দশ বছরে চীনের অবাধ বাণিজ্য এলাকা উন্নয়নের অভিজ্ঞতা
2023-09-19 15:48:22

চলতি মাস হল চীনের অবাধ বাণিজ্যিক পরীক্ষামূলক এলাকা চালু হওয়ার দশম বার্ষিকী। দশ বছরের চেষ্টায় চীনের উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ আরো বেশি নতুন শক্তি যুক্ত হয়েছে। অবাধ বাণিজ্যিক এলাকা হল চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা, উন্নত এলাকা এবং শিল্প উদ্যানের পর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও উদ্ভাবনের মঞ্চ। দশ বছরে ছয়বার আকার সম্প্রসারণের পর, বর্তমান চীনে ২১টি অবাধ বাণিজ্যের পরীক্ষামূলক এলাকা তৈরি হয়েছে। যা চীনের সংস্কার, উন্মুক্তকরণ ও উদ্ভাবনের নতুন অবকাঠামো তৈরি করেছে।

 

জুন মাসে, সর্বশেষ ব্যবস্থাগত উদ্ভাবন ব্যবস্থা হিসেবে, চীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, শাংহাইসহ বিভিন্ন অবাধ বাণিজ্য এলাকায় সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের পুনঃউত্পাদিত পণ্যের আমদানি কাজ চালু করা হয়েছে। পুনঃউত্পাদন মানে আগের শিল্পের ভিত্তিতে, পুরানো পণ্যের প্রযুক্তিগত উপায়ের মাধ্যমে মেরামত ও আবার উত্পাদনের মাধ্যমে নতুন পণ্য হিসেবে রূপান্তর করা। তা হল চক্রাকার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তা কার্বন উদ্যান, কার্বন নিরপেক্ষতা বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ উপায়। কেন এ বিষয় উল্লেখ করছি, কারণ তা অবাধ বাণিজ্য এলাকার আওতায় বাণিজ্য শিল্প কাঠামোর এক নতুন উদ্ভাবনী ব্যবস্থা।

এখন আমরা তিনটি বিষয়ে দশ বছরে অবাধ বাণিজ্য এলাকার ভূমিকা ব্যাখ্যা করছি।

 

প্রথমত, চীনের অবাধ্য বাণিজ্য এলাকা নির্মাণে কেমন সুফল পাওয়া গেছে? পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০২২ সালে চীনের ২১টি অবাধ্য বাণিজ্য এলাকা ২২২.৫ বিলিয়ন ইউয়ান বিদেশি পুঁজি ব্যবহার করেছে, যা দেশের মোট পরিমাণের ১৮.১ শতাংশ। ২১টি অবাধ্য বাণিজ্য এলাকার আমদানি-রপ্তানির মোট পরিমাণ ৭.৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের চেয়ে ১৪.৫ শতাংশ বেশি।

মূলত, ২১টি অবাধ্য বাণিজ্য এলাকা দেশের চার হাজারতম আয়তন দিয়ে দেশের ১৮.৪ শতাংশ বৈদেশিক পুঁজি ও ১৮.৬ শতাংশের আমদানি-রপ্তানি বাস্তবায়ন করেছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, দশ বছরে এসব অবাধ্য বাণিজ্য এলাকা ব্যবস্থাগত উদ্ভাবনে অনেক সুফল সৃষ্টি করেছে এবং তা সারা দেশে চালু করেছে।

 

দ্বিতীয় বিষয় হল, চীনের অবাধ বাণিজ্য এলাকার দশ বছরের সুফলকে কিভাবে মূল্যায়ন করা যায়?

প্রথমত, অবাধ বাণিজ্য এলাকা ব্যবস্থাগত উদ্ভাবনে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছে। এসব সংস্কার পুঁজি বিনিয়োগের সুবিধাকরণ, বাণিজ্যের সুবিধাকরণ, আর্থিক খাতের উন্মুক্তকরণ, তত্ত্বাবধান বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায়। আর বিভিন্ন অবাধ বাণিজ্যিক এলাকা নিজ নিজ অবস্থা অনুযায়ী উপযোগী বিভিন্ন সংস্কার চালু করেছে। যা দেশের সার্বিক সংস্কার এবং উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণে মূল্যবান অভিজ্ঞতা যুগিয়েছে।

এ ছাড়া, দশ বছরে ২১টি অবাধ্য বাণিজ্যিক এলাকায় পুঁজি আকর্ষণ, বিশেষ করে হাইটেক শিল্পে বৈদেশিক পুঁজির বরাদ্দ জোরদার করায় অতুলনীয় ভূমিকা পালন করেছে।

 

তৃতীয় বিষয় হল, অবাধ্য বাণিজ্য এলাকা কিভাবে উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ ও সংস্কার বাড়াতে পারে?

প্রথমত, ভবিষ্যতে চীন অব্যাহতভাবে উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণের মঞ্চ নির্মাণ জোরদার করবে। এ ছাড়া ভবিষ্যত নিয়ম, পরিচালনা, মানদণ্ডসহ ব্যবস্থাগত কাজ আরো সম্প্রসারণ করবে। পরবর্তীতে চীন ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের উচ্চ মানের উন্নয়ন আরো জোরদার করবে, বিশেষ করে সেবা বাণিজ্য, ডিজিটাল বাণিজ্য, মেধাস্বত্ব, সরকারি ক্রয়সহ বিভিন্ন নিয়মের গবেষণা ও সংস্কারে অবাধ বাণিজ্য এলাকা ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।

 

সবশেষে, চীন বাণিজ্যিক পরিবেশ উন্নত করার চেষ্টা করে যাবে। যাতে চীনকে পুঁজি বিনিয়োগের ভালো জায়গা হিসেবে উন্নত করা যায়।