চীনের অন্যতম সেরা শিক্ষক ইয়ু হুই সিয়াংয়ের গল্প
2023-08-21 17:00:44

আগামী ১০ সেপ্টেম্বর চীনের ৩৯তম শিক্ষক দিবস। ইতোমধ্যেই চীনে ২০২৩ সালের সেরা শিক্ষক মনোনীত হয়েছেন বিভিন্ন শহর ও অঞ্চলের মোট ৬৪ জন। বেইজিং ইয়ুইং মাধ্যমিক স্কুলের প্রেসিডেন্ট ইয়ু হুই সিয়াং তাঁদের একজন। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা শিক্ষক ইয়ু’র গল্প ও তাঁর শিক্ষাজীবন নিয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরবো।

ইয়ুইং মাধ্যমিক স্কুল বেইজিংয়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। এ স্কুল বেইজিংয়ের হাইতিয়ানের উখ্যসংয়ে অবস্থিত। ১৯৪৮ সালের ৭ নভেম্বর হ্যপেই প্রদেশের সিপাইপো জেলার সিয়াতোংইয়ু গ্রামে এ স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সরকারি বিভাগের কর্মকর্তাদের বাচ্চারা এ স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। চেয়ারম্যান মাও সে তুংয়ের কন্যা লি নাসহ সিপিসি’র অনেক নেতা ও কর্মকর্তার ছেলেমেয়েরা এ স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরে, স্কুলটি বেইজিংয়ে মোট ৪টি শাখা ক্যাম্পাস খোলে। ২০২৩ সালের ৩১ মে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এ স্কুল পরিদর্শন করেন এবং স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সাথে আন্তরিকভাবে কথাবার্তা বলেন।

এবার যে ৬৪ জনকে সেরা শিক্ষকের পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে, তাদের ২ জন শিক্ষক বেইজিংয়ের স্কুলে কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে একজন ইয়ুইং মাধ্যমিক স্কুলের প্রেসিডেন্ট ইয়ু হুই সিয়াং। ইয়ুইং মাধ্যমিক স্কুলের ইতিহাস ও বিপ্লবী ঐতিহ্যের সাথে প্রেসিডেন্ট ইয়ু-র সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য।  তিনি স্কুলের গুণগত মান উন্নয়ন ও সংস্কারে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন।

২০১১ সালের জুন মাসে শিক্ষক ইয়ু হুই সিয়াং বেইজিং ইয়ুইং মাধ্যমিক স্কুলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পান। স্কুলের শিক্ষকদের সাথে ভাববিনিময়ের পর, তিনি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ইচ্ছাশক্তি ও চেতনা উন্নয়নে, ভালো করে স্কুলের ইতিহাস শেখার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বিপ্লবী চেতনা নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দিতে চান। চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাও সে তুং ইয়ুইং স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ‘ভালো করে পড়াশোনা’ স্লোগান লিখে দিয়েছিলেন। সেই থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই স্লোগান অনুসরণ করে যাচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ইয়ু শপথগ্রহণের পর স্কুলের ইতিহাস জাদুঘর, পুরনো পাঁচ তারার দরজা ও দেয়াল পুনঃনির্মাণ করেন। পাশাপাশি, স্কুলের খেলার মাঠে ‘মাতৃভূমি, সততা, দায়িত্ব’ অক্ষরগুলো পাথরে খোদাই করা হয়। এটি স্কুলের নতুন একটি চিহ্নে পরিণত হয়। ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন খেলার মাঠে যাওয়া-আসার সময় এসব শব্দ উচ্চারণ করে। তা ছাড়া, প্রতি সোমবার সকালে স্কুলে নিয়মিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় এবং অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের দেশপ্রেমের চেতনা এবং ভালো করে পড়াশোনা করার ভাবনা সুসংবদ্ধ হয়।

