নির্দিষ্টভাবে স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি প্রসঙ্গ
2023-07-31 15:11:08

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের স্নাতক শিক্ষার্থীদের গুণগত মানসম্পন্ন কর্মসংস্থানের জন্য চলতি বছর থেকে চীনের বিভিন্ন প্রদেশের বিভিন্ন সরকারি বিভাগের যৌথ প্রয়াসে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির নির্দিষ্ট চাহিদা মেটাতে, বিভিন্ন সহযোগিতামূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে, যাতে উপযোগী দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় এবং স্নাতক শিক্ষার্থীদের চাহিদাও মেটানো সম্ভব হয়। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা চীনের স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি নিয়ে কিছু আলোচনা করবো।

 

চীনের ছোংছিং মহানগরের জ্বালানিসম্পদ কারিগরি কলেজের ক্লাউড কম্পিউটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী চৌ চিয়ে মনোযোগ দিয়ে কম্পিউটারের সামনে বসে বিভিন্ন ছবি মার্ক করেন। শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনে কলেজটি তাদের পেশাদার পরীক্ষা ও পেশার সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করেছে। এর ফলে শিক্ষার্থী চৌ চিয়ে এআই প্রযুক্তির মৌলিক তথ্য পরিসংখ্যানের সাথে জড়িত কাজে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করে। সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করার পর তিনি কর্মসংস্থানের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর দক্ষতা দিন দিন উন্নত হচ্ছে।

 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ছোংছিং জ্বালানিসম্পদ কলেজ এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় কর্মসংস্থান প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলে, ব্যাপকসংখ্যক দক্ষ ও সেরা প্রযুক্তিকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কলেজের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, তথ্য-উপাত্ত মার্ক করা দেখতে যতটা সহজ আসলে ততটা সহজ নয়। এআই প্রযুক্তির মৌলিক তথ্য-পরিষেবা শিল্পের উন্নয়নের গতি দ্রুত এবং চাহিদাও বেশি। তবে, অতীতকালে স্কুলের সংশ্লিষ্ট পড়াশোনার বিষয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর নির্দিষ্ট চাহিদা মেটাতে সক্ষম ছিল না। তাই, স্কুল ও কোম্পানির সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট ইন্টারশিপ ঘাঁটি স্থাপিত হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা  চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারে।

 

স্কুলের প্রশিক্ষণ কারখানার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাজের সাথে পরিচিত হয় এবং কর্মসংস্থানের সঠিক পথ খুঁজে নিতে পারে। তারা অনেক বাস্তব কর্মঅভিজ্ঞতাও অর্জন করতে পারে। এতে তাদের সহজে কাজ পাওয়ার আশা বাড়ে।

 

বর্তমানে ছোংছিং জ্বালানিসম্পদ কারিগরি কলেজ কয়েকটি সুবিখ্যাত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতামূলক প্রকল্প চালু করেছে। এভাবে ‘স্কুল কারখানা’ স্টাইলের প্রকল্পে আরও বেশি ছাত্রছাত্রীর নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এমন প্রতিষ্ঠানের নাম শিল্প একাডেমি, যা একটি ক্ষুদ্র আকারের আধুনিক কারখানার মতো। এখানে একদিকে উপযুক্ত ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং অন্যদিকে, পণ্য বা পরিষেবা উত্পাদন করা হয়। এভাবে শিক্ষার্থীরা স্নাতক হওয়ার পর কম সময়ের মধ্যে চাকরি পেতে পারে এবং কিছু শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী স্নাতক হওয়ার এক বছর পর অন্যদের প্রশিক্ষণও দিতে পারে।

 

শুধু তা নয়, আরও অনেক পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা দেয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ। যেমন, বিভিন্ন স্কুল ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষিত ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ শিক্ষক আছেন। শিক্ষার্থীরা এমন শিক্ষকদের ক্লাসের মাধ্যমে দ্রুত কর্মদক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম। হাংচৌ শহরের একটি সুবিখ্যাত ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের প্রক্রিয়াকরণ শিল্পপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ জন কর্মী ছোংছিং জ্বালানিসম্পদ পেশাদার কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে এখন এ কোম্পানির উত্পাদন-লাইনের সেরা কর্মী।

 

ছোংছি জ্বালানিসম্পদ কারিগরি কলেজ কেবল একটি দৃষ্টান্ত মাত্র। চীনে এমন কারিগরি স্কুলের সংখ্যা অনেক বেশি। মোদ্দাকথা, স্কুলের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের চাহিদা সৃষ্টির কাজ চলছে পাশাপাশি।

 

