পয়লা জুলাই চীনের ক্ষমতাসীন দল চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) প্রতিষ্ঠার ১০২তম বার্ষিকী। চীনের শীর্ষনেতা, সিপিসি’র সাধারণ সম্পাদক, ও দেশের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক শুভেচ্ছাবার্তায় দলের সংগঠন ও পরিচালনাসম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ দিক্-নির্দেশনা দিয়েছেন।
সি চিন পিং তাঁর বার্তায় বলেছেন, বড় পার্টিকে নিজের সমস্যা সমাধান করতে হবে এবং পার্টিকে সার্বিক ও কঠোরভাবে পরিচালনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পাশাপাশি, জাতির পুনরুত্থানের ভারী দায়িত্ব পালনে সক্ষম করে পার্টিকে গড়ে তুলতে হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে: সি চিন পিংয়ের এ বার্তার তাত্পর্য কী? পার্টি পরিচালনা ও রাষ্ট্র প্রশাসনের মধ্যেইবা কী সম্পর্ক রয়েছে? আসুন, আজকের সিএমজি’র ‘চেতনার শক্তি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি।
চীনের গত এক শত বছরের ইতিহাসের সাথে সিপিসি’র ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সিপিসি বড় হওয়ায় চীনের উন্নয়ন সাধিত হয়েছে; সিপিসির সংস্কারের ফলে চীনে সংস্থার ঘটেছে; চীন শক্তিশালী হয়ে ওঠায়, সিপিসি শক্তিশালী হয়েছে। গত এক শ বছরে সিপিসি দৃঢ় নেতৃত্ব ও আত্মগঠনের মাধ্যমে জয়ী করেছে।
গত ২০১২ সালে সি চিন পিং সিপিসি’র শীর্ষনেতা হওয়ার পর, তাঁকে কেন্দ্র করে সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটি পার্টির সার্বিক নেতৃত্ব জোরদার করেছে এবং সার্বিক ও কঠোরভাবে পার্টি প্রশাসনসহ ধারাবাহিক ব্যবস্থা নিয়েছে, যা শতাধিক বছর বয়সী বড় পার্টির আত্ম-বিপ্লবের চেতনার সূচনা।
সি চিন পিং সিপিসি-তে অব্যাহত সংস্কার চালিয়েছেন, কঠোরভাবে পার্টি প্রশাসন করেছেন, এবং আত্ম-বিপ্লব করেছেন, যার লক্ষ্য হলো বিশ্বের বড় পার্টি হিসেবে অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান করা। আর এর লক্ষ্য পার্টির প্রশাসন অব্যাহত রাখা এবং প্রশাসন-বিশৃঙ্খলা-সমৃদ্ধি-মন্দা’র ঐতিহাসিক চক্র অতিক্রম করা। পাশপাশি, চীনা জনগণের সুখী জীবন, চীনা জাতির পুনরুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন, এবং বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করাও ছিল এর লক্ষ্য।
সি চিন পিং সিপিসি-কে গড়ে তোলার ওপর বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। তিনি সৃজনশীলভাবে সার্বিক ও কঠোরভাবে সিপিসি প্রশাসনের নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এর সঙ্গে সার্বিকভাবে সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ গঠন, সার্বিকভাবে সংস্কারসাধন, এবং সার্বিকভাবে আইন অনুসারে রাষ্ট্র প্রশাসন করার বিষয় সিপিসি’র দেশ প্রশাসনের কৌশলগত কাঠামোতে পরিণত হয়েছে।
সিপিসি-র সাথে চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন, চীনা জাতির আধুনিক সভ্যতা, এবং চীনা জাতির মহান পুনরুত্থানের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। তাই চীনের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সিপিসি’র নেতৃত্বের অবিচল থাকার কোনো বিকল্প নেই।
একটি ক্ষমতাসীন পার্টির আত্ম-বিপ্লব রাতারাতি সম্পন্ন হতে পারে না। সি চিন পিংয়ের সার্বিক ও কঠোরভাবে পার্টি প্রশাসনের চেতনায় রয়েছে কঠোর শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে আচরণ সুষ্ঠু করা, দ্রুত দূনীর্তি দমন করা, মন্দদের শাস্তি দেওয়া, এবং ব্যবস্থাদির বিন্যাসের মাধ্যমে সামাজিক নিশ্চয়তা প্রদান করা, ইত্যাদি। সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে সিপিসি ক্ষমতাসীন পার্টি হিসেবে আত্ম-বিপ্লবের জটিল ও টেকসই লড়াই করতে চায়, যাতে আত্ম-বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজের সংস্কার, শক্তিশালী দেশ গঠন এবং জাতির মহান পুনরুত্থানের জন্য দৃঢ় সংগঠনিক নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। (রুবি/আলিম/শিশির)