স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ভালো নৈতিক শিক্ষা পায় ও সঠিক মূল্যবোধ পোষণ করে। ২০১৬ সালে মাধ্যমিক স্কুলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তু ই সেন একজন ক্লিনারের গল্প শুনে ‘মর্যাদা ও সম্মান’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ লেখে। এতে মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যা একজন মেধাবী ছাত্রের মেধা ও স্কুলে পাওয়া শিক্ষার কার্যকারিতার প্রতিফলন। অনুপ্রাণিত চিন্তাধারা স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা নতুন যুগে চীনা কিশোরকিশোরীদের চেতনারও বহিঃপ্রকাশ।

শিক্ষার প্রসঙ্গ এলে পরীক্ষার ফলাফল ও স্কোরের কথা ওঠে। তবে প্রেসিডেন্ট ইয়ু এ ব্যাপারে সঠিক চেতনা ধারণ করেন। তিনি মনে করেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য কেবল পরীক্ষায় ভালো  স্কোর করা নয়, ছাত্রছাত্রীদের নৈতিকতা চর্চার ওপরও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। ইয়ু’র দৃষ্টিতে, যদি কেবল লেখাপড়ার ওপর মনোযোগ দেওয়া হয়, নৈতিকতা ও সামাজিক দায়িত্বের শিক্ষা দেওয়া না হয়, তবে বাচ্চারা বড় হওয়ার পর দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে না।

২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট ইয়ু’র উদ্যোগে ইয়ুইং স্কুলের শিক্ষা-কার্যক্রমে ব্যাপক সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে মৌলিক ক্লাস, নৈতিক ক্লাস, আর সুপ্তশক্তির চর্চা ক্লাসের ভিত্তিতে, স্কুলের প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য উপযুক্ত ক্লাস-ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। তিন ধরনের ক্লাসে আলাদাভাবে অংশগ্রহণ করতে হয়। তবে, এসব ক্লাশের পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। এভাবে ছাত্রছাত্রীদের বুদ্ধিমত্তা, নৈতিকতা, শরীরসহ বিভিন্ন খাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়। গত ১০ বছরে এ বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের পর্যালোচনা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করা হয়েছে। সঠিক পর্যালোচনা ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চাপ হ্রাস পেয়েছে এবং তাদের বহুমুখী দক্ষতার উন্নতি ঘটছে।

প্রেসিডেন্ট ইয়ু’র নেতৃত্বে শিক্ষকরা আরও বহুমুখী পর্যালোচনা-ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। এ নতুন ব্যবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের বহুমুখী গুণগত মান পর্যালোচনা করা হয়। বিভিন্ন সেমিস্টারে ছাত্রছাত্রীদের বহুমুখী দক্ষতা আর চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল একসাথে বিবেচনা করা হয়। বহমুখী দিক থেকে ছাত্রছাত্রীদের স্কোর দেওয়া হয়। এভাবে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শুধু পরীক্ষার স্কোরের ওপর গুরুত্ব দেন না, বরং বহুমুখী দক্ষতার চর্চা ও উন্নয়নের দিকেও মনোযোগ দেন।

স্কুলের শিক্ষক সুন জি লং নতুন সংস্কার-ব্যবস্থা সম্পর্কে বলেন, অতীতে শিক্ষকরা ক্লাসের যে-কোনো সময়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতেন। এ পদ্ধতিতে আসল পরীক্ষায় আরও সহজে ভালো স্কোর পেতো শিক্ষার্থীরা। সেই জন্যে সংস্কারের শুরুতে কোনো কোনো শিক্ষক সন্দেহ প্রকাশ করেন। তবে, ধীরে ধীরে শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের পরিবর্তন ও দক্ষতার উন্নয়ন অনুভব করতে থাকেন। শিক্ষক সুনের ক্লাসে সপ্তম শ্রেণীর প্রথম সেমিস্টারে নতুন স্কোর-ব্যবস্থায় মৌলিক শিক্ষা কোর্সের গড়পড়তার স্কোর ছিল ৫.৬ এবং উন্নয়নের সুপ্তশক্তির ক্লাসে স্কোর ২.৩। তবে, নতুন সেমিস্টারে ছাত্রছাত্রীরা নিজ নিজ প্রিয় বিষয় বেছে নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক দলের অনুষ্ঠানে যোগ দেয় এবং সাথে সাথে তাদের পড়াশোনার স্কোরও দ্রুত বাড়তে থাকে। তখন তাদের মৌলিক শিক্ষা কোর্সের গড়পড়তরা স্কোর দাঁড়ায় ১০-তে। তখন শিক্ষক সুন প্রেসিডেন্ট ইয়ু’র শিক্ষাসম্পর্কিত চিন্তাভাবনা ভালোভাবে বুঝতে পারেন।

অতীতে নিরাপত্তা বিবেচনায় ইয়ুইং স্কুলে লাঞ্চের পরের একটা লম্বা সময় শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে বসে থাকতো। তবে, ২০১১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে এ নিয়মও বদলে যায়। এখন লাঞ্চের পর সবাই ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলায় মেতে ওঠে। এভাবে তাঁরা শিক্ষাজীবনের একটি সুন্দর সময় কাটানোর সুযোগ পায়। শুরুতে শিক্ষকরা অনেক উদ্বিগ্ন ছিলেন। তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে অনেক প্রশ্ন তোলেন। তখন প্রেসিডেন্ট ইয়ু বলেন, যদি কোনো সমস্যা হয়, তবে সে দায় তাঁর নিজের। তাঁর দৃষ্টিতে নিরাপত্তার অজুহাতে বাচ্চাদের খেলার সময় বাতিল করা গ্রহণযোগ্য নয়।

শুধু তাই নয়, প্রেসিডেন্ট ইয়ু’র উদ্যোগে ক্যাম্পাসে প্রতিবছর একবার খেলাধুলার প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। এ পর্যন্ত ১১ বার এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতা অংশ নিতে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের উদ্যোগে দল গঠন করে। দলের প্রধানের নেতৃত্বে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলায় অংশ নিতে পারে এবং উপহার বিনিময় করতে পারে। এমন গেমসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থারও উন্নতি ঘটেছে।

২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট ইয়ু খেলাধুলা ক্লাসের সংস্কার নিয়ে নতুন পরামর্শ দেন, যাতে সকল শিক্ষার্থী এক থেকে দুই ধরনের খেলাধুলায় দক্ষতা অর্জন করতে পারে। স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের বৈশিষ্ট্য অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীতে বৈশিষ্ট্যময় খেলাধুলার কোর্স চালু হয়। ১০ বছরের খেলাধুলা প্রশিক্ষণ কোর্স উন্নয়নের সাথে সাথে স্কুলে বাস্কেটবল, এরোবিকস, ভলিবল, ফুটবল, সাঁতারসহ বিভিন্ন ক্রীড়ায় শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অর্জন করে।

খেলাধুলার হোমওয়ার্ককে মজাদার করার জন্য বিভিন্ন ক্লাসের উইচ্যাট গ্রুপে বাবা-মায়েদের সাথে খেলাধুলায় দক্ষতা উন্নয়নের টিপস শেয়ার করেন ক্রীড়াশিক্ষকরা। ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক অবস্থার উন্নয়নে স্কুলের ক্রীড়াশিক্ষকরা ভূমিকা রাখছেন। ছাত্রছাত্রীদের ক্রীড়া-স্কোর বাড়ানোর জন্য নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা ও খেলাধুলার স্কোর রেকর্ড করেন শিক্ষকরা।

এসব সংস্কার করার পর ইয়ুইং স্কুলের ক্রীড়া-পরিবেশও অনেক উন্নত হয়েছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক অবস্থা বেইজিং হাইতিয়ান এলাকার বিভিন্ন স্কুলের মধ্যে শীর্ষস্থানে দাঁড়িয়েছে। ছাত্রছাত্রীরাও স্বাস্থ্য রক্ষায় আগের চেয়ে বেশি সচেতন হয়েছে।

নান্দনিকতার শিক্ষা স্কুলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রেসিডেন্ট ইয়ু তাঁর কার্যমেয়াদের শুরুতে শিক্ষকদের বলেন, স্কুল হবে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্থানগুলোর অন্যতম। তাই ভালো করে নান্দনিকতার শিক্ষা উন্নয়ন অনেক জরুরি। তিনি ক্যাম্পাসে মাধ্যমিক স্কুল ও প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে দেয়াল নির্মূল করেন এবং মোট ৯টি ছোট খেলার মাঠ ও ৫টি উদ্যান নির্মাণ করেন। তাঁর দৃষ্টিতে স্কুল ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার স্থানের হবার পাশাপাশি বসবাসের এলাকাও বটে। তাই বিভিন্ন বয়সের বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থাকে সম্মান দিতে হবে, তাদের জন্য একটি আরামদায়ক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, এবং বিভিন্ন বয়সের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আদান-প্রদান ও সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া স্কুলের মূল উদ্দেশ্য।

এসব সংস্কারের পর ক্যাম্পাসে লাঞ্চের বিরতির সময় সবচেয়ে আনন্দদায়ক ঘটনার অবতারণা হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় বাচ্চাদের খেলা দেখা যায়, যা শিক্ষকদের জন্য সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য। এ সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ইয়ু হুই সিয়াং বলেন, গাছ ও ফুলসহ প্রাকৃতিক দৃশ্য স্কুলের সৌন্দর্যের প্রতিফলন। বর্তমানে ক্যাম্পাসে ৬০টিরও বেশি পিচগাছ আছে। প্রতিবছর সেসব গাছে পিচফল হয়। তবে, কেউ ফলগুলো তোলে না। এ সম্পর্কে ইয়ু বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য সুশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার নিয়ম অনুসরণ করা এবং আত্মসংযমের দক্ষতা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকদের জন্য আন্তরিকতার সাথে ছাত্রছাত্রীদের সাথে সহাবস্থান করা এবং নিজের আচরণ ঠিক করে শিক্ষার্থীদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি কাজ। প্রেসিডেন্ট ইয়ু’র দৃষ্টিতে দীর্ঘকাল ধরে নৈতিক ও পবিত্র পরিবেশ গড়ে তোলা স্কুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেটি প্রত্যেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করে।

শ্রমের শিক্ষা ইয়ুইং স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য সমাজের প্রথম ক্লাস। শ্রমের শিক্ষা স্কুলের আরেকটি বৈশিষ্ট্য। প্রেসিডেন্ট ইয়ু’র নেতৃত্বে স্কুলে নিয়মিত শ্রম, উত্পাদন শ্রম, আর পরিষেবা শ্রম নিয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্স চালু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে, পরিবারে ও সমাজে বিভিন্ন শ্রমের কাজ করতে পারে। এ শিক্ষা শ্রমের প্রতি সঠিক ধারণা ও অভ্যাস তৈরির জন্য সহায়ক। স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য শ্রম প্রশিক্ষণ ক্লাস চালু করা হয়েছে। এভাবে প্রত্যেকে নিজের শ্রেরম কাজ বেছে নিতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মসংস্থানও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অর্জন করতে পারে। বিভিন্ন সেমিস্টারে সংশ্লিষ্ট শ্রম কাজের মান পর্যালোচনা করা হয়। প্রতি নতুন সেমিস্টারে তা পরিবর্তনও করা যায়। এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শ্রমমূলক কাজে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ ঘটে এবং তাদের আদান-প্রদান ও সহনশীলতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। টানা ১১ বছর ধরে এ ব্যবস্থা চালু থাকার পর অনেক সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

 (সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)