্রহণ করি এবং গ্রামেই বেড়ে উঠেছি। একজন কৃষক হিসেবে আমি অতীতের কৃষি খাতের দুর্বলতা ও কৃষিপণ্যের অভাবের স্বাক্ষী। কৃষি গবেষণা ও কৃষি বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকে আমি সহজ চাষাবাদ পদ্ধতি আবিষ্কার ও কৃষিজাত পণ্যের উত্পাদন বৃদ্ধির ওপর মনোযোগ দেই।”

 

সকাল সাড়ে ৮টায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উষ্ণ আবহাওয়ায় ইয়াংচৌ বিশ্ববিদ্যালের ধান পরীক্ষাক্ষেতে অধ্যাপক চাং মনোযোগের সাথে শিক্ষার্থীদের সামনে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। তিনি ধানের বীজের সমস্যা বিশ্লেষণ করেন; গরম সহ্য করেন অনায়াসে।

 

প্রতিবছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে ধান বড় হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়পর্ব। চীনের সুবিখ্যাত ধান গবেষক এবং চীনের চিয়াংসু প্রদেশের ধান শিল্পের প্রযুক্তি খাতের সেরা ও শীর্ষ বিশেষজ্ঞ হিসেবে ৭২ বছর বয়সের শিক্ষাবিদ চাং নিয়মিতভাবে উষ্ণ আবহাওয়ায় চিয়াংসু প্রদেশের ৪০টিরও বেশি পরীক্ষামূলক ঘাঁটি ও ২০টিরও বেশি ধান উত্পাদন জেলায় ধানক্ষেতের মান পর্যবেক্ষণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে তিনি ছাত্রছাত্রীদের ধান চাষের কলাকৌশল শেখাতে ব্যস্ত সময় কাটান। ইয়াংচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট শিক্ষার্থী ওয়াং রুই বলেন, শিক্ষক চাং ধানকে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হিসেবে দেখেন। তাঁর সময় থাকলে তিনি প্রতিদিন ধানক্ষেতে যেতে চান। ব্যবসার কারণে অন্য প্রদেশে গেলে, ফিরে আসার পর তাঁর প্রথম কাজ ধানক্ষেতে দাঁড়িয়ে বীজ ও ধানের চারা পর্যবেক্ষণ করা।

 

১৯৭২ সালে চিয়াংসু কৃষি একাডেমিতে ভর্তি হন শিক্ষার্থী চাং হং ছেং। তখন থেকে তাঁর জীবনে খাদ্যশস্যের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপিত হয়। স্নাতক হওয়ার পর তিনি শিক্ষক হিসেবে স্কুলে চাকরি পান। তাঁর প্রথম গবেষণার বিষয় ছিল কৃষির সহজিকরণ। যদিও নাম শুনলে সহজ মনে হয়, তবে এর পেছনে জটিল গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া রয়েছে। কৃষিক্ষেতে ধানের চারা রোপন বেশ ক্লান্তিকর ব্যাপার। তা কি অন্য পদ্ধতিতে লাগানো যায়? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেন তিনি। গত শতাব্দীর আশির দশকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দিন-রাত বিভিন্ন সৌরপদে কৃত্রিমভাবে ধানের চারা রোপনের পরীক্ষা চালান। তবে, ঝড়বৃষ্টির কারণে তাদের পরীক্ষার ফলাফল সবই নষ্ট হয়ে যায়। এ সম্পর্কে অধ্যাপক চাং বলেন, যদিও বৃষ্টির কারণে অনেক ধানের চারা নষ্ট হয়েছে, তবে তাদের মধ্যে কিছু কিছু চারা পাশের মাটিতে বড় হয়েছে এবং অবশেষে এগুলোতে ধানও উত্পন্ন হয়েছে।

 

পরে তিনি একটি নতুন পরীক্ষা চালান। ধানের চারার মূলের অংশ মাটিতে লেপ্টে গোল করে দূর থেকে তা ধানের ক্ষেত লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা। এতে ধানের চারাগুলো যেন ফুলের মতো ধানক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ে। কৃষকরা এ পদ্ধতিতে জমির আইলে দাঁড়িয়ে সংশ্লিষ্ট রোপন-কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। এভাবে শিক্ষক চাংয়ের প্রথম গবেষণা সফল হয়। চীনের কোটি কোটি কৃষকের ধানচাষের কষ্ট কেটে যায়। নতুন এই ‘চারা নিক্ষেপ প্রযুক্তি’ সারা চীনে ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত চীনের বিভিন্ন প্রদেশের ধানক্ষেতে এ প্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগ হয়েছে।

