বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ছি ইয়ু’র সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো এবং তাঁর কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনাবো।
ছি ইয়ু ১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর চীনের তাইওয়ান প্রদেশের তাইচুং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন তাইওয়ানের একজন নারী কণ্ঠশিল্পী।
১৯৭৮ সালে ছি ইয়ু ডায়মন্ড এন্ড রাস্ট (Diamonds & Rust) গানটি গেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগীত মহলে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘জলপাই গাছ’ প্রকাশিত হয়। সে বছর তিনি চলচ্চিত্র ইওর স্মাইলিং ফেস (Your smiling face)-এর থিম সং গেয়ে ‘১৬তম তাইওয়ান চলচ্চিত্র গোল্ডেন হর্স পুরস্কারের’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র থিম সং ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে নেন।
বন্ধুরা, এখন শুনুন ছি ইয়ু’র গান ‘সবচেয়ে আপন মানুষ’। এই গানে তাঁর সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন ছি ইয়ু’র ভাই ছি ছিন। গানের কথায় বলা হয়, সময় চলে যায়, কোনো স্মৃতি নেই। বাতাস ও বৃষ্টির পর অবশেষে বুঝতে পেরেছি, রাত যত অন্ধকার হোক, তখন বোঝা যায়, কে সবচেয়ে আপন মানুষ। এই জীবনে তুমি থাকলে খুব ভালো লাগে। যত কঠিন হোক না কেন- কোনো ভয় নেই। হাতে হাত রেখে কঠিনতা থেকে বের হবো, বুঝেছি, তুমি এই বিশ্বে সবচেয়ে ভালো মানুষ। হাজার বছর হলেও এ অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
আচ্ছা, শুনুন এই গান।
প্রিয় বন্ধুরা, এখন শুনুন ছি ইয়ু’র গান ‘বৃষ্টিতে হাঁটি’। গানের কথাগুলো এমন: আমি একাই দুর্দশাগ্রস্ত পথে হাঁটছি। আকাশ থেকে হাল্কা বৃষ্টি পড়ছে। এই একাকী সন্ধ্যায় মনে পড়ছে, আমাদের বিদায় বেলার কথা। ঠিক এমন বৃষ্টির দিনে। যখন আমি একাই বৃষ্টিতে হাঁটতাম, অন্ধকার রাত এই জমিনকে লুকিয়ে রাখে। বৃষ্টি যেন তাঁর চুলের মত, আমাদের মন ধরে রাখে। বুঝতে পারি না, মুখে বৃষ্টি নাকি অশ্রু।
আচ্ছা, শুনুন এই গান।
বন্ধুরা, এখন শুনুন ছি ইয়ু’র গান ‘শহরে চাঁদের আলো’। গানের কথায় বলা হয়, প্রত্যেক হৃদয়ের কোনো স্থানে, কোনো স্মৃতি আছে। প্রত্যেক রাতের প্রত্যেক জায়গায় সবচেয়ে গভীর ভালোবাসা থাকে। বিশ্বের সবকিছু পরিবর্তন, প্রেম ভালোবাসাকে বিচ্ছিন্ন করে থাকে। হৃদয় জানে প্রেম কোথায়, তাহলে দৌড়ে যাও সেখানে। শহরের চাঁদ, স্বপ্নকে আলোকিত করে।
আচ্ছা, শুনুন গানটি।
প্রিয় বন্ধুরা, সুন্দর গান শুনতে শুনতে অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে চলে এলাম, বিদায় নেওয়ার আগে আপনাদের শোনাবো ছি ইয়ু’র গান ‘ঠিক কি না’। আশা করি, গানটি আপনাদের ভালো লাগবে।
শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে চীনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ছি ইয়ু-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলাম এবং তাঁর কণ্ঠে কয়েকটি সুন্দর গান শোনালাম। আশা করি, গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ হলো। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন। পরের আসরে আবারও কথা হবে।
(শুয়েই/তৌহিদ/সুবর্ণা)