তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের শানান শহরের চিয়াছা জেলা আখরোটে সমৃদ্ধ। এখানে হাজার বছরেরও বেশি পুরনো ৫০০টিরও বেশি প্রাচীন গাছ রয়েছে। ২০২০ সাল থেকে, ছাংচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের আখরোট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষ প্রতিনিধিদল চিয়াছা জেলায় একটি আখরোট গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে। ডা. লিউ লি ফিং, ৪২ বছর বয়সী গবেষক, এ দলের একজন সদস্য। তিনি মালভূমি আখরোট শিল্পপ্রযুক্তি গবেষণা প্রকল্পের বেশিরভাগ কাজ বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার ভূমিকা অনুসারে, ইনস্টিটিউট এ বছর ১০০ বছরের বেশি পুরানো ৩০০০টিরও বেশি প্রাচীন আখরোট গাছের তালিকা তৈরি করেছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হবে গ্রাফটিং ও প্রচারের মাধ্যমে কৃষকদের আয় বাড়ানো। একই সময়ে, আখরোটের ঐতিহ্যগত রোপণ থেকে চারিত্রিক প্রক্রিয়াকরণে রূপান্তরিত করার জন্য উচ্চ-মানের আখরোট তেল, আখরোট পেপটাইড এবং অন্যান্য পণ্য জোরালোভাবে বিকাশ করা হবে।
৪২ বছর বয়স্ক ডা. লিউ লি ফিং ছাংচিয়াং ইউনিভার্সিটির হর্টিকালচার ও ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচার কলেজের একজন সহযোগী অধ্যাপক। ২০২০ সাল থেকে, ছাংচিয়াং ইউনিভার্সিটি আখরোট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষ দল তিব্বতের চিয়াছা জেলায় স্থাপন করে এবং ছাংচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের তিব্বত মালভূমি আখরোট শিল্প গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে। গবেষণা ইনস্টিটিউটের নির্বাহী উপ-পরিচালক হলেন লিউ লি ফিং। তিনি তিব্বতে সবচেয়ে বেশি সময় অবস্থান করা সদস্যদের অন্যতম। তিনি ২৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে তিব্বতে রয়েছেন।
তিব্বতে থাকাকালীন, তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা মালভূমি আখরোট গ্রাফটিং কৌশল নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন। বর্তমানে, কলম করা শাখাগুলোর বেঁচে থাকার হার ৮০% ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া, তাঁরা প্রাথমিকভাবে চিয়াছা জেলায় হাজার বছরের পুরানো আখরোট গাছ থেকে চমত্কার পৃথক উদ্ভিদের ৬টি কলম করা চারা নির্বাচন করে বড় আকারের উন্নত জাত উত্পাদনের ভিত্তি স্থাপন করেছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, তিব্বতে কৃষি ও পশুপালন জোরালোভাবে বিকশিত হয়েছে। আদি স্থানীয় সুবিধাজনক শিল্প যেমন ইয়াক, উচ্চভূমির বার্লি, তিব্বতি ভেড়া ও তিব্বতে বিশেষ দুগ্ধ শিল্প ছাড়াও, অভ্যন্তরীণ কৃষি ও পশুপালনের বিপুল সংখ্যক নতুন জাত এবং নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে। ধীরে ধীরে মালভূমিতে নতুন ধরনের কৃষি ও পশুপালন শিল্প গড়ে উঠেছে এবং নতুন শিল্পকে কেন্দ্র করে “নতুন কৃষক গোষ্ঠী” গড়ে উঠেছে। তাঁরা তিব্বতে শিকড় গেড়েছেন এবং তুষারাচ্ছাদিত মালভূমিতে দারিদ্র্যবিমোচনে ভূমিকা রেখেছেন এবং গ্রামাঞ্চলের পুনরুজ্জীবন কার্যক্রমের সাথে কার্যকরভাবে সংযোগ স্থাপনের জন্য নিজস্ব শক্তি যুগিয়েছেন।
শানান শহরের চিয়াছা জেলা আখরোটে সমৃদ্ধ এবং এখানে হাজার বছরেরও বেশি পুরনো ৫০০টিরও বেশি প্রাচীন গাছ রয়েছে। কিন্তু চিয়াছা জেলার বেশিরভাগ আখরোট গাছ বীজ থেকে উত্পন্ন হয়, যার একটি দীর্ঘ ফলনচক্র রয়েছে; ফলনও কম হয়। প্রতিটি গাছের ফলের চেহারা ও গুণগত মান ভিন্ন।
লিউ লি ফিং-এর মতে, গবেষণা ইনস্টিটিউট এ বছর এক শতাব্দীরও বেশি প্রাচীন আখরোট গাছের গণনা সম্পন্ন করেছে। তিনি চিয়াছা জেলার ২০টি গ্রামের প্রতিটি কোণে গিয়েছেন যেখানে আখরোট গাছ থাকে। তিনি যখনই গ্রামাঞ্চলে যান, বিভিন্ন শস্যের উত্পাদন ও চাষের প্রযুক্তিগত পরিষেবার জন্য বিভিন্ন শহর ও শহরের সাথে সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেন।
আখরোট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহায়তা প্রকল্প চিয়াছা জেলার আখরোট শিল্পকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ডানা দিয়েছে। এখন, চিয়াছা জেলায় উচ্চমানের আখরোট তেল, আখরোট পেপটাইড ও অন্যান্য পণ্য বিকশিত হচ্ছে, যাতে আখরোট শিল্পকে ঐতিহ্যগত রোপণ-প্রক্রিয়া থেকে বৈশিষ্ট্যগত প্রক্রিয়াকরণে রূপান্তরিত করা যায়।
লিউ লি ফিং বলেন, পরবর্তী ধাপে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার একর উচ্চ মানের আখরোট রোপণ এলাকা কৃষকদের আয় বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। একই সময়ে, এটি ঐতিহ্যবাহী রোপণ-প্রক্রিয়া থেকে রূপান্তরিত হবে এবং জেলাকে পুনরুজ্জীবিত করতে ভূমিকা রাখবে। (ইয়াং/আলিম/ছাই)