জুলাই ৩০: সম্প্রতি মার্কিন জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাপরিচালক বিল নেলসন আর্জেন্টিনা সফর করেছেন। তিনি বুয়েনস আইরেসে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের চাঁদ ও মঙ্গল অনুসন্ধানের সাফল্য তুলে ধরেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মহাকাশ প্রতিযোগিতা চালানোর কথা উল্লেখ করেছেন। আর্জেন্টিনার স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নেলসনের এ সফরের রাজনৈতিক লক্ষ্য রয়েছে।
এটিই প্রথমবার নয় যে, সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা মহাকাশ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আর্জেন্টিনায় এসেছেন। এবারের সফরকালে নেলসন আর্জেন্টিনার নিউকুয়েনে চীন-আর্জেন্টিনা সহযোগিতামূলক গভীর মহাকাশ অনুসন্ধান স্টেশনকে সামরিক বলে অপবাদ দেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, তাঁর একটি উদ্দেশ্য হলো চীন-আর্জেন্টিনা মহাকাশ সহযোগিতা বন্ধ করা।
আসলে নিউকুয়েন ডিপ স্পেস মহাকাশ স্টেশনটি দেশের বাইরে চীনের প্রথম ডিপ স্পেস পর্যবেক্ষণ স্টেশন। যা ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। এটি দু’দেশের শান্তিপূর্ণ মহাকাশ উন্নয়নে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য তা উন্মুক্ত রয়েছে।
গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত জর্জ আরগুয়েলো মার্কিন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান সালাজারকে দেওয়া চিঠিতে বলেন, আর্জেন্টিনার ভূখণ্ডে কোনো সামরিক অবকাঠামো বা এ অঞ্চলের বাইরের দেশগুলোর সামরিক উপস্থিতি নেই। তিনি দৃঢ়ভাবে নিউকুয়েন ডিপ স্পেস স্টেশন নিয় মার্কিন অপবাদ খণ্ডন করেন।
পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০২৩ অর্থবছরে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজেটে, মহাকাশ খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে নাসায় ২৫.৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ২০২২ সালের তুলনায় ৫.৬ শতাংশ বেড়েছে। মার্কিন মহাকাশ বাহিনীর জন্য ৪০ শতাংশের বেশি অর্থাত্ প্রায় ২৬.৩ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তবে চীন শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে মহাকাশ খাত উন্নত করছে। ২০০৩ সালে চীনের প্রথম নভোচারী ইয়াং লি ওয়েই মিশনের সময় জাতিসংঘের পতাকা বহন করেছিলেন। তখন তিনি চীনের পক্ষ থেকে বলেছিলেন, শান্তিপূর্ণভাবে মহাকাশ খাতের ব্যবহার করতে হবে এবং গোটা মানবজাতির উপকার করতে হবে।
মহাকাশ হলো মানবজাতির অভিন্ন সম্পদ, আধিপত্যের আখড়া না। শীতল যুদ্ধের যুগের ঐতিহাসিক অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি করা উচিত নয় এবং তা ঠিক হবে না।
(ছাই/তৌহিদ)