দক্ষিণ আফ্রিকায় চীনা প্রতিষ্ঠান স্থানীয় কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখছে
2023-08-28 15:21:06

দে আর বায়ু শক্তি প্রকল্প বায়ু শক্তি সম্পদ সমৃদ্ধ দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর কেপ প্রদেশের দে আর শহরের কাছে অবস্থিত। ২০১৭ সালে চীনের জ্বালানি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান লংইউয়ান পাওয়ার গ্রুপ কর্পোরেশন লিমিটেডের দক্ষিণ আফ্রিকা কোম্পানি এটি নির্মাণ এবং পরিচালনা শুরু করে। ২৫০ কোটি ইউয়ান বিনিয়োগের প্রকল্পটির মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪৪ হাজার ৫শ’ কিলোওয়াট।

প্রতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকার পাওয়ার গ্রিডে ৭৬ কোটি কিলোওয়াট পরিষ্কার বিদ্যুত্ পাঠানো ছাড়া লংইউয়ান দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিবাচকভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন করছে। প্রতিষ্ঠানটি ১৭২ মিলিয়ন ইউয়ানের বৃত্তি পরিকল্পনা করেছে। এ পর্যন্ত কোম্পানিটি ১১২ জন দরিদ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে। পাকসং এর মধ্যে একজন।

 

ছোটবেলা থেকে তিনি একজন প্রকৌশলী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিবার দরিদ্র হবার কারণে তার লেখাপড়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত, চীনা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে তিনি তাঁর পড়াশোনা চালতে পেরেছেন এবং ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন।

 

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার পর ২০২২ সালের এপ্রিলে তিনি লংইউয়ান, দক্ষিণ আফ্রিকায় যোগ দিয়ে অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ দলের সদস্য হন। বর্তমানে তিনি স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের কাছে দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছেন।

লংইউয়ানের বিদ্যুৎ দে আরে আসার আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের আয় বেশি ছিল না। দে আর প্রকল্পটির নির্মাণ ও চালু করায় স্থানীয় ৭ শ’র বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এতে স্থানীয় কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছে।

দে আর প্রকল্প থেকে শুধু প্রকল্পের কর্মীরাই লাভবান হয়েছেন এমন নয়। চিকিৎসা সেবায় পিছিয়ে থাকা দে আরের মানুষরা সবসময় রাস্তায় একটি বাসকে চলাচল করতে দেখতে পান। সেটি হলো লংইউয়ান কোম্পানির কেনা পেশাদার চিকিৎসা বাস। বাসে সম্পূর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং চিকিৎসা কর্মী রয়েছে, যারা প্রতি বছরে প্রায় ৯ হাজার স্থানীয় বাসিন্দাকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে।  

স্থানীয় মেয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী শ্যারন অলিফ্যান্ট বলেন, চিকিৎসা বাস আমাদের অনেক সাহায্য দেয়। আমরা সবাই বাসের ডাক্তারকে দেখাতে চাই।

স্কুলের পরে তিনি মাঝেমাঝে একটি সুন্দর ফুটবল মাঠে যান। সেটিও লংইউয়ান কোম্পানির অর্থে নির্মিত।

স্থানীয় বৃদ্ধ লেসলি কন্টিলি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন,  খেলাধুলা শুধু শিশুদের আনন্দ দেয় তা নয়, বরং তাদের কোনো রকম অপরাধে জড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রাখে।

দে আর শহর অন্তর্গত একজন পৌরকর্মী প্রকল্পটির উচ্চ মূল্যায়ন করেন। তিনি মনে করেন, প্রকল্পটি চীন-দক্ষিণ আফ্রিকা সহযোগিতার দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, চীনা মানুষ সেরা। তারা আরো বেশি ভাল পদ্ধতি ও ভাল প্রযুক্তি অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভাগাভাগি করবে বলে প্রত্যাশা বব্যক্ত করেন লেসলি ।

(প্রেমা/হাশিম)