চীনের উচ্চশিক্ষায় তথাকথিত অপরিচিত বিষয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে
2023-09-11 15:00:36

গত কয়েক বছরে চীনের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার সাধিত হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সমাজ ও অর্থনীতির উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশে উচ্চশিক্ষা খাতে অনেক নিত্যনতুন মেজর তথা বিষয়ও সংযুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি, নতুন পরিস্থিতিতে, তথাকথিত কিছু ‘অপরিচিত’ মেজর বা বিষয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এর অন্যতম মূল কারণ এ সব বিষয়ে দক্ষ লোকের অভাব। অন্যভাবে বললে, এসব বিষয়ে দক্ষ ব্যক্তির চাহিদা বাড়ার কারণে এসব বিষয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। অতীতে এসব বিষয় ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম জনপ্রিয়। কিন্তু অবস্থা এখন বদলেছে।

ওরাকল বিভাগের স্নাতক শিক্ষার্থী লি ইয়ো শি-র এ বিষয়ের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ ছিল। তাই তিনি ওরাকল শেখার সিদ্ধান্ত নেন। স্নাতক হওয়ার পর এখন ইন্টারনেটে ভিডিও ভ্লগার হিসেবে কাজ করেন তিনি। ভিডিওতে তিনি দর্শকদের সামনে ওরাকল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।

ওরাকল শিখে কী লাভ হবে? বস্তুত, চীনে প্রায় ৪৫০০টি ওরাকল অক্ষর খুঁজে পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগই অপরিচিত। বিভিন্ন অক্ষরের অর্থ জানার জন্য চীনের অক্ষর জাদুঘর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে প্রতিটি ওরাকল অক্ষর সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারলে ১ লাখ ইউয়ান দেওয়া হবে। প্রাচীনকালের ওরাকল অক্ষর বুঝতে পারে এমন দক্ষ ব্যক্তির চাহিদা এখন অনেক বেড়েছে।

কর্মসংস্থানের সহজলভ্যতার দিক বিবেচনায়, কিছু কিছু অপরিচিত মেজর বা বিষয়ের ব্যাপারে স্নাতক শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। যেমন, চলতি বছর চীনের হ্যপেই নোর্মল বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহস্থালি মেজরের স্নাতক শিক্ষার্থীদের চাকরিমেলায় বেইজিং, থিয়ানচিন ও হ্যপেই মহানগর ও প্রদেশের ৩৬টি কোম্পানিতে মোট ৭৫০টিরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকের সংখ্যা ছিল চাহিদার তুলনায় অনেক কম। শাংহাই ইলেকট্রিক্যাল মেশিনারি স্কুলের কাঁচামাল একাডেমির ঢালাই বিভাগের স্নাতক শিক্ষার্থীরাও মাথাপিছু কয়েকটি করে চাকরির অফার পেয়েছেন।

শিক্ষার্থী লি ইয়ো শি’র অনার্সের মেজর চীনা ভাষা সাহিত্য। একবার প্রাচীন চীনা ভাষার ক্লাসে চীনা অক্ষর সৃষ্টির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে তাঁর মনে ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়। পরে তিনি মনোযোগ দিয়ে সংশ্লিষ্ট গবেষণাকাজ শুরু করেন। মাস্টার্স চলাকালে তিনি মেজর হিসেবে বেছে নেন ‘ওরাকল’ বিষয়। তবে, পড়াশোনা শুরুর পর তিনি জানতে পারেন যে, এ মেজর বেশ কঠিন ও অপরিচিত। তিনি সংবাদদাতাকে বলেন, শুরুর দিকে কোনো ওরাকল অক্ষর সম্পর্কে তিনি জানতেন না। তাই, অর্ধেক দিনে কেবল একটি পৃষ্ঠার অক্ষর পড়তে পারতেন। আবার বিভিন্ন ওরাকল একসাথে মিলিয়ে যে অর্থ প্রকাশ করে সেটিও তিনি বুঝতে পারতেন না। ফলে, তিনি প্রতিদিন গ্রন্থগারে বসে ওরাকল নিয়ে পড়াশোনা করতে থাকেন। স্নাতক হওয়ার পর তিনি ইন্টারনেট কোম্পানিতে চাকরি পান। তবে, আবার ওরাকল নিয়ে গবেষণা করতে চান। কারণ, এ মেজর তাঁর প্রিয় এবং তিনি মনে করেন, ওরাকল চীনা সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার বিরাট সাংস্কৃতিক মূল্য রয়েছে। ভ্লগার হওয়ার পর তিনি দর্শকদের ভালো করে ওরাকল বোঝাতে ভিডিও-ক্লিপ তৈরি করেন। তাঁর দৃষ্টিতে ওরাকল অক্ষর বিশ্লেষণ করা যেন মামলা সমাধানের মতো।

