শেনচেন তথ্যপ্রযুক্তি কলেজ ও প্রসঙ্গকথা
2023-07-17 15:30:18

সম্প্রতি চীনা শিক্ষার্থীদের জন্য জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ‘কাওখাও’ তথা বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তিপরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় বা কারিগরি স্কুলে ভর্তির জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজও শুরু করেছে।

চীনের শিক্ষার্থীরা সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় বা কারিগরি স্কুলে ভর্তি হয় প্রতিবছর। এসব বিশ্ববিদ্যালয় বা স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তাঁরা দেশ ও সমাজের উন্নয়নে নিজেদের ভূমিকা রাখে বা রাখতে পারে। আজকের ‘বিদ্যাবার্তা’য় আমরা চীনের শেনচেন শহরের কয়েকটি কারিগরি স্কুলের উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মেজরের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বিপ্লবের কারণে, বিশ্বের নির্মাণশিল্পে ও প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। উন্নত নির্মাণশিল্পের জন্য বিদ্যমান বিভিন্ন সুযোগ কাজে লাগানো চাই। এ প্রেক্ষাপটে, চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের শেনচেন শহরে দক্ষ ও সৃজনশীল ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শেনচেন তথ্যপ্রযুক্তি কলেজের নাম এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়। গত ৩ বছরে এ কলেজের পদার্থবিদ্যা ও ইতিহাস বিভাগে সর্বনিম্ন ভর্তি স্কোর সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে বেশি ছিল। কারিগরি স্কুল হলেও, এখানকার শিক্ষার্থীরা স্নাতক হওয়ার পর মাথাপিছু প্রায় ১৫টি কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। এ কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে উচ্চতর শিক্ষার জন্য অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। এ সবই সম্ভব হয়েছে কলেজের সংস্কার ও সংস্কারের ফলে এর শিক্ষাব্যবস্থার মান উন্নয়নের কারণে।

দেশের উন্নয়নের চাহিদা বিবেচনা করে, শেনচেন তথ্যপ্রযুক্তি কলেজে ডিজিটাল খাতের বিভিন্ন মেজর চালু হয়েছে, যেমন: এআই প্রযুক্তি, ইনটিগ্রেটেড সার্কিট বা সমন্বিত বর্তনী, শিল্প সফটওয়ার, মালপরিবহন নেটওয়ার্ক, ক্লাউড কম্পিউটিং, বিগ ডেটা, আধুনিক মোবাইল যোগাযোগসহ ৪৯টি মেজর। এসব মেজর কুয়াংতং প্রদেশের কৌশলগত শিল্প ও শেনচেন শহরের শিল্পগ্রুপের সাথে জড়িত। তাই শিক্ষার্থীরা স্নাতক হওয়ার পর সহজে উপযুক্ত চাকরি পেয়ে যায়।

চীনের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পপতিষ্ঠানগুলো চীনের প্রক্রিয়াকরণ ও শিল্পচেইনের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক বা পরিপূরক। চীনের সরকারি কার্যবিবরণীতে ‘বিশেষ, নির্দিষ্ট, বৈশিষ্ট্যময় ও সৃজনশীল’ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং সেরা দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের ওপর নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। তাই সেরা দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি এ কলেজেও যথেষ্ট গুরুত্ব পায়। এখানে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দক্ষ ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।  বিভিন্ন নতুন মেজর ও নতুন প্রশিক্ষণ ক্লাস চালুর ধারাও এখানে অব্যাহত আছে।

২০২২ সালে শেনচেন তথ্যপ্রযুক্তি কলেজ চিপস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। চীনের রাষ্ট্রীয় ডিজিটাল শিল্প সফ্টওয়ারবিষয়ক দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম চালু হয়েছে এখানে। এর ফলে চীনের প্রথম রাষ্ট্রীয় শিল্প সফ্টওয়ার বুদ্ধিমত্তার নির্মাণচেইন ও প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চীনের হুয়াওয়েই কোম্পানিসহ ২০টিরও বেশি রাষ্ট্রীয় শিল্প সফটওয়ার কোম্পানি ৩০টি শিল্প সফটওয়ারবিষয়ক কারিগরি স্কুলের সাথে যৌথভাবে প্রশিক্ষণ ক্লাসের কাঠামো নির্ধারণ, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, প্রকল্পের নমুনা নির্দিষ্টকরণ, ইত্যাদি কাজ করছে। এভাবে চিপস সফটওয়ার শিল্প সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রীয়করণ করা সম্ভব হয়েছে।