 

ধানচাষসংশ্লিষ্ট আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছিল: কিভাবে নির্দিষ্ট মাটিতে উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ করা যায়? ২০০৪ সালে শিক্ষক চাং এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা শুরু করেন। নতুন প্রজাতির ধান কেবল উচ্চ ফলনশীল নয়, বরং সুপার উচ্চ ফলনশীল প্রমাণিত হয়। অধ্যাপক চাং সে কথা স্মরণ করে বলেন, “ভোর ৪টায় গাড়িতে উঠে ধানক্ষেতে পৌঁছে নাস্তা করতে হয়। ধান বড় হওয়ার নিয়মিত প্যাটার্ন পর্যবেক্ষণ করা হয়ে ওঠে মূল কাজ। প্রতিদিন দুই-তিন বার টিশার্ট পরিবর্তন করতে হতো। এভাবে বহুদিন ধরে ধানক্ষেতে সময় কাটাতে হয়েছে।”

 

চাংয়ের সহকর্মীদের দৃষ্টিতে ধানের প্রতি আপন বাচ্চার চেয়েও বেশি যত্নশীল চাং হং ছেং। তাঁর ছেলেমেয়েকে তিনি বেশি সময় দিতে পারেন না। অধ্যাপক চাং, বহু বছরের গবেষণার পর, নির্দিষ্ট হিসাবনিকাশ করে জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে ধানের উত্পাদন সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৫০০ কেজি হওয়া সম্ভব। তবে, পরীক্ষামূলক ধানক্ষেতে টানা তিন বছরেও এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি। বিস্তারিত গবেষণা ও বিশ্লেষণের পর চাং মনে করেন, সুপার উচ্চ ফলনশীল ধানের বীজ নির্ভূলভাবে বড় হয়েছে। এখন বিভিন্ন ধাপের প্রযুক্তির চমত্কার ব্যবহার করতে হবে।

 

বহু বছর ধরে অধ্যাপক চাংয়ের নেতৃত্বে তাঁর ধান গবেষক দল সেরা ধানের চারা বেছে নেওয়া এবং সুনির্দিষ্টভাবে পানি ও সার দিয়ে ধানের বড় হওয়ার প্রক্রিয়া চমত্কারভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ফলে, টানা ৫ বছর সিংহুয়া এলাকার প্রতি হেক্টর ধানক্ষেতে ফলনের পরিমাণ ১৩ হাজার ৫০০ কেজি ছাড়িয়ে যায়। সুপার উচ্চ ফলনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। চাং মনে করেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাটি ও ধানের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা শেখা। তার মানে, মনোযোগ ও পরিশ্রমের সাথে কাজ করা প্রয়োজন।

 

শিক্ষার্থী ওয়াং রুই বলেন, শিক্ষক চাং সবসময় বলেন, প্রতিদিন পরিশ্রমের সাথে কাজ করে গেলে বড় পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। আর যদি প্রতিদিন অলস্যের সাথে কাজ করা হয়, তাহলে ধীরে ধীরে অন্যদের সাথে ব্যবধানও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

 

চাং সবসময় বলেন, মানুষকে পরিশ্রমের সাথে কাজ করতে হবে, প্রতিদিন অন্যদের চেয়ে একটু বেশি সময় দিয়ে কাজ করতে হবে। এভাবে দীর্ঘকাল শেষে সাফল্য অর্জন সম্ভব হবে।

 

ভালো করে সময় নিয়ন্ত্রণ করার কারণে টানা ৪৮ বছর ধরে অধ্যাপক চাং কৃষি গবেষণার কাজের সবচেয়ে উন্নত স্তরে এসে দাঁড়াতে পেরেছেন। চীনের ১০টির বেশি প্রদেশ সফর করতে হয়েছে তাকে কৃষিকাজের জন্য। গত কয়েক দশক ধরে তিনি গাড়িতে একটি কুইল্ট বহন করে আসছেন। যাত্রার পথে বিশ্রামের সময় এই কুইল্ট তাঁর কাজে লাগে। গন্তব্যে পৌঁছে তিনি আর বিশ্রাম নেন না, বরং কাজে লেগে যান।

 

অধ্যাপক চাং ছাত্রছাত্রীদের বলেন, যারা কৃষিরকাজের সাথে জড়িত, তাদেরকে কষ্ট সহ্য করতে হয়। কারণ, তাদেরকে সবসময় মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। গত ৪০ বছরের মধ্যে তিনি ১৪০ জনেরও বেশি কৃষি বিষয়ক মাস্টার্স ও ডক্টরেট শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

