অ্যাবলিটি ও তাঁর ঘোড়া সমবায়
2023-08-07 16:15:30

২০০৯ সালে সিনচিয়াংয়ের বা বান্নারের বোহু জেলার কৃষক অ্যাবলিটি ১২৮জন কৃষকের সাথে একটি বিশেষ জাতের ঘোড়ার সমবায় কেন্দ্র চালু করেন। এই জাতের ঘোড়া লালনপালন করা, ভর্তুকি যোগাড় করা, ঘোড়দৌড় খেলা আয়োজন করা এবং ঘোড়া বিক্রি করার মাধ্যমে সমবায়ের কৃষকরা ধনী হয়েছেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমি অ্যাবলিটি ও তাঁর ঘোড়া সমবায়ের গল্প তুলে ধরবো।

সাবটাইটেল:

তাড়াতাড়ি দৌড়াও, আর দুটি ল্যাপ।

দৌড়াও, দ্রুত। সর্বশেষ ল্যাপ।

নাও ধরতে পারে।

আমাদের ঘোড়ার শক্তি ফুরিয়ে এসেছে।

জিতেছি, জিতেছি, খেলা শেষ।

অ্যাবলিটি হলেন থেংফেই বিশেষ জাতের ঘোড়া লালনকেন্দ্র সমবায়ের চেয়ারম্যান।

অ্যাবলিটি:

আমরা ঘোড়ার অবস্থা উন্নত করছি। আমরা ঘোড়ার স্ট্যামিনা বৃদ্ধি করি।

আমদানি ঘোড়ার দাম খুব বেশি। স্থানীয় সাধারণ ঘোড়ার মানদণ্ড উন্নত না-হলে ভালো দামে বিক্রি করা যায় না। তাই তাঁদের সমবায় শুদ্ধ জাতের ঘোড়া আমদানি করে। সমবায়ের কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে ঘোড়াগুলোর ক্রসব্রিড করা হয়। এতে স্থানীয় ঘোড়ার জাত উন্নত হয়। এর মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের ঘোড়ার দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

অ্যাবলিটি:

দেখুন, এসব আমাদের ক্রসব্রিড ঘোড়া। এমন হাইব্রিড ঘোড়ার স্ট্যামিনা বেশি হয় এবং দৌড়ানোর গতি আরো দ্রুত হয়। এই ঘোড়াগুলো আমরা প্রজনন করেছি।

জেলাটি ৫ কিলোমিটার ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করবে। অ্যাবলিটি বলেন, এই প্রতিযোগিতায় তাদের জিততেই হবে। ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সমবায়গুলো নিজেদের ঘোড়া প্রদর্শন করতে পারে। ২০১৯ সাল থেকে জেলাটি প্রতি বছরে এক বার ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করে।

এ ছাড়া প্রতিযোগিতা হলো বিভিন্ন সমবায় যোগাযোগের একটি ভাল প্ল্যাটফর্ম। প্রায় গোটা সিনচিয়াংয়ের ঘোড়া পালক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এ বছর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা শতাধিক। ১০ হাজারেরও বেশি দর্শক প্রতিযোগিতায় আসবেন।

ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে জেলাটি ভ্রমণের জন্য আরও লোক আকৃষ্ট করে। আরো বেশি মানুষ স্থানীয় ঘোড়া পালন শিল্প ও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার সংস্কৃতির জানতে পারবেন।

২০০৯ সালে অ্যাবলিটি সমবায় প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে মাত্র পাঁচ পরিবারের ২০টিরও বেশি ঘোড়া ছিল। বর্তমানে স্থানীয় সব বাসিন্দা তাঁর সমবায়ে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের সমবায়ে ঘোড়ার সংখ্যা এক হাজারের বেশি। বোহু জেলা তাদের ঘোড়াগুলোর মান উন্নত করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান আরো ভালো হচ্ছে।

(ছাই/তৌহিদ)