‘তারুণ্যের অগ্রযাত্রা’ পর্ব ৩৭
2023-09-27 15:38:31


‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী।  দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার প্রধান হাতিয়ার তারুণ্য। তরুণরা চাইলেই পারে সমাজকে বদলে দিতে। এজন্য দরকার তাদের চিন্তা ও মেধার সমন্বয়। চীন ও বাংলাদেশের তরুণদের অফুরান সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবো এই অনুষ্ঠানে। তরুণদের সৃজনশীলতার গল্পগাঁথা নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের তারুণ্যের অগ্রযাত্রা।       

১. কঠোর পরিশ্রম সাফল্যের পথ তৈরি করে: তরুণ প্রতিভাবান শিল্পী সি শা

 

চীনের ব্লকবাস্টার হিট চলচ্চিত্র ‘ক্রিয়েশন অব দ্য গডস আই: কিংডম অব স্টর্মসে’ অভিনয় করেছেন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ প্রতিভাবান শিল্পী সি শা। অধ্যবসায়, কঠোর পরিশ্রম সাফল্যের পথ তৈরি করে বলে মনে করেন এই উদীয়মান চলচ্চিত্র তারকা।

ফ্যান্টাসি এপিক "ক্রিয়েশন অব দ্য গডস আই: কিংডম অব স্টর্মস" ট্রিলজি মুভির প্রথম চলচ্চিত্র, যা মিং রাজবংশের উপন্যাস ফংশেন ইয়ানই বা "দেবতার বিনিয়োগ" থেকে নেয়া হয়েছে।

 

একজন তরুণ প্রতিভাবান অভিনেতা সি শা ব্লকবাস্টার হিট চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করে এরই মধ্যে বেশ খ্যাতি পেয়েছেন। তিনি বলেছেন,একজন মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করে। 

সম্প্রতি চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনকে (সিসিটিভি) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সি শা এ কথা বলেন।

সি শা ‘ক্রিয়েশন অব দ্য গডস আই: কিংডম অব স্টর্মস’ চলচ্চিত্রটিতে তার চরিত্র ইয়াং চিয়ান সম্পর্কে কথা বলেন, যিনি মুভিতে শক্তিশালী জাদু এবং মার্জিত মার্শাল দক্ষতা ব্যবহার করেন। 

 

"সেই দৃশ্যটি করতে এক মাসেরও বেশি সময় লেগেছে। আমাকে মোট ৩৯টি অঙ্গভঙ্গি করতে হয়েছে এবং আমি প্রতিদিন বারবার অনুশীলন করেছি।"

সি শা অল্প বয়স থেকেই বিনোদন ও শিল্প জগতের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন চীনের বৃহত্তম ফিল্ম স্টুডিও হাংতিয়ান ওয়ার্ল্ড স্টুডিওতে খণ্ডকালীন কাজ করতেন, যা তাকে অভিনয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। 

 

 “ ছোটবেলা থেকেই শিল্পকর্মের প্রতি আগ্রহী ছিলাম। আমি ঘোড়দৌড়, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মতো নানা কাজে অংশ নিতেও আমি ভালোবাসি। আমি হাংতিয়ানে খণ্ডকালীন কাজ করার পর থেকে একজন অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। একজন অভিনেতা হতে যা দরকার সেই অভিজ্ঞতা আমাকে সেভাবে তৈরি করেছে। আমি একবার একদিনে সাতটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। কিন্তু আমি তাতে কোনো সম্মানবোধ করিনি। কিন্তু আমি মনে করি একটি চরিত্রের জীবনযাপন করা খুব আকর্ষণীয়। সত্যিই এই চলচ্চিত্রে কাজ করে আমার খুব ভালো লাগছে।’  

 

