পশ্চিম মুখে আমার যাত্রা-পূর্ব ৩
2023-09-20 18:56:50

প্রিয় বন্ধুরা, গত সপ্তাহের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম, দুদিনের কাজ শেষ করে আমরা তৃতীয় জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হই। এবার আমাদের গন্তব্য পুলান জেলা।

আজকের অনুষ্ঠানে আমরা পুলান জেলায় আমাদের ভ্রমণ সম্পর্কে জানাবো আপনাদেরকে।

জান্দা জেলা ও পুলান জেলার মধ্যে দূরত্ব ৩৩০ কিলোমিটার। সেখানে যেতে এক দিন সময় লাগে। কোলাহল থেকে দূরে একটি মনোরম ভূমি এই গ্যাং রিনপোচে, ভারতবর্ষে যা ‘কৈলাস পর্বত’ নামে পরিচিত। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ পবিত্র পর্বত এবং পৃথিবীর ‘তৃতীয় মেরু’। অতীতে এখানকার প্রাচীন মন্দির ও প্রাচীরচিত্রগুলো প্রত্যেক বিশ্বাসীর কাছে পবিত্র ছিল।

এই ভূমিতে আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের আতিথেয়তা উপভোগ করি, চা খাওয়া এবং তাদের সঙ্গে আড্ডার মধ্য দিয়ে। তারা সহজ ভঙ্গিতে নিজেদের জীবনের আকাঙ্ক্ষার কথা বলে যান।

পায়ে হেঁটে তীর্থযাত্রা ইতিহাসের দীর্ঘতম নদীতে হাঁটার মতো। ধাপে ধাপে আরোহণ, প্রতিটি পদক্ষেপ বাস্তব ও ধর্মীয় ভাবে পূর্ণ।

দূর থেকে গ্যাং রিনপোচের চূড়ার দিকে তাকালে মনে হয় স্বর্গের দরজা একটু একটু করে কাছে আসছে। সেই মুহূর্তে, হৃদয়ে আনন্দ ও মুগ্ধতার মিশেলে এক অবিস্মরণীয় আবেগের সৃষ্টি হয়।

আমি কোনও ধর্মে বিশ্বাসী নই। তবে তিব্বতে সবসময় ঐকান্তিক বিশ্বাসী দেখতে পাই। বিশেষ করে গ্যাং রেনপোচে কেউ কেউ চীন কিংবা বিশ্বের অন্যান্য প্রান্ত থেকে এখানে এসে হাঁটু গেড়ে উপাসনা করেন। অনেকে পরিবার নিয়ে আসেন, প্রবীণ থেকে ছোট বাচ্চা পর্যন্ত তারা গ্যাং রেনপোচে কেন্দ্র করে ৫৬ কিলোমিটার পথে হাঁটাহাঁটি করেন। এটিকে বলা হয় ‘ছুয়ান শান’, মানে পবিত্র পাহাড়কে কেন্দ্র করে ঘোরা। তাদের বিশ্বাস, একবার ঘুরলে অসুস্থতা দূর হবে আর বারবার ঘুরলে বুদ্ধের আরও কাছাকাছি যাওয়া যাবে।

আমরা সৌভাগ্যবান। কারণ এবারের সুযোগ ছাড়া হয়ত সারাজীবনে আর গ্যাং রেনপোচে আসতে পারবো না। বেইজিং থেকে এখানকার দূরত্ব ৪ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। এখানে আসতে যেমন অনেক সময় লাগে, তেমনি খরচও হয় অনেক। এখানে দাঁড়িয়ে আমি উপলব্ধি করতে পারি, কেন সবাই এই পবিত্র পাহাড়ে আসেন। আপনি যে ধর্মে বিশ্বাসী হোন না কেন, এখানে এলে উপলব্ধি করবেন, এখানে সবাই আকাশের খুব কাছাকাছি এবং তাদের মনভরা শান্তি।

