বিদেশী শিক্ষার্থীর চিকিত্সক হওয়ার স্বপ্ন পুরণ হয়েছে চীনে
2023-08-31 19:14:56


চীনের অর্থনীতি ও উচ্চশিক্ষায় ব্যাপক উন্নতি হওয়ার প্রেক্ষাপটে অধিক থেকে অধিকতর হারে বিদেশি শিক্ষার্থীরা চীনে লেখাপড়া করতে আসছেন। তারা নিজেদের তরুণ্যের কাল চীনে কাটাচ্ছেন। জনসেফ তাদের মধ্যে একজন। জর্দানের রাজধানী আম্মানে তার জন্ম। তার মা-বাবা ফিলিস্তিনি। বারো বছর ধরে চীনে লেখাপড়া করেছেন জনসেফ। সম্প্রতি তিনি চীনের ক্যাপিটল মেডিকল ইউনির্ভাসিটি থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। জনসেফ বলেন, ছোটবেলা থেকে তিনি একজন চিকিত্সক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। চীনে তার সে স্বপ্ন পুরণ হয়েছে। এটি তার কল্পনার বাইরে ছিলো। তিনি বলেন, “আমার স্বপ্ন ছিল কার্ডিওভাসকুলার সার্জারি বিষয় নিয়ে পড়া। চীনে আমি এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। আমার চীনে আসা একটি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।”

চীনে চিকিৎসাবিদ্যা ও চিকিত্সাব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন জনসেফ। চীনের চিকিত্সাবিদ্যার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে তার চিকিত্সা-জ্ঞান অনেক বেড়েছে। তিনি বলেন, “চীনের চিকিত্সাব্যবস্থা দ্রুত গতিতে উন্নত হয়েছে বলে আমি মনে করি। প্রতি বছর এ ক্ষেত্রে নতুন উন্নয়ন হয়েছে। যেমন নতুন অপারেশন ও চিকিত্সা পদ্ধতি ইত্যাদি। চীনের মতো এতো দ্রুত গতিতে চিকিত্সাব্যবস্থায় উন্নয়ন সাধিত হয়, এমন দেশ খুব কম বলে আমি মনে করি।”

চীনে ১২ বছরের অবস্থানকালে জনসেফ স্নাতক ডিগ্রি থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি পর্যন্ত লাভ করেছেন। তিনি বলেন, “প্রত্যেক চীনা চিকিত্সক খুব অভিজ্ঞ ও চমত্কার মানুষ। তাদের কাছ থেকে শিখার বিরল সুযোগ পেয়েছি আমি। চীন আমাকে লালন করেছে এবং আমাকে অনেক সুযোগ দিয়েছে। এতো ভালো পরিবেশে আমি নিজেকে গড়ে তুলেছি। চীনকে এখন আমি আমার দ্বিতীয় জন্মস্থান হিসেবে গণ্য করি।”

একজন চিকিত্সক হওয়া সহজ কাজ নয়। জনসেফ তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছেন। চীনের চিকিত্সাজগতে জনসেফ নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন এবং অনেক অতিথিপরায়ন মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছেন। তাতে তিনি খুব সুখ ও চিত্তাকর্ষণ বোধ করেন।

তিনি বলেন, “আমার চীনা শিক্ষক, বন্ধু ও আমার পরিবারের সবাই বরাবরই আমাকে সমর্থন দিয়ে আসছেন। গত কয়েক বছরের প্রচেষ্টার ফলে আজ আমি ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছি। তাই আমি সত্যি সত্যি খুব আনন্দিত। আমি আশা করি, যারা চীনে আসেননি, তারা চীন ঘুরে দেখবেন এবং লেখাপড়া করতে আসবেন। চীন খুব ভালো একটি দেশ এবং সবার জীবন-যাপন ও লেখাপড়ার জন্য উপযোগী বলে আমি মনে করি।”