জুন ২৭: গতকাল (সোমবার) ‘জাতীয় পরিবেশ দিবস’ নির্ধারণের খসড়া প্রস্তাবটি আলোচনার জন্য ১৪তম জাতীয় গণকংগ্রেস (এনপিসি)-র স্থায়ী কমিটির তৃতীয় অধিবেশনে পেশ করা হয়। খসড়ায় ১৫ অগাষ্টকে ‘জাতীয় পরিবেশ দিবস’ হিসাবে নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।
পরিবেশগত সভ্যতা প্রতিষ্ঠা চীনা জাতির টেকসই উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত একটি মৌলিক বিষয়। পরিবেশ সুরক্ষা করা মানে উত্পাদন-ব্যবস্থা সুরক্ষা করা এবং পরিবেশের উন্নতি মানে হলো উত্পাদন-ব্যবস্থার উন্নতি। চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের উপপরিচালক চাও ছেন সিন এ সম্পর্কে বলেন,
(রে ১)
“চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর, সি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি পেশ করে পরিবেশগত সভ্যতাসমৃদ্ধ চীনা জাতির টেকসই উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত একটি মৌলিক পরিকল্পনা। সি চিন পিংয়ের পরিবেশগত সভ্যতার ধারণার আলোকে, গোটা পার্টি ও গোটা চীনে সবুজ উন্নয়নসংশ্লিষ্ট সচেতনতা ও উদ্যোগ-আয়োজন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুন্দর চীন গড়ে তোলার কাজে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতিও অর্জিত হয়েছে। চীনে পরিবেশগত সুরক্ষার কাজে ঐতিহাসিক ও সামগ্রিক পরিবর্তন ঘটেছে।”
পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত চীনের গড় বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.২ শতাংশ, অথচ এ সময় জ্বালানিসম্পদ খাতে গড় বার্ষিক ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ। অন্যভাবে বললে, এ খাতে ব্যয় হ্রাস পায় গড়ে ১৬.৪ শতাংশ পয়েন্ট। এই হ্রাস প্রায় ১.৪১ বিলিয়ন টন কয়লার ব্যবহার কমানো এবং প্রায় ৩ বিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমানোর সমতুল্য। ২০২২ সালের শেষ দিক পর্যন্ত চীনে প্রিফেকচার স্তরে ও তার উপরের শহরগুলোতে দূষণমুক্ত দিনের সংখ্যার অনুপাত বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬.৫ শতাংশে, যা ২০১৩ সালের চেয়ে ২০.৮ শতাংশ বেশি। এ সম্পর্কে চাও ছেন সিন বলেন,
(রে ২)
“নতুন যুগে চীনে পরিবেশগত সভ্যতা প্রতিষ্ঠার কাজে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে; বিপ্লব সাধিত হয়েছে। এতে জনগণের কল্যাণ ও সুখ লাভের অনুভূতি বেড়েছে। মানুষ ও প্রকৃতির সহাবস্থানের ধারণা পার্টি ও সমাজের সদস্যদের সাধারণ ধারণায় পরিণত হয়েছে। ‘সবুজ পানি ও পাহাড় হলো স্বর্ণ ও রূপার পাহাড়’—এই ধারণা এখন চীনা জনগণের নিজেদের ধারণা। সবুজ ও নিম্নকার্বন উন্নয়ন এখন চীনের সকল অঞ্চল ও বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টার প্রতীক। এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় পরিবেশ দিবস নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ।”
চাও ছেন সিন আরও বলেন, চীন ভবিষ্যতে পরিবেশগত সভ্যতার উন্নয়নসংক্রান্ত বিভিন্ন শিক্ষা-কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তিনি বলেন,
(রে ৩)
“২০০৫ সালের ১৫ অগাষ্ট প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চেচিয়াং পরিদর্শনের সময় প্রথমবারের মতো ‘সবুজ পানি ও পাহাড় হলো স্বর্ণ ও রূপার পাহাড়’—এই ধারণা পেশ করেন। সেজন্য আমরা এ দিনটিকে জাতীয় পরিবেশ দিবস হিসেবে নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছি।“
চাও ছেন সিন আরও বলেন, জাতীয় পরিবেশ দিবস নির্ধারণের মূল উদ্দেশ্য হলো, গোটা সমাজে পরিবেশগত সভ্যতার চেতনা উন্নত করা এবং পরিবেশ সুরক্ষায় জনগণের চিন্তা ও কাজে গতি সঞ্চার করা। (ছাই/আলিম)