জুন ১৮: গত কয়েক দিন ধরেই বেইজিংয়ে খুব ‘গরম’ পড়েছে। তবে, এ ‘গরম’ বলতে শুধু তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট গরম আবহাওয়াকেই বোঝায় না, বরং বিশ্বসেরা ফুটবলার মেসির চীন আগমনের কারণে এদেশের ক্রীড়াঙ্গনে সৃষ্ট ‘গরম’ পরিবেশকেও বোঝায়। গত কয়েকদিন ধরেই মেসির সফরকে কেন্দ্র করে বেইজিং উত্তপ্ত। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমেও মেসির চীন সফর নিয়ে বিস্তর রিপোর্ট হয়েছে। বেইজিংয়ে ‘মেসি তাপ’-এর কথা সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমেও ভেসে বেড়িয়েছে।
আর্জেন্টিনার পুরুষ ফুটবল দলটি পাঁচ দিনের সফরের অংশ হিসেবে গত ১৫ জুন সন্ধ্যায় বেইজিংয়ের ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নেয়। সেটি ছিল চীনের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুহূর্ত। স্টেডিয়ামে অনেক চীনা ভক্ত মেসির ১০ নম্বর জার্সি পরে আসেন এবং ‘মেসি’ ‘মেসি’ বলে চিত্কার করেন। তাঁদের অনেকে আর্জেন্টিনার নীল ও সাদা রঙের জার্সিও গায়ে দেন।
এদিকে, মাঠে খেলতে নামা আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড়দের জার্সিতে তাদের নাম চীনা ভাষায় লেখা ছিল। এটা চীনা ভক্তদের মন কেড়েছে। মেসি ও আর্জেন্টিনার প্রতি একচেটিয়া সমর্থনের ফলে অনেক বিদেশি গণমাধ্যম এই মর্মে মন্তব্য করে যে, আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা যেন নিজেদের মাঠেই খেলছিলেন।
খেলায় শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে জয়লাভ করে। মেসি তাঁর ক্যারিয়ারের দ্রুততম গোলটি করেন এই খেলায়। মেসিদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স চীনা ভক্তদের মন জয় করে নেয়। মেসি বলেন, ‘চীনে ভক্তদের ভালোবাসা, উত্সাহ-উদ্দীপনা ও আন্তরিকতা আমি উপলব্ধি করেছি।’
শুধু তরুণ চীনারাই নয়, অনেক বয়স্ক চীনা মানুষও মেসির ভক্ত। খেলার পর অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বেশ উত্সাহী ও উত্তেজিত ছিলেন।
চীনা মেসিভক্তরা বিশ্বকে দেখিয়েছেন যে, তাঁরা ফুটবল ভালোবাসেন। বিদেশি একটা দল ও সে দলের তারকা খেলোয়াড়ের জন্য তাদের ভালোবাসা আবারও প্রমাণ করেছে যে, চীনারা বন্ধুত্বপূর্ণ ও আধুনিক মনমানসিকতার অধিকারী। তাঁরা যেন সমসাময়িক চীনের প্রতীক। (ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)