চীনের হাইনান প্রদেশের জ্বালানিসম্পদ উন্নয়ন লিমিডেট কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উ লি চুয়ান এবং তাঁর সহকর্মীরা অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কারণ, হাইনান প্রদেশের স্নাতক শিক্ষার্থীদের নিয়োগকাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে সেরা স্নাতক শিক্ষার্থীদের নিয়োগ করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মীরা ব্যস্ত। গত বছর মিস উ’র কোম্পানিতে একটি ১২ লাখ কিলোওয়াট সামুদ্রিক বায়ু প্রকল্প চালু হয়েছে। নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও বেশি দক্ষ ব্যক্তির প্রয়োজন। তাই, হাইনানে তাদের শাখা কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ সবচেয়ে জরুরি কাজ। চলতি বছর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৪০ জন স্নাতক শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ সম্পর্কে তাথাং জ্বালানিসম্পদ উন্নয়ন লিমিডেট কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক ছাও ইয়ং ফেং বলেন, “অতীতে প্রতিবছরের জুন মাসে বিভিন্ন স্কুল থেকে দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ হয়ে যেতো। তবে, চলতি বছর আমরা কর্মীদের নিয়োগের সময় বাড়িয়েছি এবং নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ ছাড়াও সারা চীন থেকে দক্ষ কর্মীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চীনের কেন্দ্রীয় ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শিক্ষার্থী লি চেং-কে কোম্পানির আর্থিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”

 

২০২৩ সালের মার্চ মাসে লি চেং চাকরি খুঁজতে বিভিন্ন নিয়োগ-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে থাকেন। তবে, অবশেষে হাইনান প্রদেশের এ অফারটি তিনি পান। হাইনান প্রদেশে অবাধ বাণিজ্য এলাকা নির্মিত হয়েছে। এখানকার ভবিষ্যত উজ্জ্বল এবং দক্ষ ব্যক্তিদের হাইনানে আনার জন্য বিভিন্ন সুবিধাজনক নীতিও চালু করা হয়েছে। লি চেংয়ের জন্য এটি বেশ আকর্ষণীয় ব্যাপার।

 

এ সম্পর্কে পরিচালক ছাও বলেন, শ্রেষ্ঠ ও সেরা ব্যক্তিদের আকর্ষণে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও সেরা কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। হাইনান প্রদেশের বাইরেও বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ-প্রক্রিয়া চলেছে। এভাবে আরও বেশি দক্ষ ও শ্রেষ্ঠ স্নাতক শিক্ষার্থীকে আকর্ষণ করা গেছে। চলতি বছর নিয়োগকৃত নতুন কর্মীদের চার ভাগের এক ভাগের জন্মস্থানই হাইনান প্রদেশে। তাঁরা নিজেদের জন্মস্থানের উন্নয়নে অবদান রাখতে আগ্রহী।

 

শুধু তাই নয়, গত বছরের অক্টোবর মাসে তাথাং হাইনান কোম্পানি ও হাইনান বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের একটি যৌথ প্রকল্প হাতে নেয়। ভবিষ্যতে উপকূলীয় বায়ুশক্তি, ফটোভোলটাইক, প্রাকৃতিক গ্যাস শক্তির উত্পাদনসহ বিভিন্ন মেজরে দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করা হবে এখানে।

 

জুলাই মাসে মিস লি চেং কর্মস্থলে যোগ দেবেন এবং নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের জন্য ৩ মাসের প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে ১০ দিনের মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং  আড়াই মাসের পেশাদার প্রশিক্ষণ। তখন সিনিয়র কর্মীরা তাদের সহায়তা দেবেন। ভবিষ্যত নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী লি।

 

২০২৩ সালে চীনের হাইনান প্রদেশে ‘লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ’ পরিকল্পনা চালু হয়। চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে দক্ষ ছাত্রছাত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয় এ উপলক্ষ্যে। এ পর্যন্ত ৫৩৪২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান এ নিয়োগ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে এবং মোট ১.১ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী চাকরিতে যোগ দিয়েছেন।

 

চীনের শানতুং প্রদেশের তুংইং শহরের বাসিন্দা ফান পো হাই বলেন, চলতি বছর তাঁর ছেলে ফান লিয়ান থাও তাঁর মনের আশা পূরণ করে, একজন উত্পাদন প্রযুক্তিবিদে পরিণত হয়েছেন। তাঁর কোম্পানির সাথে বাড়ির দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। কোম্পানির প্রধান কাজ রাসায়নিক শিল্পের সাথে জড়িত। এ চাকরি বেছে নেওয়ার আগে কয়েকটি কোম্পানিতে সিভি পাঠায় ছেলে ফান লিয়ান থাও।

 

