"শ, দেখো, এই মাছগুলো সবই লেপ্টোস্পাইরোসিস। চলতি বছরের মার্চে ডিম ফুটেছে এবং এরা পাথরের শ্যাওলা খাচ্ছে। এখানকার পানি অগভীর এবং এগুলো সব ছোট মাছ। বড় মাছগুলো গভীর পানিতে থাকে। এগুলোর ওজন এক থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত হয়।" কন্ঠস্বর ও পায়ের শব্দ শুনে, টেডপোলের চেয়ে কিছুটা ছোট ঘন বস্তাবন্দী ছোট মাছগুলো এক ঝলকায় অদৃশ্য হয়ে গেল। সর্বোপরি, ইয়াও মিং ছাং নিচু হয়ে নদী থেকে কালো ডোরাযুক্ত একটি বাদামী নুড়ি তুললেন। পাথরের কালো দাগ বিচার করে তিনি বুঝলেন যে, এগুলোর শ্যাওলা মাছেরা খেয়েছে।
৪৪ বছর বয়সী ইয়াও মিং ছাং হলেন ইউনান ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যুরোর জেনসিয়ং স্টেশনের গুওজু টাউনশিপের ইউডং বাস্তুশাস্ত্র পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তি। এ অঞ্চল সিয়াংসি নদীর উপরের অংশে অবস্থিত, যা বিরল মাছের জন্য একটি জাতীয় প্রাকৃতিক সংরক্ষণাগার। নদীতে টহলশেষে পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে ফিরে আসার পরে, ইয়াও মিং ছাং দক্ষতার সাথে নজরদারি ক্যামেরা চালু করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "দেখুন, এটি কুনমিং সিজোথোরাক্স, এবং এটি সিচুয়ান সিজোথোরাক্স। তিন বছর আগে যখন পর্যবেক্ষণকেন্দ্র প্রথম চালু হল, তখন এখানে মাছের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল, যা এখনকার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।"
মাছ খায় কি না, কোথায় ডিম ফুটে, কখন বাচ্চা হয়, এবং মাছ আহত হয়েছে কি না—ইয়াও মিং ছাং সব সঠিকভাবে বলতে পারেন। মাছ সুরক্ষাকাজে ১০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা তাকে "মাছ বিশেষজ্ঞ" তকমা এনে দিয়েছে। অতীতে তিনি ছিলেন একজন সাধারণ "জেলে"। আজ তিনি "মাছ রক্ষাকারী"। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিশুই নদীর অববাহিকা রক্ষা ও ব্যবস্থাপনার ক্রমাগত অগ্রগতির সাথে, ইয়াও মিং ছাং চিশুই নদীকে নর্দমা থেকে স্বচ্ছ জলের নদীতে রূপান্তরিত হতে দেখেছেন।
২০০৬ সালের দিকে, লাআই নদীতে কোনো মাছ ছিল না। সেই সময়, ইয়াও মিং ছাং ইউডং গ্রামকমিটিতে কাজ করতে আসেন। তার বাড়ির সামনের নদীটি আবর্জনায় দূষিত ছিল এবং মাছ ও চিংড়ি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। তখন তিনি গোপনে কিছু করার পরিকল্পনা করেন।
পরবর্তীতে, চিশুই নদী অববাহিকার সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনার সাথে, ইয়াও মিং ছাং ২০১৫ সালে একজন নদী টহলদার হন। ৯.৫ কিলোমিটার লাআই নদীর ব্যবস্থাপনা ও সুরক্ষার জন্য দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সুরক্ষাব্যবস্থার ক্রমাগত উন্নতির সাথে সাথে, গ্রামে তার সাথে খণ্ডকালীন ভিত্তিতে নদী ব্যবস্থাপনা ও সুরক্ষাকাজে আরও ৯ জন কর্মী যোগ দেন।
ইয়াও মিং ছাং দেখেছেন, সরকার চিশুই নদীর অববাহিকায় সুরক্ষা ও পরিচালনার ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি তার পিছনে একটি শক্তিশালী সমর্থন উপলব্ধি করেন। তার কাজের ফলে ধীরে ধীরে নদীতে আবর্জনা কমতে থাকে, নদীর জল পরিষ্কার হতে থাকে, আর মাছও দিন দিন বাড়তে থাকে। মাছ সুরক্ষার কাজে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে, চিশুই নদীর প্রতিটি সামান্য পরিবর্তন ইয়াও মিং ছাংকে আনন্দিত করে।
আজকের চিশুই নদীর চারপাশে সবুজ গাছপালা, সুগন্ধি ফুল, পাখি এবং স্বচ্ছ তলদেশে মাছ সাঁতার কাটে। "মসৃণ নদী, স্বচ্ছ জল, মাছের সাঁতার, সবুজ তীর এবং সুন্দর দৃশ্য" ইয়াও মিং ছায়ের প্রচেষ্টায় বাস্তব রূপ লাভ করেছে। (ইয়াং/আলিম/ছাই)