‘এক অঞ্চল এক পথে’র সবচেয়ে সুন্দর সাক্ষী
2023-06-05 11:32:54

২০১৩ সালে নোরা লাবোনিও পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন অব চায়নায় (পাওয়ার চায়না) যোগ দেন। অ্যাঙ্গোলার রাজধানী লুয়ান্ডার ৭ লাখ পরিবারের পানি সরবরাহ প্রকল্পে সে প্রথম কাজ করা শুরু করে। এর আগে অন্য কোনো প্রকল্পে সে কাজ করেনি।

২০০৪ সালে পাওয়ার চায়না অ্যাঙ্গোলার বাজারে প্রবেশ করে। ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৮ বছরে কোম্পানিটি ৩ শতাধিক প্রকল্প স্বাক্ষর করে। এসবের মধ্যে রয়েছে রাজপথ, জলসেচ, বিদ্যুৎ, আবাসন নির্মাণ এবং পৌর অবকাঠামো নির্মাণসহ বহু গণপূর্ত প্রকল্প এবং দেশটির বিভিন্ন মহলের ব্যাপক প্রশংসাও অর্জন করেছে পাওয়ার চায়না।

 

পাওয়ার চায়নার সমর্থনে লাবোনিও উহান বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন এবং দু’দেশের সংস্কৃতিকে গভীরভাবে বুঝেন। বর্তমানে তাঁর মতো আরও অনেক মানুষ চীনে অধ্যয়ন করতে আসছেন। লেখাপড়া শেষে তারা যথাক্রমে অ্যাঙ্গোলার সমাজের বিভিন্ন মহলের “মেরুদণ্ডে” পরিণত হন এবং চীন- অ্যাঙ্গোলা বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময়ের সেতু গঠন করেন।

 

এমন মানুষের মধ্যে আরও একজন আছেন, তাঁর নাম ফ্রেড। চীনে লেখাপড়া শেষে তিনি দু’বছর কাজ করেছেন। তারপর নিজের দেশ—কোটে ডি’আইভোরে ফিরে যান। আবিদজান হাইওয়ে প্রকল্প এবং আবোবো শহরের নিষ্কাশন প্রকল্পসহ অনেক প্রকল্পে তাঁর অবদান ছিল।

 

কোটে ডি’আইভোর সাউব্রে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হলো চীন-আফ্রিকা অবকাঠামো নির্মাণ এবং শিল্প-ক্ষমতা সহযোগিতার প্রতীক প্রকল্প। ফ্রেড এর নির্মাণকাজেও অংশ নিয়েছেন। প্রকল্পের বার্ষিক বিদ্যুৎ উত্পাদন পরিমাণ দেশটির জলসেচ বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক তৃতীয়াংশ। দেশটির আয় বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ১ হাজার ৩শ’ স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।

 

“সতর্ক এবং দায়িত্বশীল ভালো সহকর্মী”, “আমোদে এবং নির্ভরযোগ্য ভাল ভাই”এবং “বৈদেশিক বিনিময়ে একটি সুন্দর নামকার্ড”……এগুলি তাঁর সাথে ৭ বছর কাজ করা সহকর্মীদের মূল্যায়ন। চাকরিতে তিনি শুধু ইতিবাচকভাবে স্থানীয় কর্মচারীর সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যবসা চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করেননি, পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন কার্যক্রমে তাঁকে দেখা যায়। তিনি তাঁর পেশাদারিত্ব ও উদ্যম দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করে ফেলেন।

 

পাওয়ার চায়নার আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিন্যাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য আছে। দেশটি বিদেশে পাওয়ার চায়নার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বাজারগুলির অন্যতম, পাশাপাশি কোম্পানির মধ্য, পূর্ব ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের সদর দপ্তর। এ পর্যন্ত আমিরাতে পাওয়ার চায়নার ২ থেকে ৬ সহস্রাধিক কর্মী আছে। এতে চীনা কর্মী ২৫ শতাংশ এবং বিদেশী কর্মী ৭৫ শতাংশ।

 

পাওয়ার চায়নায় যোগ দেয়ার পাঁচ বছরে আমনা আবুধাবি তাওইলাহ সমুদ্রের জল বিশুদ্ধিকরণ প্রকল্প, ইউএই বায়ুবিদ্যুত দৃষ্টান্তমূলক প্রকল্প এবং ইপিসিসহ বেশ কিছু প্রকল্পের কার্যকারিতা স্বচক্ষে দেখেছেন তিনি। প্রকল্প সমন্বয়কারী থেকে প্রতিনিধি অফিসের বিপণন সহকারী পর্যন্ত এক একটি প্রকল্পের অভিজ্ঞতা তাঁর দ্রুত বড়ো হওয়াটাকেও স্বচক্ষে দেখেছে।

 

এক একটি সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাস্তবায়িত, স্থানীয় জনগণের হৃদয় জয় এবং যৌথ নির্মাণ ও যৌথ জয় নিশ্চিত হয়। এসব পাওয়ার চায়নার উচ্চমানের “এক অঞ্চল এক পথ” নির্মাণের সবচেয়ে সুন্দর সাক্ষী। (প্রেমা/এনাম)