কোভিড ১৯ মহামারীর কারণে ২০২০ সালের গোড়ার দিকে "ক্রিয়েশন অব দ্য গডস" পুরো প্রযোজনা গুটিয়ে নেওয়া হয়। সিরিজটির তিনটি চলচ্চিত্র ২০২০, ২১ এবং ২২ সালের গ্রীষ্মে ধারাবাহিকভাবে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা তিন বছরের জন্য পিছিয়ে যায়। 

সব কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেলে তীব্র মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয় সি শা কে।

 

 

তরুণদের উদ্দেশ্য করে সি শা বলেন, নিজের স্বপ্নকে অনুসরণ করে সে অনুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ। কোনো বিপত্তির সম্মুখীন হলে, কখনই হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

প্রতিবেদক: রওজায়ে জাবিদা ঐশী

সম্পাদক : মাহমুদ হাশিম   

 

২. চীনা ভাষা খুব আনন্দের সঙ্গে শেখা যায় বললেন, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে চীনা ভাষা শিখছেন বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী। তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি চীনা ভাষা শিখছেন। এসব শিক্ষার্থীর বেশিরভাগেরই ইচ্ছে চীন গিয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করা। চীনা ভাষা শেখার মাধ্যমে কাজের ক্ষেত্রগুলো প্রসারিত হবে। সম্প্রতি চায়না মিডিয়া গ্রুপকে এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন তারা।  

 

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : রওজায়ে জাবিদা ঐশী

 

৩. বাণিজ্যিক গানের উৎসবে তরুণদের পদচারণা বাড়ছে

 

চীনের তৃতীয় এবং চতুর্থ-স্তরের শহরগুলো পর্যটন এবং ভোগকে উন্নীত করার লক্ষ্যে সংগীত উৎসবের আয়োজন করে আসছে। এই বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশব্যাপী মোট ১ লাখ ৯৩ হাজার বাণিজ্যিক সংগীত ইভেন্ট মঞ্চস্থ হয়েছে।


সেপ্টেম্বরের শুরুতে, পূর্ব চীনের চিয়াংসু প্রদেশের ইয়াংচৌতে অনুষ্ঠিত হয় কুয়াচৌ সংগীত উৎসব। দুই দিনের ইভেন্টে ২৬ জন গায়ক ও ব্যান্ড দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।  তাদের গ্ল্যামারাস পারফরম্যান্স তরুণ ভক্তদের উল্লসিত করে। কারণ ইভেন্টের আয়জকরা জানান, ওই উৎসবটি ৬০ হাজার ভক্তকে আকর্ষণ করে, যার বেশির ভাগই তরুণ।  তরুণরা গানের ইভেন্ট খুব পছন্দ করে। তারা খুব আগ্রহ নিয়ে গান শুনতে আসে বলেও জানান তারা।

 

একই সপ্তাহে চিয়াংসুর আরেকটি শহর ছাংচৌ একটি আউটডোর মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে, যেখানে ৫০ হাজার সঙ্গীত প্রেমীর সমাগম ঘটে। এসব আয়োজনের ৭৯ শতাংশ তরুণ দর্শক বলেও জানা যায়।

 

সংগীত উৎসব কেবল একটি আনন্দ আয়োজন নয়, এর সঙ্গে দর্শক বা পর্যটকদের ক্যাটারিং, আবাসন, পরিবহন, কেনাকাটা ও বিনোদনসহ অনেক কিছুই সম্পৃক্ত।  তাই এই উদ্যোগটিকে বাণিজ্যিকভাবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

প্রতিবেদক : রওজায়ে জাবিদা ঐশী

সম্পাদক : মাহমুদ হাশিম 

 

আমাদের ‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ আজ এই পর্যন্তই। পরবর্তী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভকামনা সবার জন্য। আল্লাহ হাফেজ।

 

পরিকল্পনা ,পরিচালনা ও সঞ্চালনা : রওজায়ে জাবিদা ঐশী

অডিও সম্পাদনা: রফিক বিপুল/ রওজায়ে জাবিদা ঐশী

সার্বিক সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী