আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি আকাশ ও ....।
ভাই, আমরা আগের অনুষ্ঠানে হটপট (হটপট) খাবারের কথা বলেছিলাম। আসলে চীনে কয়েক রকমের হটপট আছে। আপনি কি বলতে পারবেন কি?
তৌহিদ... বিভিন্ন স্থানে হটপট খাওয়ার অভিজ্ঞতা।
সাধারণত চীনের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল হটপট অনেক ভিন্ন। যেমন বেইজিংয়ে এখানের হটপটে পাতলা করে কাটা খাসির মাংস সিদ্ধ করে তিলের পেস্টের সঙ্গে খাওয়া হয়। তবে দক্ষিণ চীন যেমন সিছুয়ান প্রদেশের লোকজন হটপটে খাসির মাংস খান না। তারা পাতলা করে কাটা গরুর মাংস খান। এবং তারা তিলের পেস্টও খাননি, তারা সিদ্ধ করা গরুর মাংস তিলের তেল দিয়ে খান। এ ছাড়া, তাদের হটপট সত্যি অনেক ঝাল। কারণ তাতে অনেক অনেক মরিচ দেওয়া হয়। তবে, এখন সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের হটপট খুব সহজে পাওয়া যায়। যেমন বেইজিংয়ে সি ছুয়ান প্রদেশের আসল হটপট খেতে পাওয়া যায়। তৌহিদ ভাই, আপনি হটপট পছন্দ করেন? কেমন হটপট আপনি খেয়েছেন? স্বাদ কেমন? আমাদের কিছু বলতে পারবেন কি?
তৌহিদ:...
ভাই, আমি মনে করি আমাদের বাংলাদেশি ভাইবোনেরা হটপট পছন্দ করবেন। কারণ এর ঝাল স্বাদ বাংলাদেশের কিছু খাবারের সঙ্গে কিছুটা মিলে যায়, তাইনা?
তৌহিদ:..
বন্ধুরা, আমিও মনে করি বাংলাদেশেও আপনি নিজের ঘরে হটপট তৈরি করতে পারবেন। কারণ বাংলাদেশের বাজারগুলোতে গরু ও খাসির মাংস, তিলের তেল সবই পাওয়া যায়। আপনারা ইন্টারনেট থেকে কিছু প্রশিক্ষণের ভিডিও দেখে বাসায় হটপট রান্না করতে পারবেন এবং এর স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।
সংগীত
বন্ধুরা, ১৮ জুন হচ্ছে বাবা দিবস। এ বিশেষ দিবসটিতে আমরা আমাদের সবার বাবার সুস্বাস্থ্য ও সুখী জীবন কামনা করি।
তৌহিদ:...
বন্ধুরা, আমি বাবা সম্পর্কিত আমার ছোটবেলার একটি স্মৃতি শেয়ার করব, কেমন? আমি প্রাথমিক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময়, আমার বাবা আমাকে নিয়ে আমার জীবনের প্রথমবার আমার জন্মস্থান হানতানের বাইরে ভ্রমণ করেছিলেন। তখন আমি প্রথম বেইজিং এসেছিলাম। ছিন হুয়াং তাও শহর, মানে জীবনে প্রথমবার সাগর দেখেছিলাম, তারপর ছেংত্য শহরেও গিয়েছি। এখনও আমার মনে আছে, ছেংত্যতে ,একটি নদীর পাসে, আমার বাবা আমাকে বলেছিলেন, ‘বাবা, আসলে আমাদের জীবন নদীর মত বয়ে যায়। এতেও অনেক সমস্যা ও বাধা তোমার সামনে আসবে। তুমি নিজেকে উন্নত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে এবং পরিশ্রম করবে, আর সময় নষ্ট করবে না।’ তৌহিদ ভাই, সময় বয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এখন আমি বাবার কথাগুলো আরো ভালভাবে বুঝতে পারি এবং এ মুহূর্তে সবসময় আমার মনে পড়ে। আপনার কাছে আমার এ ছোট স্মৃতি কেমন মনে হয়?
তৌহিদ:...
বন্ধুরা, এ বিশেষ সময়, আমরা আবারও আমাদের সবার বাবার সুস্থতা, আনন্দ ও সুখী জীবন কামনা করছি।
তৌহিদ:...
বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে, আমাদের সবার বাবার জন্য একটি গান উপহার দেব। কেমন? গানটির নাম হল ‘বাবা’। আমি এ গানটি প্রথমবার বাংলাদেশে চীনা দুতাবাসের আয়োজন করা বসন্ত উৎসবের একটি অনুষ্ঠানে শুনেছিলাম। তখন চোখ দিয়ে পানি পড়েছিল। এখন এই গান আমাদের সবার বাবার জন্য দেব, কেমন?
বাবা
সবসময় তোমার কাছ থেকে শক্তি নেই, তবে কখনোই ‘ধন্যবাদ’ বলি নি।
বড় হবার পর, এখন তোমার কষ্ট বুঝতে পেরেছি।
প্রতিবার বিদায় নেওয়ার সময়, ভালো থাকার অভিনয় করি,
হাসি মুখে বলি, ‘তুমি ফিরে যাও’।
তবে, মুখ ঘুরানোর পর, চোখ থেকে পানি পড়ে।
আগের মতই তোমার উষ্ণ হাত ধরতে চাই,
তবে তুমি আমার পাশে নাই।
বাতাস আমার শুভকামনা বাবার কাছে পৌঁছে দাও।
সময়, ধীরে বয়ে যাও।
বাবাকে আরও বৃদ্ধ হতে দিও না।
আমি আমার সব কিছু ছেড়ে দিতে চাই
যদি তুমি সব সময় চিরতরুণ থাকো।
সারা জীবন প্রচেষ্টা চালানোর বাবা, আমি তোমার জন্য কি করতে পারি?
আমার ছোট আন্তরিকতা গ্রহণ করো
তোমার সব কিছুর জন্যই ধন্যবাদ জানাই।
তুমি তোমার দুটি হাতে দিয়ে আমাদের পরিবার সমর্থন করো,
তুমি সবসময় আমাকে সবচেয়ে ভাল দিয়েছো।
আমি কি তোমার গর্ব?
এখনও আমার জন্য চিন্তা করো?
তোমার শিশু এখন বড় হয়েছে।
সারা জীবনপথে তুমি আছো, ধন্যবাদ!
(আকাশ/তৌহিদ)