যেদিন আমরা গ্যাং রেনপোচে যাই, সেদিন আমার শারীরিক অবস্থা বেশি ভাল ছিল। তাই ৪ হাজার ৭শ’ মিটার উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে লাইভ অনুষ্ঠান করলেও আমার কোন অসুবিধা হয় না। সেদিন আবহাওয়াও ভাল ছিল। সাধারণত উঁচু জায়গায় আবহাওয়া দ্রুত পরিবর্তিত হয়। অনেক মানুষ গ্যাং রেনপোচে আসলেও তাদের অনেকে কুয়াশার কারণে কিংবা পাহাড় মেঘে লুকিয়ে থাকার কারণে পবিত্র পাহাড় দেখতে পারেন না। তাই গ্যাং রেনপোচে দেখতে পাওয়াকে সৌভাগ্যের একটি প্রতীক বলে মনে করা হয়। আমাদের সেদিনের আরেকটি কাজ হলো ইয়াক পরিবহন দলের শুটিং। আসলে নাম থেকে আপনারা একটু বুঝতে পারছেন যে, এটি ইয়াক বা চমরি গরু দিয়ে তৈরি একটি পরিবহন দল। আগেই আমি বলেছি, প্রতি বছর চীন ও প্রতিবেশী নেপাল ও ভারত থেকে অনেক মানুষ এখানে এসে ‘ ছুয়ান শান’ করেন অর্থাৎ পবিত্র পাহাড়কে কেন্দ্র করে ঘোরেন। একবার ঘুরতে দু-তিন দিন সময় লাগে। পর্যটকরা নিজেদের অবস্থা অনুযায়ী নানা সেবা বাছাই করতে পারেন। যেমন ঘোড়ায় চড়ে ছুয়ান শান করতে পারেন। অবশ্য বেশির ভাগ মানুষই পায়ে হেঁটে ছুয়ান শান করেন। ইয়াক পরিবহন দল পর্যটকদের লাগেজ বহন করে সাথে সাথে যায়। তারা গ্যাং রেনপোচে এক বা দু রাতের মতো ঘুমায় আর সেখানে কোনও হোটেল বা বাড়িঘর নেই। মাঝখানে দু একটি সহায়তা কেন্দ্র ছাড়া আর কিছু নেই। তাই সবাইকে তাবু, পোশাক, খাবার ইত্যাদি নিয়ে যেতে হয়। এ জন্য লাগেজ খুব ভারী হয়। যদি মানুষ এগুলো বহন করে উঁচু জায়গায় হাঁটাহাঁটি করে, তবে তা কঠিন হবে। বিশেষ করে বিদেশি পর্যটকরা তিব্বতী খাবার খেতে পছন্দ করেন না। তারা রান্নার সরঞ্জাম নিয়ে আসেন। তাই তাদের জন্য ইয়াক পরিবহন দলের সাহায্য প্রয়োজন হয়। ইয়াক তিব্বতের সাধারণ এক ধরনের গরু। তবে তারা সাধারণ গরুর চেয়ে শক্তিশালী ও বড়। জানা গেছে, তিন বছর বয়স থেকে ইয়াক এমন লাগেজ বহনের কাজ করতে পারে। পোষা ইয়াক বুনো ইয়াকের চেয়ে ভিন্ন। মানুষের সঙ্গে এদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ এবং এরা মানুষকে ভয় পায় না। একটি ইয়াকের সঙ্গে থাকেন একজন গাইড। তিনি পর্যটকের সঙ্গে ছুয়ান শান করেন এবং ইয়াকের যত্ন নেন। এমন একটি ইয়াক ও একজন মানুষ নিয়োগ করলে প্রতিদিন খরচ হয় ৭০০ ইউয়ান। আমি গ্যাং রেনপোচেতে এমন ১০-১২টি ইয়াক দেখতে পাই, যারা বিদেশি পর্যটকদের লাগেজ নিয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। আমি তাদের কাছে গিয়ে দেখি, তারা আমাকে ভয় পায় না। আমি হাত দিয়ে তাদেরকে স্পর্শ করি। খুব মজার একটি অভিজ্ঞতা! পাশে এক ভাই আমার ও ইয়াকের ছবি তুলতে সাহায্য করেন। ইয়াক দলের একজন মেয়ে আমাকে জানান, অদূরে দাঁড়িয়ে আছে একটি ইয়াক, যেটি সবচেয়ে শান্ত। জন্ম থেকে তার কোনও শিং নেই। তাই সহজে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। বলা হয়, সাধারণত মানুষ ইয়াক চড়তে পারে না। তবে এ ইয়াকটি ছোট বাচ্চাও চড়তে পারে। কিছুক্ষণ পর ইয়াক দল রওনা হয়।

সকালে গ্যাং রেনপোচে পাহাড়ে সব শুটিংয়ের কাজ শেষ করে আমরা সাময়িকভাবে সেখান থেকে বিদায় নিই। সাময়িক বলছি কারণ এক দিন পর আমরা আবার এখানে ফিরে আসছি। এটি পরের কথা। বিকেলে আমরা হোটেলে ফিরে যাই। কিছু দৃশ্য ধারণের জন্য পরিচালক ও ফটোগ্রাফার একটি মন্দিরে থামেন। গ্যাং রেনপোচে ছেড়ে আসার পর আমার কিছুটা মাথা ব্যাথা হয়, যেজন্য তাই আমি ওই মন্দিরে যাইনি। আমি গাড়িতে থেকে তাদের জন্য অপেক্ষা করি। তবে ৩০ মিনিট পরও তারা ফিরে আসেন না, আমিও একা একা গাড়িতে বসে থেকে বিরক্ত হয়ে উঠি। তাই ফোন নিয়ে নেমে যাই। আমরা তখন ছোট একটি পবর্তের ওপরে; নামলে হ্রদের কাছে যেতে পারি। তবে কিছু সময় লাগে। আমি নিচে যাইনি। শুধু ছোট পাহাড়ের উপর থেকে অদূরে পবিত্র হ্রদ দেখি। আসলে গতকাল হোটেলে যাবার পথে আমি পবিত্র হ্রদের কাছে গিয়েছিলাম। পবিত্র হ্রদের তিব্বতি নাম হচ্ছে মাপাংইউং চুও। তিব্বতি ভাষায় চুও মানে হ্রদ। তাই যদি আপনারা তিব্বতে আসেন, তাহলে আবিষ্কার করবেন, অনেক জায়গার নামে চুও শব্দ আছে। এর মানে এ জায়গাটি একটি হ্রদ।

তিব্বতে পবিত্র হ্রদ তিনটি আছে। সেগুলো হলো মাপাওইউং চুও, নামু চুও ও ইয়াংচুইউং চুও। মাপাং ইউং চুও মানে চিরস্থায়ী পরিষ্কার হ্রদ। মাপাংইউং চুওর উচ্চতা ৪ হাজার ৫৮৮ মিটার এবং এটি বিশ্বে সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত বিশুদ্ধ পানির হ্রদগুলোর একটি। এ হ্রদটি গ্যাং রেনপোচে থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এবং এর আয়তন ৪০০ বর্গকিলোমিটারের বেশি। শুনেছি স্থানীয় মানুষরা পবিত্র হ্রদে মাছ ধরে না। কারণ পবিত্র হ্রদের মাছও পবিত্র মনে করে তারা। মনে পড়ে, আগে একদিন হ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন ওখানে প্রচুর বাতাস ছিল। আমি ফোন দিয়ে কিছু ছোট ভিডিও ধারণ করি। পরে আবিষ্কার করি, আমার কণ্ঠ কিছুই রেকর্ডিং হয়নি। বাতাস ছাড়া কোনও শব্দ শোনা যায় না। বলা হয়, এ হ্রদের পানি মিষ্টি এবং খেলে ‘শত প্রজন্মের পাপ’ ধুয়ে যায়। তবে আমি ট্রাই করিনি। আমার জন্য পবিত্র হ্রদ দেখাই যথেষ্ট এবং এটা অসাধারণ স্মৃতি।

এ দিনের কাজ মোটামুটি শেষ করে হোটেলে ফিরি। পরবর্তী দিন আমার একটি ভিডিও শুটিং আছে তাই আমি তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাই। পরদিন আমরা খ্য চিয়া নামে একটি মন্দিরে শুটিং করতে যাই। এ মন্দির আমাদের হোটেল থেকে বেশি দূর নয়; গাড়িতে যেতে ১ ঘন্টার মতো লাগে। এখানে আমরা পুলান পোশাক এবং সুয়ান নামে একটি স্থানীয় নৃত্য নিয়ে একটি ভিডিং শুটিং করবো।

‘শুয়ান’ প্রাচীন শাংশুং রাজবংশ আমলে প্রচলিত হওয়া এক ধরনের নৃত্য। এটি এনগারি এলাকার শাংশুং রাজবংশের সবচেয়ে সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্প। এটি শাংশুং থেকে গুজ রাজবংশ পর্যন্ত হাজার হাজার বছর ধরে চলে এসেছে। ‘শুয়ান’ নৃত্য হলো কথা বলা, গান গাওয়া ও নাচের সংমিশ্রণ। পোশাকগুলো চমত্কার ও জমকালো, গানগুলো সুরেলা এবং নাচের ভঙ্গি আভিজাত্যপূর্ণ। নৃত্যের ধরনটি তিব্বতি নৃত্যের দ্রুত ছন্দ থেকেও আলাদা। এতে মধ্য ও দূরবর্তী তিব্বতের লোকনাচের সবচেয়ে সুন্দর অংশের মিশ্রণ রয়েছে। এটি তিব্বতি জনগণের সমৃদ্ধি ও সুন্দর পোশাক প্রদর্শনের একটি চমত্কার উপায়।

তিব্বতের পুলানের বিস্তীর্ণ তৃণভূমিতে একটি ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের চর্চা হয় - ঐতিহ্যবাহী শুয়ান নৃত্য। এর রয়েছে গভীর সাংস্কৃতিক অর্থ।

