অগাষ্ট ১০: চীনের শুল্ক সাধারণ বিভাগের সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৩.৫৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ০.৪ শতাংশ বেশি।
সুচৌ’র একটি বেসরকারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের উত্পাদিত বুদ্ধিমান বাড়ির যন্ত্রপাতিগুলো ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা লুও মিং পো বলেন,
রে ১
“চলতি বছরের প্রথমার্ধে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১০.৭ কোটি মার্কিন ডলার। আমাদের পণ্য প্রধানত উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে রপ্তানি হয়। এ ছাড়া, আমাদের পণ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারেও প্রবেশ করেছে।”
কুয়াংসি’র একটি সামুদ্রিক খাবার উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কারখানায় শ্রমিকরা প্রতিদিন ব্যস্ত সময় কাটান। তাঁদের উত্পাদিত খাদ্যদ্রব্য যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি হয়। প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার ইউয়ান চং শেং বলেন,
রে ২:
“পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের অর্ডার বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুমান অনুযায়ী, এ বছরে আমাদের রপ্তানির পরিমাণ আগের চেয়ে বেশি হবে।”
শুল্ক সাধারণ বিভাগের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত জুলাই মাস পর্যন্ত চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ মোট ২৩.৫৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ান আরএমবি ছিল। এর মধ্যে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৩.৪৭ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। এ সম্পর্কে শুল্ক সাধারণ বিভাগের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ বিভাগের পরিচালক ল্যু তা লিয়াং বলেন,
রে ৩
“চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে চীনের রপ্তানি মাসে গড়ে বেড়েছে ৩.৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ানেরও বেশি। গত জুলাই মাসে চীনের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩.৪৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা ২০১৯ সালের একই সময়ের চেয়ে ২৫.৭ শতাংশ বেশি। সামগ্রিকভাবে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যে আমদানি ও রপ্তানি প্রত্যাশা পূরণ করে চলেছে; এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী উন্নতির মৌলিক বিষয়গুলো পরিবর্তিত হয়নি।”
শুল্ক সাধারণ বিভাগের পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যে কাঠামোমূলক উন্নতি হয়েছে। সাধারণ বাণিজ্যে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ১৫.৪১ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছিল, যা গত বছরের একই সময়কালের চেয়ে ২.১ শতাংশ বেশি। ওই সময় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১২.৪৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬.৭ শতাংশ বেশি। এটি মোট আমদানি ও রপ্তানির ৫২.৯ শতাংশ।
এদিকে, আসিয়ান ছিল চলতি বছরে চীনের প্রথম বাণিজ্যিক অংশীদার। আসিয়ানে চীনের আমদানি ও রপ্তানি ছিল ৩.৫৯ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা গত বছরের তুলনায় ২.৮ শতাংশ বেশি। চীনের মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের ১৫.৩ শতাংশ আসিয়ানের সাথে। ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকাতে চীনের আমদানি ও রপ্তানি ছিল যথাক্রমে ১.৯২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ও ১.১৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা যথাক্রমে ৫.৫ ও ৭.৪ শতাংশ বেশি। চীনের ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগসংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে চীনের আমদানি ও রপ্তানি ছিল ৮.০৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের চাইতে ৭.৪ শতাংশ বেশি।
চীনের জাতীয় তথ্যকেন্দ্রের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস বিভাগের সামষ্টিক অর্থনীতি গবেষণা কার্যালয়ের পরিচালক রেন ইউয়ান মিন বলেন,
রে ৫
“চলতি বছর চীনের সাথে আসিয়ান, ল্যাটিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও মধ্য-এশিয়ার আমদানি ও রপ্তানির গতি আগের চেয়ে দ্রুততর ছিল। আমরা উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক যোগাযোগ জোরদার করার পাশাপাশি, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে আঞ্চলিক বাজার উন্নত করছি। এটি শিল্প-চেইন ও সরবরাহ-চেইনের স্থিতিশীলতার জন্য সহায়ক। (ছাই/আলিম)