অগাস্ট ১৬: চীনে শিক্ষার্থীদের জন্য বছরের সবচেয়ে আনন্দের সময় গ্রীষ্মকালীন ছুটি। তবে, শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রীষ্মকালীন ছুটি এখন আর শুধু অলস সময় নয়, বরং একটি রঙিন ও বহুমুখী সাংস্কৃতিক সময় কাটানোর উপলক্ষ্য। চীনের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারও শিক্ষার্থীদের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করছে, যাতে তারা গ্রীষ্মের ছুটি পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারে।
বহুমুখী সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা অর্জন গরমের ছুটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতমের আকর্ষণীয় বিষয়।
“আজকের চীনে, আমরা বিভিন্ন সংস্কৃতির মিশ্রণ দেখতে পাই। গ্রীষ্মে প্রাণবন্ত রাস্তায় ও গলিতে, আপনি শুধুমাত্র ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত শুনবেন না, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও উপভোগ করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, তরুণ-তরুণীরা চীনা ও পাশ্চাত্য শৈলীর সংমিশ্রণে আয়োজিত কনসার্টে অংশগ্রহণ করতে পারে, বিভিন্ন দেশের সঙ্গীতজ্ঞদের পরিবেশনা উপভোগ করতে পারে, এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গীতের সৌন্দর্য অনুভব করতে পারে। এ ছাড়া, বিভিন্ন শিল্পপ্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম তাদেরকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতিকে বোঝার সুযোগ দেয়। এই ধরনের বহুমুখী সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা শুধুমাত্র তরুণ-তরুণীদের দিগন্তকে প্রসারিত করে না, বরং তাদের আন্তঃসাংস্কৃতিক সচেতনতা ও যোগাযোগের দক্ষতাও বাড়ায়।”
বহুমুখী উন্নয়ন শিক্ষার্থীদের বিকাশের সুযোগ বাড়ায়। “আজকাল শিক্ষার্থীদের বহুমুখী উন্নয়ন এবং তাদের শখের ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে চীনে। গ্রীষ্মের ছুটিতে, বিভিন্ন ধরণের গ্রীষ্মকালীন শিবির, প্রশিক্ষণ কোর্স ও কমিউনিটি কার্যকলাপসহ বিভিন্ন পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের রুচি ও মেধা অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্ষেত্রে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সঙ্গীত অনুরাগীরা পিয়ানো, বেহালা ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র শিখতে পারে; ক্রীড়া অনুরাগীরা ফুটবল, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলার গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করতে পারে। এসব সুযোগ যে কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বিকাশের চাহিদাই মেটায়, তা নয়, বরং তাদের পেশাগত দক্ষতা ও দলগত কাজের সহযোগিতামূলক চেতনাও বাড়ায়।”
গ্রীষ্মের ছুটিতে শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাসেবক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুশীলনের মাধ্যমে আরও বেশি মানবিক হতে পারে; সামাজিক দায়িত্ব অনুভব করতে পারে।
“চীনা সমাজ তরুণদের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণকে উত্সাহিত করে, যাতে তারা সত্যিকারভাবে অন্যদেরকে সাহায্য করা ও সমাজের যত্ন নেওয়ার আনন্দ অনুভব করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু সংস্থার উদ্যোগে পরিবেশ রক্ষা তত্পরতা এবং দাতব্য তত্পরতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারে তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা, যাতে তারা ব্যক্তিগতভাবে পরিবেশ রক্ষা ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর যত্ন নেওয়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে। এই ধরণের অভিজ্ঞতা কেবল যে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিক যত্নের বোধ গড়ে তোলে, তা নয়, বরং তাদের ব্যক্তিত্ব গঠনের জন্য একটি মূল্যবান সুযোগও প্রদান করে।”
চীনা শিক্ষার্থীদের গ্রীষ্মের ছুটি সত্যিই রঙিন হয়ে উঠেছে আজকাল। এরা চীনের ভবিষ্যতের নতুন শক্তি; এরা সামাজিক অগ্রগতি অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। (ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)