পুলানের শুয়ান নাচ এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের একটি অনন্য নৃত্য। তাঁরা চিত্তাকর্ষক ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে এবং সুন্দর সঙ্গীতের তালে নাচে। তখন তাদের ভীষণ সুন্দর লাগে।

শুয়ান নাচের ভঙ্গি চমত্কার; নৃত্যশিল্পীদের অঙ্গভঙ্গি ও পদক্ষেপে দারুণ সমন্বয় থাকে। নাচের মাধ্যমে তাঁরা তুলে ধরেন হরিণ, উড়ন্ত ঈগল তথা প্রকৃতির জীবনীশক্তি ও সৌন্দর্যকে।

পুলান শুয়ান নৃত্য শুধু এক ধরনের বিনোদনই নয়; এক ধরনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও বটে। শুয়ান নাচ প্রকৃতির প্রতি পুলানবাসীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের নিদর্শন। তাদের জীবন, তাদের ভালোবাসা ও অনুভূতি ফুটে ওঠে এই নাচে।

পুলান শুয়ান নাচ প্রবীণরা নবীনদের শেখান। মুখে মুখেই এই শিক্ষার কাজটি চলে এসেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।

পুলানের ঐতিহ্যবাহী উত্সব ও উদযাপনে অধিবাসীরা চমত্কার পোশাক পরে, গান গায়, নাচে এবং বিশ্বকে শুয়ান নাচের সৌন্দর্য দেখায়। এই সুন্দর ভূমিতে শুয়ান নৃত্য জীবন ও প্রকৃতির প্রতি পুলানবাসীর শ্রদ্ধার নিদর্শন।

তিব্বতের এনগারি অঞ্চলের পুলান জেলার কেচিয়া গ্রামে অনন্য তিব্বতি পোশাক - পুলান পোশাক - এখনও সংরক্ষিত রয়েছে। পুলান পোশাকের নকশা অনন্য। সাধারণ পোশাকের মধ্যে রয়েছে লম্বা পোশাক, তিব্বতি বুট, বেল্ট, ইত্যাদি। পোশাকের প্রতিটি অংশ যত্ন সহকারে হাত দিয়ে তৈরি করা হয়। এতে জীবন ও প্রকৃতির প্রতি স্থানীয় বাসিন্দাদের ভালোবাসা মূর্ত হয়।

এতে অনেক মূল্যবান উপাদান ব্যবহার করা হয়। যেমন স্বর্ণ, রৌপ্য, ফিরোজা, মুক্তা, এগেট, ইত্যাদি। এই মাটির ঐতিহ্যবাহী পোশাক শুধু শিল্পেরই মূর্ত প্রতীক নয়, এখানকার সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারেরও সাক্ষী।

শুয়ান নৃত্য ও পুলান পোশাক স্থানীয় দুটি অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বিশেষ করে পুলান পোশাক এখন বিশ্বে মাত্র ৮টি সংরক্ষিত আছে। শুটিংয়ের সময়ে আমরা পুলান পোশাকের অবিকল কপি পরি কারণ একটি পোশাকে লাগানো নানা স্বর্ণ, রৌপ্য, ফিরোজা, মুক্তা, এগেটের দাম হতে পারে ৫ থেকে ৩০ লাখ ইউয়ান পর্যন্ত। তার মানে একটি বাড়ির দামের সমান। এ পোশাক উত্তাধিকার সূত্রে পাওয়া যায়। মা মেয়েকে বা ছেলেকে দেন। জানা গেছে, এখন সবচেয়ে ভাল সংরক্ষণিত পুলান পোশাক মাত্র ৮টি। মূল্যবান এই পাথরগুলো আর পাওয়া যায় না এবং পোশাক তৈরির কৌশলও কিছুটা হারিয়ে গেছে। তাই আজকাল মানুষ আর এ পোশাক তৈরি করতে পারে না। আমি পুলান পোশাকের একটি কপি পরি। আসল পোশাক না হলেও খুব সুন্দর লাগে। স্থানীয় একজন আপু আমাকে শুয়ান নৃত্যের কিছু মৌলিক মুভমেন্ট শিখিয়ে দেন। তার সঙ্গে হাতে হাত রেখে নাচ করি। আহা কি সুন্দর!

এ পর্যন্ত এগারি অঞ্চলে আমাদের সব কাজ শেষ হয়। তবে যাত্রা এখনও শেষ হয়নি। বাকি কয়েকদিন আমরা কী করেছি? জানাবো আগামী সপ্তাহের অনুষ্ঠানে।(শিশির/রহমান/রুবি)