হংকংয়ের ভিক্টোরিয়া পার্কে ভবিষ্যতের শহর অনুভব করুন
2023-07-13 10:31:06

ইস্পাত বর্ম পরে স্বাচ্ছন্দ্যে ভারী বোঝা উত্তোলন করুন, নিচে হেলুন এবং স্মার্ট মেকানিক্যাল কুকুরকে হ্যালো বলুন। হংকংয়ের ভিক্টোরিয়া পার্কে শহরবাসীরা ‘The Wandering Earth II দ্য ওয়ান্ডারিং আর্থ টু’ নামের মুভিতে দেখানো সেই দৃশ্যগুলো নিজের মতো করে বাস্তবে উপভোগ করতে পারেন।

ইস্পাত বর্মের সরঞ্জামটি আসলেই একটি রোবট। যে কোনো একজন সাধারণ মানুষ এই সরঞ্জাম পরার পর এর সাহায্যে ৩০ কেজি’র ভারী জিনিস সহজেই উত্তোলন করতে পারে। সেই স্মার্ট মেকানিক্যাল কুকুরের আরেকটি নাম হলো চতুর্মুখী পরিদর্শন রোবট। মানুষকে বিনোদন দেওয়া ছাড়াও, পরিবহন ও উদ্ধারসহ নানা কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এটি।

পরিবহন, ডেলিভারি, সুইপিং, সঙ্গী হিসেবে পাশে থাকা... রোবটের ব্যবহার এখন আমাদের জীবনের সব ক্ষেত্রে দেখা যায়। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীভিত্তিক উপন্যাসের দৃশ্য বাস্তবে চলে এসেছে এবং ভবিষ্যৎ খুব বেশি দূরে নয়!

চীনের মুলভূভাগের কোলে হংকংয়ের প্রত্যাবর্তনের ২৬তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য হংকংয়ের উদযাপন কমিটি ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া পার্কে নানা উদযাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৃজনশীলতা হলো এবারের অনুষ্ঠানের একটি থিম।

ভিক্টোরিয়া পার্কে শহরবাসীরা নানা রোবটের পরিবেশনায় আকৃষ্ট হন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং খালি-চোখে থ্রি-ডিসহ নানা প্রযুক্তি ভবিষ্যতের শহর সম্পর্কে তাদের কল্পনাকে সমৃদ্ধ করেছে।

 

প্রযুক্তি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একীভূত হচ্ছে। চায়না মোবাইল হংকং কোম্পানি লিমিটেডের বুথে শরীরের তাপমাত্রা, রক্তচাপ, রক্তের অক্সিজেন এবং অন্যান্য শারীরিক সূচক সনাক্ত করতে সক্ষম একটি স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ কিয়স্ক স্থাপন করা হয়। যার সামনে লাইন দিয়ে লোকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

চায়না মোবাইল হংকং কোম্পানি লিমিটেডের মহাপরিচালক লি ফোং বলেন, ‘হংকংয়ের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মধ্যে যাদের হাসপাতালে যেতে সমস্যা আছে, তাদের জন্য কমিউনিটিতে শারীরিক পরীক্ষার কিয়স্ক স্থাপন করা হয়। ফলে সময়মতো শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। ভবিষ্যতে প্রযুক্তির উন্নয়নে আরো বেশি গুরুত্বারোপ করা হবে এবং আন্তর্জাতিক সৃজনশীল বিজ্ঞানের কেন্দ্র হিসেবে হংকংকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সাহায্য করা হবে।

 

হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল সরকার জোরালোভাবে স্মার্ট শহর নির্মাণ এগিয়ে নিচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে কুয়াংতোং থেকে আসা উদ্ভাবনশীল প্রযুক্তিগত কোম্পানি সমাধানের ধারাবাহিক উপায় নিয়ে এসেছে। যেমন, কুয়াংতোংয়ের একটি কোম্পানির তৈরি ড্রোন সিস্টেম দক্ষতার সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া পর্বতারোহীদের অনুসন্ধান করতে পারে এবং মাইক্রোফোন এবং লাউড স্পিকারের মাধ্যমে পর্বতারোহীদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। অন্য একটি কোম্পানির উদ্যোগে গবেষণা করা মনুষ্যবিহীন নৌকাটি উপকূলীয় জল এবং পোতাশ্রয় জলের গুণমান পর্যবেক্ষণ এবং ম্যাপিং সম্পূর্ণ করতে পারে।