জুলাই ২১: সম্প্রতি আর্জেন্টিনার এক কর্মকর্তা ব্রাসেলসে ‘তৃতীয় সেলাখ-ইইউ শীর্ষসম্মেলনের’ সময় দেশটির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দীর্ঘকাল পরে ইইউ প্রথমবারের মতো মালভিনাস দ্বীপের কথা উল্লেখ করেছে’। সেলাখ-ইইউ শীর্ষসম্মেলনের বিবৃতিতে প্রথমবারের মতো মালভিনাস দ্বীপের সার্বভৌমত্ব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দু’পক্ষ আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে বৈঠকের মাধ্যমে বিতর্ক সমাধান করতে সম্মত হয়েছে।
ইইউ বলেছে, মালভিনাস দ্বীপের সার্বভৌমত্বের ওপর সেলাখের ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করেছে ইইউ। সংস্থাটি জাতিসংঘ সনদ ও নীতি পালনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। তা ছাড়া, ইংরেজি সংস্করণে মালভিনাস নাম ব্যবহার করা হয়েছে। ব্রিটেন নামকরণ করেছে ফাল্কল্যান্ড দ্বীপ। বিবৃতি প্রকাশের পরপরই আর্জেন্টিনা স্বাগত জানিয়ে একে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে মন্তব্য করেছে। মার্কিন নিউজ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ব্রিটেন যথাসাধ্যভাবে বিবৃতিতে ইইউ’র মালভিনাস দ্বীপের কথা উল্লেখ না-করতে বাধা দিয়েছিল। তবে সফল হয় নি।
পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোর মিত্র সংস্থা হিসেবে ইইউ এবারে মালভিনাস দ্বীপ নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে, যার কয়েকটি কারণ রয়েছে। মালভিনাস দ্বীপ নিয়ে আন্তর্জাতিক সমাজের নির্দিষ্ট অবস্থান রয়েছে। মালভিনাস দ্বীপের সমস্যা মূলত ঔপনিবেশিক সমস্যা। ১৯৬৫ সালে জাতিসংঘ সাধারণ সম্মেলনের ২০৬৫ নম্বর প্রস্তাবে মালভিনাস দ্বীপের উপনিবেশ দূর করার কথা বলা হয় এবং ব্রিটেন ও আর্জেন্টিনাকে বৈঠকের মাধ্যমে বিতর্ক সমাধানের তাগিদ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, বাস্তবতা বিবেচনা করে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে ইইউ। ইউক্রেন সংকটের প্রভাবে ইইউ এক সময় জ্বালানি সংকটে পড়ে। সংস্থাটি ল্যাতিন আমেরিকার সঙ্গে খনিজ সম্পদ ও পুনব্যবহারযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে চায়।
ইউরোপের অনেক দেশ এ বিষয়ে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছে। তাহলে, ব্রিটেন আর চোখ-কান বন্ধ রাখতে পারবে না। জাতিসংঘের প্রস্তাব ও আন্তর্জাতিক সমাজের দাবির মুখে ব্রিটেনের উচিত উপনিবেশের স্বপ্ন থেকে জেগে উঠে আর্জেন্টিনার সঙ্গে পুনরায় বৈঠক শুরু করা।
(রুবি/তৌহিদ/লাবণ্য)