ভিডিওতে তিনি দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন। যেমন ওরাকল অক্ষর শিখে কি চাকরি পাওয়া যাবে? বেকার থাকার আশঙ্কা আছে কী? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর তাকে দিতে হয়। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, যদিও ওরাকলসংশ্লিষ্ট চাকরির সুযোগ একটু কম, তবে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা ও সরকারি বিভাগসহ বিভিন্ন জায়গায় ওরাকল মেজরের স্নাতকদের প্রয়োজন। তবে, জনপ্রিয় মেজরের সাথে তুলনা করলে, তাঁর চাকরি থেকে আয় তুলনামূলকভাবে কম। তবে, এ কাজ তিনি শুধু টাকার জন্য করেন না, বরং আবেগ থেকে করেন।

চীনা যুবক-যুবতীরা আজকাল নিজ নিজ প্রিয় কাজ ও শখের ভিত্তিতে চাকরি খুঁজতে পছন্দ করেন। এটা এখন নতুন প্রবণতা। কিছু কিছু অপরিচিত মেজরও এ কারণে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বেইজিং নোর্মল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ও পর্যালোচনা কেন্দ্রের প্রকাশিত এক জরিপ অনুসারে, যারা ২০০০ সালের পর জন্মগ্রহণ করেছেন, তাদের দৃষ্টিতে ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং জাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ব বিষয় সবচেয়ে আকর্ষণীয়।

চীনের শেনচেন জাদুঘরের সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণ বিভাগের উপগবেষক ছাই মিং বলেন, সাংম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনাদের দৃষ্টিতে প্রত্নতত্ত্ব মেজরের গুরুত্ব বেড়েছে। বস্তুত, এ মেজরে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন। এটি মনোযোগ দিয়ে শান্তভাবে গবেষণার কাজ। তাই, যদি এ বিষয়সংশ্লিষ্ট কাজ করতে চান, তবে ব্যাপক ধৈর্যশীল ও পরিশ্রমী হওয়া আবশ্যক।

চীনের হ্যপেই প্রদেশের সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ ও প্রত্নতত্ত্ব গবেষণাগারের গবেষক চাং ছুন ছাং বলেন, অতীতে প্রত্নতত্ত্ব আর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও জাদুঘর মেজর তেমন পরিচিত বা জনপ্রিয় ছিল না। তবে, চীনের অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন এবং চীনাদের জীবনমান উন্নত হওয়ার কারণে, সরকার সংস্কৃতি সংরক্ষণের ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া শুরু করে। এতে চীনাদের দৃষ্টিতে এসব মেজরও বেশ আকর্ষণীয় ও তাত্পর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এটি একটি ভালো প্রবণতা।

তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব চীনের ঐতিহ্যিক সভ্যতার সম্প্রসারণ ও সাংস্কৃতিক আত্মবিশ্বাস জোরদারে সহায়ক, তবে বর্তমানে চীনে প্রত্নতত্ত্ব খাতে প্রতিভাবান কর্মীর অভাব প্রকট। এ অভাব সহাসা মিটবে বলেও মনে হচ্ছে না।

চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের শেষ দিকে চীনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৩৪০টি। আর এসব প্রতিষ্ঠানে দক্ষ কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১.৯ লাখ। এর মধ্যে সিনিয়ার পেশাদার কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১২ হাজার ৭৫৭ জন এবং মধ্যম পর্যায়ের দক্ষ পেশাদার কর্মীর সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ১২৯ জন।

গবেষক চাং আরও বলেন, বর্তমানে অনেক প্রত্নতত্ত্ব প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে স্থানীয় অঞ্চলে সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষের পরিমাণ বেশি—এমন প্রতিষ্ঠান উপযোগী ও প্রতিভাবান কর্মী আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। চীনের হ্যপেই সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ ও প্রত্নতত্ত্ব গবেষণাগারে পদ আছে ১৮০টি, কিন্তু কর্মী আছে মাত্র ৬০ জন। প্রতিভাবান কর্মীর চাহিদা এখানে ব্যাপক।

বর্তমানে চীনে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ মোটামুটি ভালো। ২০২৫ সালে চীনে সংশ্লিষ্ট মেজরের গবেষকদের সংখ্যা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনের বিভিন্ন প্রত্নতত্ত্বসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে দক্ষ ব্যক্তিদের চাহিদা এখন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীর সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি।

চীনের কেন্দ্রীয় মহানগর বা প্রাদেশিক পর্যায়ের বিভিন্ন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠান, জাদুঘর, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্পকলা একাডেমি, সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ পর্যালোচনা সংস্থসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা বিভাগ প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিচ্ছে। তাই বলা যায়, তাদের কর্মসংস্থানের ভবিষ্যত সুউজ্জ্বল।

হারবিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইড্রোঅ্যাকোস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হবার আগে শিক্ষার্থী ছেন হং ইং কখনও এ বিষয় বা মেজরের নাম শোনেননি। বস্তুত, আন্ডারওয়াটার অ্যাকোস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত সোনার সামগ্রিক প্রযুক্তি, সিগন্যাল প্রসেসিং, সেন্সর এবং অ্যাকোস্টিক সিস্টেমের সাথে জড়িত পানির নিচে অ্যাকোস্টিক প্রযুক্তি। পরিবারের সদস্যদের পরামর্শ শুনে শিক্ষার্থী ছেন হং ইং এ বিষয় বেছে নেন। চলতি বছর তিনি তাঁর মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেছেন। আর, স্নাতক হওয়ার আগেই তিনি চাকরির অফার পেয়েছেন। ভবিষ্যতে কোথায় চাকরি করবেন, তা নিয়ে ছেন সবসময় তার সহপাঠীদের সাথে আলাপ করেন। তাঁর দৃষ্টিতে যদিও হাইড্রোঅ্যাকোস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি একটু অপরিচিত, তবে জাহাজ শিল্প, নভোযান ও মহাশূন্য গবেষণা, এবং ইলেকট্রনিক তথ্য খাতে জড়িত অনেক পদে তিনি চাকরি করতে পারেন। চলতি বছর তিনি ৫/৬টি অফার পেয়েছেন। বস্তুত, বর্তমানে চীনে সংশ্লিষ্ট মেজরে দক্ষ প্রতিভাবান কর্মীর চাহিদা ব্যাপক, তাই সেটি সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেষ্ঠ সুযোগ, তারা নিজের জ্ঞান দিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন।

সমাজ দ্রুত উন্নত হচ্ছে এবং শিল্প খাতও দিন দিন নানান সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু অপরিচিত শিল্প এখন বেশ জনপ্রিয় ও সুপরিচিত হয়ে উঠেছে, যেমন: দূষণমুক্ত জ্বালানিচালিত গাড়ি, মহাশূন্য ও নভোযান, ইন্টিগ্রেটেড ম্যানুফ্যাকচারিংসহ বিভিন্ন উন্নত প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে জড়িত নবোদিত শিল্পের দ্রুত উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট মেজরের প্রতিভাদের চাহিদাও অনেক বেড়েছে। বর্তমানে প্রযুক্তি ও এআই-এ দক্ষ ব্যক্তি নির্মাণ শিল্পের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।

ঢালাই খাতে এমন দক্ষ ব্যক্তিদের অভাব স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। ২০২২ সালে চীনে চাহিদা সবচেয়ে বেশি—এমন ১০০টি চাকরির মধ্যে ঢালাইয়ে দক্ষ কর্মীর চাহিদা রাঙ্কিং-এ ১২তম ছিল। টানা ৩ বছর ধরে তাদের চাহিদা বাড়ছে।

শাংহাই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের ঢালাই বিভাগের শিক্ষক ইয়াং মিয়াও মিয়াও বলেন, মহাশূন্য ও নভোযান, চিপস নির্মাণ, জাহাজ নির্মাণসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশল ছাড়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসেও এ ঢালাই-প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়। অতীতে এ প্রযুক্তির ব্যাপারে মানুষের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির অভাব ছিল। ফলে, এ বিষয়ে পড়াশোনায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহও ছিল কম। বর্তমানে ঢালাই প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে, কাঁচামালের ক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তাই, ঢালাই প্রযুক্তির বুদ্ধিমান রূপান্তরও ঘটছে। বিগ ডেটা, স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে বুদ্ধিমান ঢালাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

বর্তমানে শিক্ষক ইয়াংয়ের স্কুলে ঢালাই ক্লাস মাত্র একটি এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ ব্যাপক, কোনো চিন্তা নেই। তবে চীনের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানিসম্পদ, খনিজ সম্পদ ও পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে ঢালাইয়ে দক্ষ ব্যক্তিদের প্রয়োজন। নতুন জ্বালানির কাঁচামাল, সমুদ্র প্রযুক্তি, মহাশূন্য প্রযুক্তি, মানববাহী নভোযানসহ বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পে ঢালাই প্রযুক্তির ব্যাপক ভুমিকা রয়েছে। তাই ঢালাই কর্মীদের বেতনও অতীতকালের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ভবিষ্যতে চীনে আরো বেশি দক্ষ ঢালাইকর্মী সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো নতুন ক্লাসও চালু করবে।

(সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)