ছেংতু সামার ইউনিভার্সিয়েডের সেচ্ছাসেবকের জীবন
2023-08-04 16:51:07

চলতি বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত সেচ্ছাসেবকদের শপথগ্রহণ সভায় ৩১তম ছেংতু সামার ইউনিভার্সিয়েডের প্রায় ৫শ’ সেচ্ছাসেবকের প্রতিনিধিরা বিশ্বের জন্য দৃঢ় শপথ নেন। তারা প্রতিযোগিতার স্টেডিয়াম, সামার ইউনিভার্সিয়েডের ক্রীড়াবিদ গ্রাম, প্রধান মিডিয়া সেন্টার, উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান এবং বিমানবন্দর ও স্টেশনসহ নানা জায়গায় পেশাগত, বন্ধুত্বপূর্ণ ও দুর্দান্ত পরিষেবা দেওয়ার মাধ্যমে ৩১তম ছেংতু সামার ইউনিভার্সিয়েডের সুষ্ঠু আয়োজনকে নিশ্চিত করছেন। তারা ছেংতু শহরের সৌন্দর্য বিশ্বের অতিথিদের কাছে তুলে ধরছেন।

ছাই তি দক্ষিণ-পশ্চিম পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে (Southwest Petroleum University) চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছেন। তিনি ৩১তম ছেংতু সামার ইউনিভার্সিয়েডের সেচ্ছাসেবকদের একজন।

২০১৯ সালে তিনি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, তখন ভাবতেও পারেননি তিনি একদিন ছেংতু সামার ইউনিভার্সিয়েডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হবেন এবং নিজের ভবিষ্যতও এর কারণে ক্রীড়ার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য হয়ে যাবে। সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বেইজিং স্পোটর্স ইউনিভার্সিটিতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা করবেন। তিনি মনে করেন, ক্রীড়ার ক্ষেত্রে উন্নয়নের আশা জাগিয়েছে ছেংতু।

স্বেচ্ছাসেবক সেবা ছেংতু ইউনিভার্সিয়েডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ছেংতু ইউনিভার্সিয়েডের নির্বাহী কমিটি ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে ছেংতুর প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ শুরু করে। তাদের মৌলিক ভাষা দক্ষতা এবং ইউনিভার্সিয়েড সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান-সংক্রান্ত লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষা পাস করতে হয়।

সামার ইউনিভার্সিয়েডের সেচ্ছাসেবক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে ছাই তি জানান, এর আগে সেচ্ছাসেবক হিসেবে তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আঠারো বছর বয়সে তিনি শানসি ফেন ইয়াংয়ের ওয়াইন মেলার সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশোনার সময় তিনি সানশাইন ইয়ুথ ভলান্টিয়ার সোসাইটিতে যোগ দিয়েছিলেন।

২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ছেংতু ইউনিভার্সিয়েডের স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান ছেংতু শহরে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানকার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, সেখানে ইংরেজির দক্ষতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ, মৌলিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং জাতীয়, প্রাদেশিক ও শহরের পরিস্থিতিসহ সাংস্কৃতিক জ্ঞানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

স্বেচ্ছাসেবকরা শহরের ‘চিত্রের মুখপাত্র’ এবং আন্তর্জাতিক বিনিময় এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মাইক্রোস্কোপিক ‘ল্যান্ডস্কেপ’। গেমসের পরিকল্পনা এবং কাজের প্রয়োজনের নিরিখে ছেংতু ইউনিভার্সিয়েডের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০ হাজার জনকে গেমসের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছে।

ছেংতু সামার ইউনিভার্সিয়েডের উদ্বোধনের আগে ছাই তি’র কাজ ছিলো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়া। ছাই তিন বলেন, “তারা স্কুলে বা স্টেডিয়ামে যেখানেই মহড়া দেন না কেন, তাদের পরিবহন, খাবার ও নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে আমাদের এবং অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, বিচারক ও কর্মীদের মধ্যে যোগাযোগের সেতু হতে হবে।”

ছাই তি বলেন, “সব পক্ষের উচিত তাদের নিজেদের কাজ ভালোভাবে করা এবং আগে থেকেই পরিকল্পনা করা। এভাবেই কাজটি দ্রুত সমাধান করা যেতে পারে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ, যা আমি স্বেচ্ছাসেবা দেওয়ার সময় শিখেছি।”

স্বেচ্ছাসেবকের অভিজ্ঞতার কারণে ছাই তিন ছেংতু শহরের সহনশীলতা অনুভব করেন গভীরভাবে। তিনি বলেন, “ছেংতু একটি আরামদায়ক শহর। এখানে মানুষ খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ইউনিভার্সিয়েড এই শহরের খেলাধুলার পরিবেশকে শক্তিশালী করেছে। আমি সম্ভবত স্নাতক শেষ করার পর ক্রীড়া নিয়ে কাজ করতে আবার ছেংতুতে ফিরে আসবো। খেলাধুলা যা আনতে পারে তা কেবল পদক বা সম্মানই নয়, এটি ক্রমাগত অতিক্রম এবং ক্রমাগত উন্নতির চেতনাও। আমি এই আধ্যাত্মিক শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমি বিশ্বাস করি, ছেংতু আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে।”

লিলি/রহমান