‘তারুণ্যের অগ্রযাত্রা’ পর্ব ২৯
2023-08-02 18:47:17

‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী।  দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার প্রধান হাতিয়ার তারুণ্য। তরুণরা চাইলেই পারে সমাজকে বদলে দিতে। এজন্য দরকার তাদের চিন্তা ও মেধার সমন্বয়। চীন ও বাংলাদেশের তরুণদের অফুরান সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবো এই অনুষ্ঠানে। তরুণদের সৃজনশীলতার গল্পগাঁথা নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের তারুণ্যের অগ্রযাত্রা।       

১. তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়াতে চেষ্টা জোরদার করছে চীন

 

তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে চীন সরকারের নেয়া পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশজুড়ে চলছে নিয়োগ অভিযানসহ নানা কার্যক্রম। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বেইজিং প্রশাসন। অসংখ্য চাকরি মেলা সেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সার্বিক সহযোগিতা করছে।

তরুণদের কর্মসংস্থানে সহায়তায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে চীন। বছরের এই সময়টাতে চীনের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে বের হন শিক্ষার্থীরা। আর এই সময়টিকেই লক্ষ্য করে চাকরীপ্রার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করছে চীন সরকার।  



তরুণদের চাকরির জন্য সহায়তা দেওয়া সবসময় সরকারের কার্য-তালিকার শীর্ষে থাকে। বেইজিং মিউনিসিপ্যাল হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ব্যুরোর উদ্যোগে সম্প্রতি একটি চাকরিমেলা অনুষ্ঠিত হয়। 

 

 

প্রতিভাবানদের আকৃষ্ট করতে এ মেলায় অংশ গ্রহণ করে প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্টার্টআপ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত শতাধিক কোম্পানি।  

 


বেইজিং এরইমধ্যে ২১০টিরও বেশি চাকরিমেলার আয়োজন করেছে বলে জানিয়েছেন বেইজিং কর্মসংস্থান উন্নয়ন কেন্দ্রের স্নাতক কর্মসংস্থান পরিষেবা বিভাগের পরিচালক তিং তিং।     

‘যেসব শিক্ষার্থীর স্নাতক শেষ হয়েছে, তাদের চাকরির সন্ধানে সহায়তা করা আমাদের কর্তব্য। বেইজিং বছরের প্রথমার্ধে ২ শতাধিক চাকরিমেলার আয়োজন করেছে, যা শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতিকে প্রদর্শন করে।’  


এবারের চাকরিমেলায় বেশ কয়েকজন নিয়োগকারী জানান, পদের সংখ্যার তুলনায় চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। স্নাতক পাশের পর চাকরি খোঁজার সময়টাতে প্রস্তুতির জন্য চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় একটি বহুমুখী পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে। এর ফলে ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত হয়েছে।  

পরিসংখ্যান বলছে,  এই বছর রেকর্ড সংখ্যক স্নাতক বের হয়েছে। যুবকদের কর্মসংস্থান স্থিতিশীল করতে প্রচেষ্টা বাড়ানোর অংশ হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে চাকরি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসারিত করতে সহায়তা করছে দেশটির সরকার। ছোট সংস্থাগুলো আরও ঋণপ্রদান উৎসাহিত করছে।

 

প্রতিবেদকঃ রওজায়ে জাবিদা ঐশী

সম্পাদকঃ শিহাবুর রহমান

 

২.  মূল ভূখণ্ড, হংকং, ম্যাকাও কিশোরদের সাংস্কৃতিক বিনিময় ট্যুর

 

চীনা মূল ভূখণ্ড , হংকং এবং ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের কিশোরদের অংশ গ্রহণে একটি সাংস্কৃতিক বিনিময় ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীনা সংস্কৃতির প্রসারে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। বিশেষত নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে তাদের ঘিরে নেয়া পদক্ষেপের একটি উদ্যোগ এ ধরণের গ্রুপ ট্যুর।

 

 

তরুণ প্রজন্মকে ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতি চর্চার প্রতি আগ্রহী করতে এবং চীনা প্রাকৃতিক দৃশ্যের সৌন্দর্য উপলব্ধি করাতে মূল ভূখণ্ড , হংকং এবং ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের কিশোরদের অংশগ্রহণে একটি সাংস্কৃতিক বিনিময় ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হিয়েছে। গেল মাসের শেষের দিকে শানতং এবং চেচিয়াং প্রদেশে চীনের সুং ছিং লিং ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই বিনিময় ক্যাম্পেইন বা গ্রুপ ট্যুর অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

এই অঞ্চলের মনোরম এলাকায় গ্রুপ ট্যুরের সময় লোক রীতিনীতি বিষয়ক ফটো অ্যালবাম তৈরি করে তারা।

 

চীনা প্রাচীন ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়েছে বলে জানান ম্যাকাওয়ের ফুই চিং মিডল স্কুলের শিক্ষার্থী লিয়াং সিন।  

"যখন আমি উছানে পৌঁছলাম, তখন আমার মনে হচ্ছিলো আমি প্রাচীনকালে ভ্রমণ করছি। শহরটি একটি প্রাচীন স্থাপত্য শৈলী সংরক্ষণ করে, যা নিজের চোখে দেখলেই শুধুমাত্র অনুভব করা যায়।" 

 

২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত চায়না সুং চিং লিং ফাউন্ডেশন চীনের মূল ভূখণ্ড, হংকং, ম্যাকাও এবং তাইওয়ান থেকে শা’য়ানসি, ফুচিয়ান, বেইজিং এবং ছোংছিংসহ চীন জুড়ে অনেক জায়গায় অর্ধসহস্রাধিক কিশোর-কিশোরীর জন্য সাংস্কৃতিক সফরের আয়োজন করেছে।

 

প্রতিবেদকঃ রওজায়ে জাবিদা ঐশী

সম্পাদকঃ মাহমুদ হাশিম

 

৩.  পশ্চিমা দেশের তুলনায় চীনে পড়াশোনার ব্যয় কম তবে মান ভালো : চীনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী

 

সাব্বির মোহাম্মদ সৈকত। চীনের ছাংসা ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি করেছেন। বেইজিং বেইহাং ইউনিভার্সিটিতে সরকারি বৃত্তিতে এমএসসির সুযোগ পেয়েছেন সাব্বির। চীনা ভাষাকে ভালোভাবে রপ্ত করছেন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মেকানিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বোচ্চ অবদান রাখার ইচ্ছে তার।   

প্রিয় শ্রোতা, সাব্বির মোহাম্মদ সৈকতকে আমরা তারুণ্যের অগ্রযাত্রার এই পর্বে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি অনলাইনে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তার শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও চিন্তা ভাবনা শেয়ার করেছেন।

 

 

সাক্ষাৎকার গ্রহণঃ রওজায়ে জাবিদা ঐশী

 

আমাদের ‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ আজ এই পর্যন্তই । পরবর্তী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভকামনা সবার জন্য।

 

পরিকল্পনা ,পরিচালনা ও সঞ্চালনা : রওজায়ে জাবিদা ঐশী

অডিও সম্পাদনা:  রফিক বিপুল, রওজায়ে জাবিদা ঐশী

সার্বিক সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী