বুরুলি স্কাইক হলেন চীনের জাতীয় পর্যায়ের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার কিরগিজ জাতির সূচিকর্মের চতুর্থ প্রজন্মের উত্তরাধিকারী। তাঁর জন্মস্থান আকেসু এলাকার ওয়েনসু জেলার বোসিদুন গ্রাম। এখানকার সূচিকর্ম টিকিয়ে রাখতে বুরুলি গ্রামের নারীদেরকে নিয়ে বিশেষ সমবায় প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। আজকের অনুষ্ঠানে আমি বুরুলি’র সূচিকর্ম সমবায়ের গল্প তুলে ধরবো।
বুরুলি ছোট গ্রাম বোসিদুনে জন্মগ্রহণ করেন এবং বড় হন। কিরগিজ জাতির মানুষ লাল রঙ পছন্দ করে। কিরগিজ জাতির সমস্ত নারী সূচিকর্ম করতে পারেন এবং সূচিকর্ম করতে পছন্দ করেন।
আমার নাম বুরুলি স্কাইক। আমার বয়স ৫৮ বছর। আমি চীনের জাতীয় পর্যায়ের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার কিরগিজ জাতির সূচিকর্মের চতুর্থ প্রজন্মের মানুষ।
এগুলো বিবাহিত মেয়েদের তৈরি কুইল্ট ও কার্পেট।
বুরুলি সবসময় সমবায়ের অন্যান্য নারীদের সঙ্গে সূচিকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা ঐতিহ্যগত সূচিকর্মে নতুনত্ব আনার চেষ্টাও করেন।
সমবায় ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে ১১ জন নারী এর সদস্য ছিলেন। তাঁরা তিন শতাধিক ধরণের সূচিকর্ম করতে পারেন। সমবায় প্রতিষ্ঠার পর প্রত্যেকের আয় হয়েছে গড়ে প্রায় ৩০ হাজার ইউয়ান। সমবায়ের সূচিকর্ম নিজের গ্রাম ছাড়াও অন্যান্য গ্রাম, এমনকি থাছেং, ইলিসহ বিভিন্ন শহরে খুবই জনপ্রিয়। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান হারে তরুণীরা এতে অংশ নিচ্ছেন। বুরুলি’র মোট ১৫ জন শিক্ষার্থী আছে।
আমার শিক্ষার্থীরা খুই পরিশ্রমী। বর্তমানে অধিকাংশই নিজে নিজে সূচিকর্ম করতে পারে।
সময় পেলে বুরুলি তৃণভূমিতে যান। তিনি সুন্দর দৃশ্যাবলীর মধ্যে বসে সূচিকর্ম করতে ভালোবাসেন। তিনি আশা করেন, আরও বেশি তরুণী সূচিকর্মকে পছন্দ করবে; আরও বেশি মানুষ তাঁদের সূচিকর্ম সম্পর্কে জানবে। (ছাই/আলিম)