থাং পো হু
2023-06-15 10:00:06


আজকের অনুষ্ঠানে একজন বিশেষ গায়িকার সঙ্গে আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবো, তার নাম থাং পো হু। বিদেশি হলেও তিনি ১০ বছর বয়স থেকে চীনে বাস করছেন, আর তার গাওয়া গান প্রধানত চীনা বৈশিষ্ট্যময় গান, বেইজিং অপেরাও তিনি গেয়েছেন। বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা একসঙ্গে তার কিছু সুন্দর গান শুনবো। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুনুন থাং পো হু’র একটি সুন্দর গান ‘ছিং সি’।গান ১

 

থাং পো হু ১৯৯০ সালে ডেনমার্কে জন্মগ্রহণ করেন, তার ইংরেজি নাম Annie Lowdermilk। তার বাবা মা বিশ্বজুড়ে স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। তাই খুব ছোট থেকে থাং পো হু বাবা মায়ের সঙ্গে অনেক দেশে গিয়েছেন। ১০ বছর বয়সে তিনি বাবা মা’র সঙ্গে চীনে আসেন এবং এখানে বসবাস করেছেন। চীনে আসার পর তিনি আবিষ্কার করেন বাস্তব চীন বিদেশির মুখে শোনা চীনের চেয়ে একদম ভিন্ন। খুব দ্রুত তিনি চীন পছন্দ করেন এবং নিজেকে একটি চীনা নাম দেন। থাং পো হু চীনের বিখ্যাত প্রাচীন কবি, চিত্রশিল্পী ও ক্যালিগ্রাফার। চীনা সংস্কৃতি খুব পছন্দ করে এবং থাং পো হু’র মত প্রতিভাবান মানুষ হতে চাওয়ার কারণে তিনি এই নাম দেন। পরে তিনি থোং পো হু’র গল্প অনুসারে ‘পো হু শুও’ নামে একটি গান রচনা করেন। বন্ধুরা, এখন শুনুন থাং পো হু’র জনপ্রিয় গান ‘পো হু শুও’।গান ২

 চীনের অনেক শহরে বাস করলেও বেইজিংয়ে সবচেয়ে বেশি সময় থেকেছেন থাং পো হু। বেইজিংয়ে থাকার সময়ে থাং পো হু চীনা গান গাওয়া শুরু করেন। ১৪ বছর বয়সে তিনি নিজে গিটার বাজানো শিখেন। পেশাদার সংগীত প্রশিক্ষণ না নিলেও থাং পো হু’র গান অনেক মানুষের পছন্দ ও প্রশংসা পায়। ১৯ বছর বয়সে থাং পো হু একটি চীনা সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। পুরস্কার না পেলেও তিনি গান গেয়ে আনন্দ পান এবং গায়িকা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। চীনে ১২ বছর বসবাস করার পর থাং পো হু’র বাবা মা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে চান। তবে তিনি চীনে থাকতে চান। তাই তখন থেকে তিনি একাই চীনে বাস করেন, তার গায়িকার স্বপ্ন পূরণের জন্য চেষ্টা করেন।গান ৩

 

২০১৩ সালে থাং পো হু চীনের কেন্দ্রীয় টিভি স্টেশনের আয়োজিত একটি জনপ্রিয় সংগীত অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং চতুর্থ পুরস্কার পান। চীনা গান গাওয়া বিদেশি গায়িকা হিসেবে অনুষ্ঠানে তার চমত্কার পারফর্ম্যান্স অনেকের মন জয় করেছে। তাকে আরো বেশি মানুষ চিনতে পেরেছে। বন্ধুরা, এখন শুনুন থাও পো হু’র গাওয়া একটি সুন্দর গান ‘হোং তেং সি’।গান ৪


যখন থাং পো হু বেইজিংয়ে ছিলেন, তখন তিনি বেইজিং অপেরা শুনেছেন এবং এতে খুব আগ্রহী হন। একবার তিনি একটি বিশেষ বেইজিং অপেরা পারফর্ম্যান্স দেখেন, এর পারফর্মার একটি ছোট ছেলে। তার কাছে তিনি দেখেন- শক্তি ও কোমলতা সুন্দরভাবে মিশে গেছে এবং একটি বিশেষ উপায়ে তা ফুটে উঠেছে, যা পাশ্চাত্য সংগীতে কখনও দেখেননি। তারপর তিনি বেইজিং অপেরায় মেতে ওঠেন এবং তা শিখতে ও গাইতে চেষ্টা করেন। অনেক চেষ্টার পর এখন থাং পো হু চীনা শিল্পীর মত সুন্দরভাবে বেইজিং অপেরা গাইতে পারেন। তার অনেক গানে শোনা যায় বেইজিং অপেরার উপাদান। বন্ধুরা, এখন শুনুন থাং পো হু গাওয়া একটি সুন্দর বেইজিং অপেরা শৈলীর গান ‘সিন মেইহুয়া সান নোং’।

গান ৫

 

থাং পো হু চীনা সংস্কৃতি খুব পছন্দ করেন। চীনে আসার পর তিনি অনেক চীনা কাহিনী ও গল্প দেখেছেন। গান গাওয়ার পর সেসব চীনা কাহিনী ও গল্প তার রচনার অনুপ্রেরণার উত্স হয়ে ওঠে। বন্ধুরা, এখন শুনুন থাং পো হু চীনের একটি বিখ্যাত প্রাচীন গল্প ‘সি সিয়াং চি’ অর্থাত ‘Romance of the Western Chamber’ অনুসারে রচিত একটি গান ‘সি সিয়াং সিয়ুন থা’। তিনি সুন্দর সুর ও কণ্ঠের মাধ্যমে সেই রোমান্টিক প্রেমের গল্প প্রদর্শন করেছেন। বন্ধুরা, এখন এই সুন্দর গান শুনুন।গান ৬

 

বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমরা একসঙ্গে থাং পো হু ও অন্য একটি জনপ্রিয় গায়ক চু হোং ছুয়ানের সঙ্গে গাওয়া আরেকটি সুন্দর গান ‘নীহারিকা’ শুনবো। আশা করি, আপনারা তার গানগুলো পছন্দ করবেন।

ন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান তাহলে এখানেই শেষ করছি। আশা করি, আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। এখন বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আবার কথা হবে। চাই চিয়ান।