বাস্তবের সিনচিয়াং কেমন? উত্তর দিচ্ছেন কূটনীতিকরা: সিএমজি সম্পাদকীয়
2023-08-07 19:59:20

আগস্ট ৭: ‘আমি যে সিনচিয়াং প্রত্যক্ষ করেছি, তা পশ্চিমা মিডিয়ার সিনচিয়াং থেকে পুরোপুরি আলাদা।’ সম্প্রতি ডমিনিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূত মার্টিন চার্লস তাঁর সিনচিয়াং সফরশেষে এ কথা বলেছেন।

৫ দিনব্যাপী সফরে তিনি অন্য ২৪টি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে একে একে কাশগর, কুকা এবং উরুমচি সফর করেন। সিনচিয়াংয়ের রীতিনীতি ও সংস্কৃতি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে এ সময় জানতে পারেন কূটনীতিকরা। ‘সুন্দর দৃশ্য, স্থানীয়দের আতিথেয়তা, প্রাণবন্ত অর্থনীতি’ কূটনীতিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাঁরা বলেন, ‘মানুষের উচিত বাস্তবের সিনচিয়াং দেখতে এখানে আসা।’

মার্টিন চার্সের মতো অনেক কূটনীতিক প্রথমবারের মতো সিনচিয়াং সফরে আসেন। আসার আগে তাঁরা পশ্চিমা গণমাধ্যমে  অনেক নেতিবাচক রিপোর্ট পড়েছেন এবং নিজেরাও কমবেশি সন্দিহান ছিলেন। সে সন্দেহ নিয়েই তাঁরা গত ৩১ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত সিনচিয়াং সফর করেন এবং সফরকালে তাদের মনের সকল প্রশ্নের উত্তর তাঁরা পেয়েছেন।

এবারের সফরে কূটনীতিকরা নানা প্রকল্প, দর্শনীয় স্থান, পুরানো সিটি এবং প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন। চীনে নিকারাগুয়ার রাষ্ট্রদূত ক্যাম্পবেলের চোখে সিনচিয়াংয়ের অর্থনীতির ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে; মানবাধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষিত আছে। পশ্চিমা গণমাধ্যমে প্রচারিত তথাকথিত রিপোর্ট থেকে যা একদম  আলাদা।

চীনে ইরানের রাষ্ট্রদূত সিনচিয়াংয়ের তুলা ক্ষেতে লক্ষ্য করেন যে, সেখানে আধুনিক জলসেচব্যবস্থা কাজ করছে এবং তুলা তোলার আধুনিক সরঞ্জামের ফলে উত্পাদন বেড়েছে, যা স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নত করেছে। কূটনীতিকরা বলছেন, এটি পশ্চিমা গণমাধ্যমের ‘কথিত জোরপূর্বক শ্রম’ আদায়ের প্রচারণা থেকে পুরোপুরি আলাদা চিত্র। সিনচিয়াং অনেক আগে থেকেই অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করছে।

পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২০ সালের শেষ দিকে সিনচিয়াংয়ে চরম দারিদ্র্য নির্মূল হয়েছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে সিনচিয়াংয়ে উত্পাদনের পরিমাণ ৮৫৪২০ কোটি ৮০ লাখ ইউয়ান ছাড়িয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.১ শতাংশ বেশি। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সিনচিয়াংয়ে পর্যটকের সংখ্যা ১০ কোটি ২০ লাখ পার্সন টাইমস ছাড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১.৪৯ শতাংশ বেশি। পর্যটন খাতের আয়ের পরিমাণ ৯২২৭ কোটি ৬০ লাখ ইউয়ান ছাড়িয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৩.৬৪ শতাংশ বেশি।

(রুবি/আলিম/শিশির)