উন্নয়নের পথে কোনো দেশ বা ব্যক্তি পিছিয়ে থাকবে না
2023-06-22 17:50:53

জুন ২২: চীনের জুনছাও প্রযুক্তি বিশ্বের ১০৬টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা ‘এজেন্ডা ২০৩০’ বাস্তবায়নের পথে একটি অগ্রগতি। সম্প্রতি চীন ‘বিশ্ব উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন’ প্রকাশ করে। জুনছাও দারিদ্র্যবিমোচন পরিকল্পনা এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

উন্নয়ন হলো যেকোনো সমস্যা সমাধানের মূল উপায়। বর্তমান বিশ্বে অশান্তি, ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, ও মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্কে ‘বিশ্ব উন্নয়ন’ প্রস্তাব পেশ করেন। প্রস্তাবে আটটি গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার ক্ষেত্র নির্দেশ করা হয়। শতাধিক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সি চিন পিংয়ের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে। ২০২২ সালের ২৪ জুন সি চিন পিং বৈশ্বিক উন্নয়ন উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে ‘বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ’ বাস্তবায়নের জন্য চীনের পক্ষ থেকে ৩২-দফা সহযোগিতার প্রস্তাব পেশ করেন।

প্রস্তাবের প্রাথমিক ফলাফল ইতোমধ্যেই অর্জিত হয়েছে। দারিদ্র্যবিমোচনে বেসরকারি খাতে সহযোগিতার ওয়েবসাইট, বিশ্ব উন্নয়ন প্রস্তাবের ডিজিটাল সহযোগিতা ফোরাম আয়োজন, মোট ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চীন-জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তৃতীয় দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা তহবিল চালু, চীন-আফ্রিকা হাসপাতাল সহযোগিতা ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি বৈশ্বিক উন্নয়নে আগ্রহীদের মনে আশার সঞ্চার করেছে।

চীনের প্রস্তাবিত ৮-দফা মূল সহযোগিতা-প্রস্তাবের মধ্যে দারিদ্র্যবিমোচন প্রথম স্থানে রয়েছে। চলতি বছর দারিদ্র্যবিমোচন সহযোগিতার ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্যবিমোচন জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, এবং গণজীবিকাসংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে চীন। চীন আন্তরিতভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দারিদ্র্যবিমোচনে সহায়তা করে আসছে।

বর্তমানে মানবজাতি ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে আগ্রহী।  এক বছর আগে উচ্চ পর্যায়ের সংলাপের ফলাফলের মধ্যে একটি ছিল ‘বুদ্ধিমান শুল্ক, বুদ্ধিমান সীমান্ত, ও বুদ্ধিমান যোগাযোগ’ ধারণা। এ পর্যন্ত এ ধারণার আওতায় ৩১টিরও বেশি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা-চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং ১৩০টিরও বেশি সহযোগিতা-পরিকল্পনা গড়ে তোলা হয়েছে।

বিশ্ব উন্নয়ন পরিকল্পনা উত্থাপিত হওয়ার পর চীন, জাতিসংঘের ‘এজেন্ডা ২০৩০’ বাস্তবায়নের স্বার্থে, বিশ্বের প্রথম বৈজ্ঞানিক উপগ্রহও উত্ক্ষেপণ করেছে এবং জাতিসংঘকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছে।

উন্নয়ন সবার অধিকার। চীনে জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি কাং পো সি বলেন, চলতি বছর জাতিসংঘের ‘এজেন্ডা ২০৩০’ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। লক্ষ্যমাত্রার উল্লেখযোগ্য অংশ এখনও অর্জিত হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে, বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন উদ্যোগ আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।

সাধারণ উন্নয়নের পথে কোনো দেশ বা ব্যক্তি পিছিয়ে থাকুক—এটা চীন চায় না। আর তাই চীন গোটা বিশ্বকে সাথে নিয়ে উন্নয়নের পথে সামনে এগিয়ে যেতে আগ্রহী। (ছাই/আলিম)