আগস্ট ১: গতকাল (সোমবার) বিকালে, পৃথিবীতে ফিরে আসার ৫৭ দিন পর, শেনচৌ-১৫ মহাকাশযানের নভোচারীরা চীনের নভোচারী বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত হন। এ সময় নভোচারী ফেই চুন লং, তেং ছিং মিং ও চাং লু জনসম্মুখে আসেন।
শেনচৌ-১৫ মহাকাশযানে দায়িত্ব পালন করার পর, এই তিন নভোচারী গত ৪ জুন মহাকাশকেন্দ্রকে বিদায় জানিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। তাঁরা কক্ষপথে ছিলেন ছয় মাসের বেশি সময় ধরে। মহাকাশকেন্দ্রে অবস্থানকালে নভোচারীরা মোট চার বার ক্যাবিনের বাইরে গিয়ে বিভিন্ন কাজ করেন। এটা একটা নতুন রেকর্ড। এর আগে কোনো একটি মিশনে নভোচারীরা এতো বার মহাকাশে পদচারণা করেননি।
২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় লংমার্চ-২ পরিবাহক রকেট শেনচৌ-১৫ মহাকাশযানকে মহাকাশকেন্দ্রে নিয়ে যায়। শেনচৌ-১৫ চীনের মহাকাশকেন্দ্রের সাথে সাফল্যের সাথে সংযুক্ত হাওয়ার পর, ফেই চুন লং, তেং ছিং মিং ও চাং লু শেনচৌ-১৪ মহাকাশযানের নভোচারীদের সঙ্গে মিলিত হন। সময়টা ছিল ৩০ নভেম্বর সকাল ৭টা ৩৩ মিনিট। এর মাধ্যমে একটি নতুন ইতিহাস রচিত হয়। এবারই প্রথম ছয় জন চীনা নভোচারী মহাকাশকেন্দ্রে একসঙ্গে মিলিত হন। শেনচৌ-১৫ মহাকাশযানের নভোচারীদের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে, শেনচৌ-১৪ মহাকাশযানের নভোচারীরা পৃথিবীতে ফিরে আসেন।
কক্ষপথে থাকার সময়ে, শেনচৌ-১৫ নভোচারীরা চার বার ক্যাবিনের বাইরে গিয়ে কাজ করেন। অন্যভাবে বললে, তাঁরা মোট চার বার মহাকাশে পদচারণা করেন, যা ছিল একটি নতুন রেকর্ড। তাদের কাজ মহাকাশে চীনের বৈজ্ঞানিক গবেষণার মজবুত ভিত্তি স্থাপন করে।
এ ছাড়া, শেনচৌ-১৫ নভোচারীরা ২৮টি অ্যারোস্পেস মেডিসিন এক্সপেরিমেন্টসহ একাধিক গবেষণাকাজ পরিচালনা করেন। মহাকাশে ৬ মাস ধরে এমন বহু কাজ করার পর, চলতি বছরের ২ জুন, শেনচৌ-১৫ নভোচারীরা শেনচৌ-১৬ নভোচারীদের হাতে মহাকেশকেন্দ্রের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
৪ জুন সকাল ৭টা ৯ মিনিটে, ফেই চুন লং, তেং ছিন মিং ও চাং লু পৃথিবীতে ফিরে আসেন। বর্তমানে শেনচৌ-১৬ নভোচারী চু ইয়ং চু এবং কুই হাই ছাও চীনের মহাকাশকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন। এই দুই নভোচারী সেখানে থাকবেন ৬ মাস। তারপর তাদের স্থলাভিষিক্ত হবেন আরেক দল নভোচারী। আর এভাবেই এগিয়ে যাবে চীনের মহাকাশ মিশন।
(আকাশ/আলিম/জিনিয়া)