‘বৃষ্টিতে’
2023-07-17 14:31:27

সুপ্রিয় শ্রোতা, আপনারা শুনছেন বেইজিং থেকে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। এখন শুনবেন ‘তোমার জন্য গান’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি মুক্তা। সবাই ভালো আছেন তো? আশা করছি আপনারা সুস্থ আছেন এবং আনন্দে দিন কাটাচ্ছেন।

(গান ১)

বন্ধুরা, আপনারা শুনছিলেন চীনের বিখ্যাত রক শিল্পী ওয়াং ফেংয়ের কন্ঠে ‘বৃষ্টিতে’ শীর্ষক গান। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে তাঁর পরিচয় দেবো এবং তার কয়েকটি বিখ্যাত গান শোনাবো। ওয়াং ফেং চীনের অন্যতম অভিনেত্রী চাং জি ইকে বিয়ে করেন। এবার একটু পেছনে ফিরে তাকাই। ১৯৭১ সালের ২৯ জুন ওয়াং ফেং বেইজিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তার বেহালার প্রতি ঝোঁক ছিল। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে ‘স্বপ্নের মতো স্বাধীন’ শীর্ষক গান শোনাবো। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

(গান ২)

বন্ধুরা, আপনারা শুনছিলেন ওয়াং ফেং’র কন্ঠে ‘স্বপ্নের মতো স্বাধীন’ শীর্ষক গান। স্নাতক হওয়ার পর তিনি চীনের জাতীয় ব্যালে গ্রুপের উপ শীর্ষ বেহালাবাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে অবশ্য তিনি বেহালাবাদকের কাজ ছেড়ে দেন এবং ক্রমে একজন পেশাদার কণ্ঠশিল্পীতে পরিণত হন। তিনি নিজে অনেক সুন্দর সুন্দর গান রচনা করেছেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে ‘আতশবাজি’ শীর্ষক গান শোনবো। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।

(গান ৩)

বন্ধুরা, আপনারা শুনছিলেন ওয়াং ফেং’র কন্ঠে ‘আতশবাজি’ শীর্ষক গান। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে 'বসন্তকাল' শীর্ষক গান। গানের কথাগুলো বাংলায় অনুবাদ করলে মোটামুটি এমন দাঁড়াবে: অনেক বছর আগের বসন্তকালের কথা মনে পড়ছে/ তখন আমার ক্রেডিটকার্ড ছিল না, ছিল না গরম পানিসমৃদ্ধ নিজের বাসা/ তখন আমার সঙ্গী ছিল কেবলই একটি পুরাতন গিটার, কিন্তু তখন জীবন ছিল আনন্দময়/ রাস্তায়, সেতুর নিচে কিংবা কৃষিক্ষেতে দাঁড়িয়ে নিজের পছন্দের গান গাইতাম/ যদি কোনোদিন বুড়ো হয়ে যাই, নির্ভর করার মতো কেউ না থাকে আমার; তখন আমাকে ওই বসন্তকালের কথা স্মরণ করিয়ে দিও/ আর যখন আমি মারা যাবো, আমাকে সমাহিত করো এই বসন্তকালেই...চলুন, আমরা গানটি শুনবো।

(গান ৪)

বন্ধুরা, আপনারা শুনছিলেন ওয়াং ফেং’র কন্ঠে ‘বসন্তকাল’ শীর্ষক গান। এ গানটি চীনে অতি জনপ্রিয় ও বিখ্যাত। যদিও গানের কথা ও সুর করুণধর্মী, কিন্তু শহরে বসবাসকারী অনেকেরই মনের কথা বর্ণনা করা হয়েছে এতে।

প্রিয় শ্রোতা, এখন যে গানটি আমরা শুনবো, সেটির শিরোনাম ‘বেইজিং, বেইজিং’। বেইজিংয়ে জন্মগ্রহণ করায়, এ শহরটির প্রতি ওয়াং ফেংর একটা বিশেষ টান বরাবরই ছিল। তিনি তার প্রিয় শহরকে নিয়ে গান করেছেন। গানের কথাগুলো এমন: যখন আমি এ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটি, আমার মন কখনোই স্থির হতে পারে না/ ইঞ্জিনের শব্দ ও আওয়াজ ছাড়াও আমি হয়তো এ শহরের হৃত্স্পন্দন শুনতে পাই/ আমি এখানে হাসি, এখানে কাঁদি; এখানেই বাঁচি, এখানেই মরি/ আমি এখানে প্রার্থনা করি; এখানেই খুঁজি, এখানেই হারাই/ বেইজিং, বেইজিং, যেদিন আমি মারা যাবো, আশা করি তোমার বুকেই আমার শেষ ঠিকানা হবে/ তোমার বুকে আমি নিজেকে অনুভব করতে পারি, তোমার বুকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অনেক জিনিস আমি দারুণ ভালোবাসি...চলুন, আমরা গানটি শুনবো।

(গান ৫)

বন্ধুরা, আপনারা শুনছিলেন ওয়াং ফেং’র কন্ঠে ‘বেইজিং, বেইজিং’ শীর্ষক গান। আচ্ছা, বন্ধুরা, ওয়াং ফেংয়ের গানগুলো কেমন লাগছে? তাঁর কন্ঠের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই না? তো, পরের গানের নাম 'বেঁচে থাকা'। এটি আমার প্রিয় গানগুলোর অন্যতম। গানের কথা বাংলায় অনুবাদ করলে মোটামুটি এমন হয়: কতো লোক চলাফেরা করে, অথচ তাঁরা অবরুদ্ধ/ কতো লোক বেঁচে আছে মৃতের মতো/ কতো লোক ভালোবাসে, অথচ তাঁরা বিচ্ছিন্ন/ কতো লোক হাসিমুখে চোখের অশ্রু লুকায়/ কে জানে আমরা শেষ পর্যন্ত কোথায় যাবো? কে বুঝতে পারে জীবন কী?/ কোনো অজুহাতে বেঁচে থাকবো, নাকি উড়ে যাবো দুই ডানা মেলে?/ আমি কিভাবে বেঁচে থাকবো?....চলুন, আমরা গানটি শুনবো।

(গান ৬)

প্রিয় শ্রোতা, এতোক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আমাদের অনুষ্ঠানে আপনারা কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn। আর আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা caiyue@cri.com.cn। 'গানের অনুরোধ' আমার নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই দিন, একই সময়ে আবারো আপনাদের সঙ্গে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। চাই চিয়েন। (ছাই/আলিম)