 

যদিও অধ্যাপক চাংয়ের বয়স ৭২ বছর, তবে এখনও তিনি নিয়মিত কৃষিক্ষেতে দৌড়াদৌড়ি করেন। তাঁর স্বপ্ন কৃষিকাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ এবং কৃষিকাজে মানুষের হাতের ব্যবহার কমানো। ভবিষ্যতে চীনের চাষ শিল্প বিশ্বের শীর্ষ স্থানে দাঁড়াবে বলে আশা করেন তিনি।

 

চীনের সিপিইউ’র মাতা অধ্যাপক হুয়াং লিং ই

আজকের অনুষ্ঠানে আরেকজন সেরা শিক্ষকের গল্প তুলে ধরবো। তবে, দুঃখের ব্যাপার হল, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁর নাম হুয়াং লিং ই। তিনি চীনের সিপিইউ’র মাতা হিসেবে সুপরিচিত। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স শিল্প।

 

১৯৩৬ সালে হুয়াং লিং ই চীনের কুয়াংসি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নাননিং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ছোটবেলায় জাপানি আগ্রাসন হয়। বড় হওয়ার পর তিনি হুয়াচং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিকন্ডাক্টর বিভাগ চালু করা হয়। তখন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশেষজ্ঞরা ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস চালু করেছিলেন। হুয়াং লিং ই ছিলেন ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিকন্ডাক্টর বিভাগের সেরা ছাত্রী। তখন থেকে মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স শিল্পের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপিত হয় তাঁর।

 

ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় তিনি বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় যোগ দেন। ১৯৬০ সালে স্নাতক হয়ে হুয়াচং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিকন্ডাক্টর বিভাগও চালু করেন তিনি। তখন তিনি একদল যুব শিক্ষককে সাথে নিয়ে চীনের প্রথম সেমিকন্ডাক্টর পরীক্ষাগার স্থাপন করেন।

 

কাঁচামাল, উপযোগী সরঞ্জাম ও দক্ষ ব্যক্তির অভাব ছিল তখন। এর মধ্যেই চীনের নিজস্ব প্রযুক্তি ও গবেষকদের প্রচেষ্টায় সেমিকন্ডাক্টর ডায়োড আর ট্রানজিস্টর আবিষ্কার করেন তাঁরা। সেটি আধুনিক চীনের জন্য বড় অগ্রগতি ছিল। ১৯৬৬ সালে চীনের নিজের তৈরি স্পেস কম্পিউটার বিশ্বের সামনে হাজির হয়। তখন থেকে চিপ ব্যাপকভাবে বিভিন্ন শিল্পে প্রয়োগ করা শুরু হয়। তখন চীনের ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটে চিপও ব্যবহার করা হয়। ১৯৮৪ সালে অধ্যাপক হুয়াংয়ের চিপ আর ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের গবেষণা বিশ্ব মানের কাছাকাছি পৌঁছায়। তবে বিজ্ঞান গবেষণার বাজেটের অভাবে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাতিল করা হয়। সেটি ছিল হুয়াং’র জন্য সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার।

 

গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে তিনি বিদেশে যান। তিনি সেখানে খেয়াল করেন যে, বিশ্বের উন্নত পেটেন্ট মেলায় চীনের স্টল খুবই ছোট ও দুর্বল। দেখে তিনি দুঃখ পান। ২০০১ সালে ৬৬ বছর বয়সের হুয়াং অবসর জীবন থেকে আবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির  জগতে ফিরে আসেন। তিনি চীনের চিপ তৈরির কাজে আবার অংশ নেন। যদিও বিজ্ঞান গবেষণার বাজেট খুবই কম, তবে তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্পে যোগ দেন।

 

টানা ১৫ বছর ধরে চলে বিভিন্ন ধরনের চিপস নিয়ে গবেষণাকাজ। ‘লুংসিন ৩’ চিপস আবিষ্কারের পর চীনের ফুশিং দ্রুতগতির ট্রেনে পুরোপুরি নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহৃত হতে শুরু করে। লুংসিন চিপস চীনে কম্পিউটারের মূল যন্ত্রাংশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক।

 

যদিও চিপস গবেষণার প্রক্রিয়া অনেক চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার, তবে চীনের নিজস্ব চিপসের প্রয়োগ পাশ্চাত্যের প্রযুক্তির বাধা ভেঙ্গে দিতে সক্ষম। চীনারা মাথা উঁচু করে বিশ্বের মঞ্চে দাঁড়াতে পারে। সেটি প্রত্যেক চীনার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ও গর্বের ব্যাপার।

(সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)