ইয়ুন দুও
2023-09-27 15:53:03

ইয়ুন দুও বা শিয়ে ছুনফাং, ছিয়াং জাতির মানুষ। তিনি ১৯৮৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সিছুয়ান প্রদেশের আবা তিব্বত ও ছিয়াং জাতি স্বায়ত্তশাসিত জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। চীনের মূল-ভূখণ্ডের একজন নারী কণ্ঠশিল্পী তিনি।

ইয়ুন দুও ২০০৫ সালে পদ্ধতিগত শিল্পশিক্ষা গ্রহণ শুরু করেন। ২০০৬ সালে তিনি তাঁর শিক্ষক দাও লাংয়ের সঙ্গে ‘ভালোবাসা তুমি আর আমি’ শীর্ষক দ্বৈতকণ্ঠের একটি গান প্রকাশ করেন। 


২০১১ সালের জানুয়ারিতে ইয়ুন দুও তাঁর নিজের নামে অ্যালবাম ‘ইয়ুন দুও’ প্রকাশ করেন। পাঁচ বছর পর তাঁর জন্য শিক্ষক দাও লাংয়ের লেখা ও সুর করা অ্যালবামের শিরোনামের গানটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়। ওই পাঁচ বছর দাও লিং কেবল তার জন্য গান রচনা করেননি এবং সুর দেননি; বরং ইয়ুন দুও’কে ভালোভাবে প্রশিক্ষণও দেন। ইয়ুন দুও’র মাধ্যমে দাও লাং সঙ্গীতের ব্যাপারে তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের সুযোগ পান। বাস্তবতা মানুষকে শক্ত করে কিংবা উদাসীন করে দেয়। ইয়ুন দুও’র গান শুনে সবচেয়ে বিশুদ্ধ স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া যায়। আচ্ছা বন্ধুরা, এখন আমি গানটি আপনাদেরকে শোনাচ্ছি। তারপরই শোনাবো অ্যালবামের অন্য একটি গান। গানের শিরোনাম ‘মনের ঘরমুখী যাত্রা’। গানটি ইয়ুন দুও’র স্বতন্ত্র মৌলিক একক গান। 

২০১৩ সালের মে মাসে ইয়ুন দুও তাঁর দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘একগুঁয়ে’ প্রকাশ করেন। এতে মোট দশটি গান রাখা হয়। এটি দু’বছর সময় নিয়ে তৈরি একটি অ্যালবাম। এই অ্যালবামের মধ্য দিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো অ্যালবাম নির্মাণ প্রক্রিয়ায় যোগ দেন। এতে তিনি অনেক সৃজনশীলতা উপস্থাপন করেন। এ অ্যালবামের প্রধান গানগুলোর কথা ও সুর তাঁর সৃষ্টি। এছাড়া তাঁর শিক্ষক দাও লাং তাঁর জন্য বেশ কয়েকটি গান রচনা করেন এবং সুর দেন। ‘আমার লৌলান’ ও ‘মেষপালক’ এগুলোর মধ্যে অন্যতম। 


কেমন লেগেছে গানগুলো, বন্ধুরা? গান শুনতে শুনতে বিদায়ের সময় চলে এসেছে। আসলে ইয়ুন দুও’র আরও অনেক সুন্দর গান আছে। কিন্তু এতো অল্প সময়ে সেগুলো শোনানো সম্ভব না। ভবিষ্যতে সুযোগ হলে আমি তাঁর আরও সুন্দর সুন্দর গান আপনাদেরকে শোনাবো, কেমন? যাহোক অনুষ্ঠানের শেষে আমি আপনাদেরকে ইয়ুন দুও’র আরেকটি গান শোনাতে চাই। গানের শিরোনাম ‘মেষপালক’। ২০১৪ সালের ১১ জানুয়ারিতে তিনি এ গানটি দিয়ে ‘চীনের ১০টি সেরা সোনালি সঙ্গীত পুরস্কার’ জেতেন। 

 (প্রেমা/রহমান)