সেপ্টেম্বর ১৩: গত ১২ সেপ্টেম্বর, ‘চীন-মধ্য এশিয়া মানবাধিকার উন্নয়ন ফোরাম, ২০২৩’ বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এবারের ফোরামের থিম ছিল: “‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়া; মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা”। ফোরামে মানবাধিকার উন্নয়ন ও তরুণ-তরুণীদের দায়িত্বসহ নানান বিষয় নিয়ে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা মতবিনিময় করেন এবং মানবাধিকার সভ্যতা উন্নয়নের ব্যাপারে নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেন।
সমান উন্নয়নের সুযোগ নিশ্চিত করা, উন্নয়নের সুফল ভাগাভাগি করা, এবং উন্নয়নের পূর্ণ অধিকার বাস্তবায়নের জন্য মানবসমাজে নিরন্তর প্রচেষ্টা চলছে। কনফারেন্স অন ইন্টারেকশান অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া (সিআইসিএ)-র মহাসচিব কাইরাত সারিবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, সহযোগিতা ও জয়-জয় চেতনার আলোকে, একযোগে একটি আন্তঃসংযুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা উচিত, যেখানে তরুণ-তরুণীদের কণ্ঠ ও মতামত থাকবে। তিনি বলেন, “তরুণ-তরুণীদের ধারণা ও শক্তি এবং মানবাধিকার ও টেকসই উন্নয়নের জন্য তাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে, জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়নের মূল্যবান শক্তি। সব আন্তঃসংযুক্ত প্রকল্পে মানবাধিকার ও পরিবেশ রক্ষা এবং সমান উন্নয়নের ধারণা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের উচিত, তরুণ-তরুণীদের সংলাপে অংশগ্রহণ করা এবং বিভিন্ন কার্যক্রমে তাদের ইতিবাচক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।”
চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশান্স গ্রুপ (সিআইসিজি)-র প্রধান তু চান ইয়ান মনে করেন, তরুণ-তরুণীরা হচ্ছে চীন-মধ্য এশিয়া সম্পর্কের সাক্ষী, নির্মাণকারী, ও প্রচারক। চীন ও মধ্য-এশিয়ার তরুণ-তরুণীরা কিভাবে আরও সুষ্ঠুভাবে ‘চীন-মধ্য এশিয়ার গল্প’ প্রচার করতে পারে? তিনি এ বিষয়ে তাঁর নিজের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও বাড়াতে হবে। চীন ও মধ্য-এশিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আশা করি, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের তরুণ-তরুণীরা আদান-প্রদানের মাধ্যমে পারস্পরিক বোঝাপড়া জোরদার করবে এবং নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও মজবুত করবে।” তাঁরা ‘চীন-মধ্য এশিয়া অভিন্ন কল্যাণের সমাজ’ গড়ে তুলতে নিজেদের অবদান রাখতে পারবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
চায়না ফাউন্ডেশান ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের উপপ্রধান ওয়াং কুও ছিং জানান, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ, উত্থাপনের দশ বছর পর, সবচেয়ে জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক ‘গণপণ্য’ ও সবচেয়ে বড় আকারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক প্লাটফর্মে পরিণত হয়েছে। মধ্য-এশিয়ার দেশসমূহসহ, আন্তর্জাতিক সমাজের সাথে একযোগে, পারস্পরিক কল্যাণ ও জয়-জয় চেতনার নতুন অধ্যায় লিখতে পারবে বলে চীন আশা করে।
তিনি বলেন, “আমাদের ফাউন্ডেশান সংস্কৃতি, শিক্ষা, ইত্যাদি নানান খাতে অন্য দেশের সাথে সহযোগিতা জোরদার করতে চায়। চীন ও মধ্য-এশিয়ার জনগণের বন্ধুত্ব জোরদার, পারস্পরিক সহযোগিতা ঘনিষ্ঠতর করা, এবং একযোগে নতুন ভবিষ্যতের জন্য কাজ করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করি।”
(আকাশ/আলিম)