আফ্রিকার আধুনিকায়নের পথে সহযাত্রী হতে চায় চীন: সি চিন পিং
2023-08-27 22:00:05


অগাস্ট ২৬: গত ২৪ অগাস্ট চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা’র সঙ্গে জোহানেসবার্গে চীন-আফ্রিকা শীর্ষনেতার বৈঠকে সভাপতিত্ব  করেন। বৈঠকে মূল ভাষণে সি চিন পিং বলেন, চীন দৃঢ়তার সঙ্গে আফ্রিকান দেশ ও জনগণকে নিজের বেছে নেওয়া আধুনিকায়নের পথকে সমর্থন করে এবং আফ্রিকার আধুনিকায়নের পথে সহযাত্রী হতে চায়।

সি চিন পিং বলেন, আধুনিকায়নের পথ বৈচিত্র্যময়। চীনের লক্ষ্য এ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার শততম বার্ষিকীতে চীনকে সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক, সভ্য, সম্প্রীতিময় এবং সুন্দর সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশে পরিণত করা। আফ্রিকান ইউনিয়ন ‘এজেন্ডা ২০৬৩’ প্রণয়ন করেছে, তাতে শান্তিপূর্ণ, ঐক্যবদ্ধ, সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী নতুন আফ্রিকা গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। একীকরণ বেগবান করা আফ্রিকান দেশ ও জনগণের বাছাইকৃত আধুনিকায়নের পথ। চীন বরাবরই দৃঢ়তার সঙ্গে এতে সমর্থন দিয়ে যাবে।

ভাল বন্ধু হিসেবে গত দশ বছরে চীন আফ্রিকা প্রকৃত, বাস্তব, আত্মীয়সুলভ এবং আন্তরিক চেতনায় ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ এবং চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামসহ নানা প্ল্যাটফর্মের ভিত্তিতে চীন-আফ্রিকা সম্পর্ককে উচ্চ পর্যায়ের চীন-আফ্রিকা অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠনের নতুন পর্যায়ে উন্নীত করেছে। 

 

পরবর্তী চীন-আফ্রিকা বাস্তব সহযোগিতা, আফ্রিকার একীকরণ এবং আধুনিকায়ন সম্পর্কে তিনটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন সি চিন পিং। সেগুলো হলো ‘আফ্রিকান শিল্পায়ন সমর্থক উদ্যোগ গ্রহণ করে আফ্রিকায় প্রক্রিয়াজাত শিল্প উন্নয়নে চীনা সম্পদ ও প্রতিষ্ঠানের শক্তি প্রয়োগ করা। আফ্রিকার কৃষি আধুনিকায়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে চীন, যাতে আফ্রিকার কৃষির রূপান্তর ও হালনাগাদ কাজ সহায়ক হয়। পাশাপাশি, চীন-আফ্রিকা জনশক্তি লালন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে, যাতে আফ্রিকার জনশক্তি উন্নত করা যায়।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী আফ্রিকান নেতারা অঞ্চলটির একীকরণে চীনের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা মনে করেন যে, চীন আফ্রিকার আধুনিকায়ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী অংশীদার। আফ্রিকা আফ্রিকান ইউনিয়নের ‘এজেন্ডা ২০৬৩’ এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন কৌশলকে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত করে আফ্রিকা-চীন সহযোগিতা উন্নত করতে চায়। চীন ও আফ্রিকার উন্নয়ন বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে আশা করেন নেতারা।

(রুবি/তৌহিদ/লাবণ্য)