তুংইং শহরের পৌর সরকার স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানে অনেক সুবিধাজনক নীতি চালু করেছে। ছেলে ফান লিয়ান থাও অনলাইনে কর্মসংস্থানের নিয়োগ-অনুষ্ঠানের বিজ্ঞপ্তি দেখে একাধিক বার সেগুলোতে অংশগ্রহণ করেছেন, কিন্তু কোনো উপযুক্ত চাকরি খুঁজে পাননি। পরে তুংইং এলাকার শ্রম সমিতির সিপিসি’র সম্পাদক চাং সিয়াং মিং তাঁর সিভি দেখে নিজেই তাঁর সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি মনে করেন, অনেক স্নাতক শিক্ষার্থীর অবস্থা ফানের মতো। তাঁরা বড় বড় নিয়োগ-অনুষ্ঠানে উপযুক্ত চাকরি খুঁজে পায় না। তবে, নির্দিষ্ট চাহিদা বিবেচনা করে, তাদের জন্য উপযুক্ত চাকরি সুপারিশ করা হবে স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব। তুংইং শহরের সরকারের নেতৃত্বে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় স্নাতক শিক্ষার্থীদের সিভি তৈরি করা হয়েছে। এভাবে ছাত্রছাত্রীদের চাহিদা ও প্রাধান্য বিবেচনা করে তাদের উপযুক্ত চাকরি বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া যায়। স্থানীয় শ্রম কমিটিসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের প্রত্যেক কর্মী ৮ থেকে ১০ জন স্নাতক শিক্ষার্থীকে সহায়তা দেন। এভাবে স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য আরও দ্রুত চাকরি পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।

 

ছিংতাও টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ও স্নাতক শিক্ষার্থীদের নিয়োগ বিষয়ে বিভিন্ন সুবিধাজনক ব্যবস্থা নিয়েছে। বহুমুখী কর্মসংস্থান পরিষেবা ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রিয় চাকরি খুঁজে পেতে সাহায্য করে বিশ্ববিদ্যালয়।

 

২০২৩ সালের জুন মাসে স্নাতক শিক্ষার্থীদের নিয়োগকাজ প্রায় শেষ দিকে প্রবেশ করেছে। তবে, মেশিন ও গাড়ি প্রকৌশল একাডেমির সহকারী শিক্ষক স্যু সিয়াও তুং স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের তথ্য সংগ্রহের সময় খেয়াল করেন যে, আরও কয়েকজন স্নাতক শিক্ষার্থী কর্মসংস্থানের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেনি। তিনি তাদের সাথে ফোনালাপের পর জানতে পেরেছেন যে, যদিও তারা কয়েকটি কোম্পানিকে সাক্ষাত্কার দিয়েছে, কিন্তু উপযুক্ত চাকরি খুঁজে পায়নি। যাদের জন্মস্থান ছিংতাও নয়, তাদের এখানে চাকরি খুঁজে পাওয়া বেশি কঠিন ব্যাপার। এ অবস্থায় শিক্ষক স্যু কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করেন এবং এসব স্নাতক শিক্ষার্থীর জন্য নতুন সাক্ষাত্কারের  সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানান। তাঁর প্রচেষ্টায় আরও ৩ জন শিক্ষার্থী লোভল ভারী শিল্প গ্রুপে যোগ দেয়।

 

এ সম্পর্কে ছিংতাও টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসংস্থান পরামর্শকেন্দ্রের পরিচালক মু ইয়ং ছুয়ান বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যেক স্নাতক শিক্ষার্থীর অবস্থা ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করে থাকে। তাদের সম্মুখীন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ খুঁজে বের করে এবং উপযোগী সহায়তা দিতে চেষ্টা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমির শিক্ষকরা, সহকারী শিক্ষকরা এবং স্বেচ্ছাসেবকদের যৌথ প্রয়াসে শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরি খুঁজে পাওয়া সহজ হয়।”

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লিউ ই মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যদিও বয়স বেড়ে গেছে, তবে তাদের মানসিক অবস্থা অনেকটাই বড়দের মতো নয়। কেউ কেউ ছেলেমানুষি আচরণ করে। তাই তাদের ভিন্ন ভিন্ন মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে, উপযুক্ত পরামর্শ দিতে হবে। আর এর জন্য চাই শিক্ষকদের ধৈর্য ও আন্তরিকতা।

 

ছিংতাও টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ও সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপন করেছে। চিনান, ছিংতাও, ওয়েফাংসহ কয়েকটি শহরের সরকারি বিভাগের সাথে সহযোগিতায় স্নাতক শিক্ষার্থীদের নিয়োগ-সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। এতে চীনের ভারি যানবাহন গ্রুপসহ ৮০০টিরও বেশি শ্রেষ্ঠ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি আকৃষ্ট হয়। তা ছাড়া, অনলাইন আর অফলাইন সেমিনারের মাধ্যমে স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য ২৮ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।(সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)