চলতি বছরের ২০ জুন চীনের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা বিনিময় সেমিনারে, চীনের রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটি মোট ৫০টি কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে। এতে চীনের শেনচেন তথ্যপ্রযুক্তি কলেজও আছে।  সর্বশেষ অপরিহার্য বিজ্ঞান সূচক (ইএসআই) অনুসারে, চীনের শেনচেন তথ্যপ্রযুক্তি কলেজের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ প্রথমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ও শ্রেষ্ঠ রাঙ্কিংয়ের তালিকায় প্রবেশ করেছে। প্রকৌশল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে চীনের মূল ভূভাগের একমাত্র কারিগরি স্কুল এটি যেটি উক্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শেনচেন তথ্যপ্রযুক্তি কলেজ চীনের রাষ্ট্রীয় হাইটেক প্রযুক্তি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, নির্দিষ্ট, বিশেষ ও ক্ষুদ্র জায়ান্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠান, শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সাথে উচ্চমানের কার্যকর সহযোগিতা চালু করেছে। কলেজটি টেনসেন্ট, হুয়াওয়েই,  চায়না ইলেকট্রনিক্সসহ বিভিন্ন শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে উচ্চ পর্যায়ের অ্যাপলিকেশন প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কলেজে হুয়াওয়েই আইসিটি একাডেমির আন্তর্জাতিক ব্যক্তিদের বিনিময়কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে।

গত কয়েক বছরে কলেজের সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রকল্পের গবেষণাবাজেট অনেক বেড়েছে। উচ্চ পর্যায়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রকল্প গ্রহণের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। কলেজের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সৃজনশীলতার কথাও দেশী-বিদেশী সুপরিচিত ম্যাগাজিনসমূহে প্রকাশিত হয়েছে ও হচ্ছে।

শেনচেন তথ্যপ্রযুক্তি কলেজ বিভিন্ন সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছে ও করছে, যেমন: ‘নব্যতাপ্রবর্তন বন্দর’ এবং ‘ইলেকট্রনিক তথ্যশিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণাগার’। কলেজটি চীনের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে গবেষণা প্ল্যাটফর্ম উন্নত করেছে এবং উচ্চ মানের কর্মদল গড়ে তুলেছে ও পরীক্ষাগার নির্মাণ করেছে। বিভিন্ন সহযোগিতায় ১৮টি উচ্চমানের সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অ্যাপ্লিকেশন প্রযুক্তি সহযোগিতামূলক উদ্ভাবনকেন্দ্র এবং কুয়াংতং প্রদেশের প্রকৌশল প্রযুক্তি গবেষণাকেন্দ্র, ইত্যাদি।

শেনচেন তথ্যপ্রযুক্তি কলেজের বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের উদ্ভাবনী চিন্তাধারা ও প্রযুক্তিগত সৃজনশীলতার চর্চা করার সুযোগ পাচ্ছে। কলেজের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে গবেষণার সাফল্য শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করছে, যা ছাত্রছাত্রীদের জন্য বেশ উত্সাহব্যাঞ্জক ব্যাপার।

শেনচেন তথ্যপ্রযুক্তি কলেজের কম্পিউটার একাডেমির শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীরা স্নাতক হওয়ার আগে বিভিন্ন কোম্পানি বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছে। তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি এবং বেতনও বেশ ভালো। ডিজিটাল মিডিয়া একাডেমির স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে ব্রিটিশ বার্মিংহাম সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করতে গেছেন; বুদ্ধিমত্তা প্রক্রিয়াকরণ ও সরঞ্জাম একাডেমির  স্নাতক শিক্ষার্থীরা চীনের জাতীয় দক্ষতা প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করেছেন। গত ৩ বছরে পরিবহন ও পরিবেশ একাডেমির ১১ জন শিক্ষার্থী মাস্টার্স ডিগ্রি পেয়েছেন এবং আর্থ একাডেমির ৪ জন স্নাতক শিক্ষার্থী মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেছেন।

চায়না মার্চেন্টস ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মীদের মধ্যে এ কলেজের স্নাতক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ জনেরও বেশি। মোদ্দাকথা, শেনচেন তথ্যপ্রযুক্তি কলেজের সম্পূর্ণ চেইন দক্ষ যথাযথ প্রশিক্ষণব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করার পাশাপাশি তাদের উজ্জ্বল পেশাদার জীবনেরও নিশ্চয়তা দিচ্ছে। এখান থেকে পাস করে শিক্ষার্থীরা হুয়াওয়েই ও টেনসেন্টের মতো বড় বড় কোম্পানি সম্পর্কে জানতে পারছে ও সেখানে কাজ করার সুযোগও পাচ্ছে।

জুন মাসের শেষ দিকে চীনের কাওখাও পরীক্ষা শেষ হয়েছে এবং পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। উচ্চবিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের নতুন শিক্ষাজীবন শুরু হতে যাচ্ছে। ৩ বছর আগে কুয়াংতং প্রদেশের শানওয়ে শহরের ছাত্র ছেন জ্য হং শেনচেন তথ্যপ্রযুক্তি কলেজের মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স একাডেমির ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট প্রযুক্তির প্রয়োগ মেজরে ভর্তি হন। সেই থেকে তিনি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে অনেক জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং ২০২২ সালে কুয়াংতং প্রদেশের কারিগরি স্কুলের এআই হার্ডওয়ার প্রয়োগ ও গবেষণা প্রতিযোগিতায় প্রথম শ্রেণীর পুরস্কার লাভ করেছেন। বর্তমানে তিনি হুয়াওয়েই কোম্পানিতে কাজ করছেন। তিনি একজন সফল প্রকৌশলী হয়েছেন।

তাঁর পড়াশোনা সম্পর্কে ছেন বলেন, “কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছি। হুয়াওয়েই কোম্পানিতে কাজের সুযোগ পাওয়ার সাথে আমার পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা এবং চমত্কার অনুশীলন ও প্রকৌশলী চেতনার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে আমার কলেজের কারণে। এক্ষেত্রে আমার কলেজের বিরাট অবদান রয়েছে।”

বস্তুত, শেনচেন তথ্যপ্রযুক্তি কলেজ চীনের উন্নয়নের কৌশল বিবেচনা করে, যে ১১টি উচ্চমানের প্রযুক্তি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছে, সেগুলো প্রযুক্তি খাতের শীর্ষস্থানে দাঁড়িয়েছে। যেমন, সফটওয়ার একাডেমি এবং টেনসেন্ট কোম্পানির সহযোগিতায় চীনের একমাত্র ‘টেনসেন্ট উচ্চ পর্যায়ের প্রকৌশলী একাডেমি’ স্থাপন করা হয়েছে। অ্যামাজন কোম্পানির সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একাডেমিতেও এ শিল্পের সর্বশেষ প্রযুক্তির চাহিদা অনুসরণ করে, উপযোগী সফটওয়ার প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

তা ছাড়া, কম্পিউটার বিজ্ঞান একাডেমি ইন্টারনেট নিরাপত্তার ওপর নজর রাখে। তাই ইন্টারনেট নিরাপত্তা সংরক্ষণ আর নিরাপত্তা পরিষেবার প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেয় এই একাডেমি। ২০২২ সালে বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমস চলাকালে কলেজের ৭ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট নেটওয়ার্ক নিরাপত্তার কাজে অংশ নেন। চীন-জার্মান রোবট একাডেমিতে জার্মানির উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে উপযুক্ত ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। চীনের একমাত্র শিল্পরোবট উন্মুক্ত গণপ্রশিক্ষণ ঘাঁটিও নির্মিত হয়েছে শেনচেন তথ্যপ্রযুক্তি কলেজে।

গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষকদল একাডেমির শ্রেষ্ঠ শিক্ষার ভিত্তি। শেনচেন তথ্যপ্রযুক্তি কলেজ দক্ষ ব্যক্তিদের বাছাইব্যবস্থা উন্নত করেছে এবং শ্রেষ্ঠ ও সেরা দক্ষ শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়ে আসছে। এখানকার শিক্ষকদের যোগ্যতা আন্তর্জাতিক মানে এসে দাঁড়িয়েছে। কলেজের ৯৯১ জন শিক্ষকের মধ্যে ৩৫৯ জন সিনিয়র শিক্ষকের যোগ্যতা লাভ করেছেন এবং শিক্ষকদের মধ্যে ডক্টরেট ডিগ্রিধারীর সংখ্যা ৪৩২ জন। চীনের কোনো কারিগরি স্কুলে এতো ডক্টরেট ডিগ্রিধারী নেই।

মোদ্দাকথা, দেশের চাহিদা মেটাতে এবং কলেজের শিক্ষার মান উন্নত করতে এখানে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কলেজের নিরলস প্রচেষ্টায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি চীন নিজেই অর্জন করেছে এবং ধারাবাহিক সংস্কারের মধ্যমে কলেজের শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের দক্ষতাও অনেক বেড়েছে।

চমত্কার সফটওয়ার ও হার্ডওয়ারের সহায়তায় কলেজের শিক্ষার্থীরাও অনেক সাফল্য অর্জন করেছে ও করছে। গুণগত মানের দিক দিয়ে এই কলেজ অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু কলেজটি এখানেই থেমে নেই; এটি বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের কারিগরি কলেজে হতে চায়।

 (সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)