মার্কিন সিনেটেও ঋণসীমা বিল গৃহীত
2023-06-02 19:40:33

জুন ১: অবশেষে মার্কিন সিনেটেও ফেডারেল সরকারের ঋণসীমা ও বাজেটসংশ্লিষ্ট বিলটি গৃহীত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিনেটে বিলটির পক্ষে ৬৩টি ও বিপক্ষে ৩৬টি ভোট পড়ে। এখন বিলটি প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর করলেই আইনে পরিণত হবে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এ নিয়ে ১০৩ বার মার্কিন কংগ্রেস সরকারের ঋণের সীমা বাড়ালো। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ঋণের সীমা ৩১.৪৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা জিডিপির ১২০ শতাংশের বেশি। এর মানে, এর বেশি ঋণ সরকার নিতে পারবে না। সরকার ইতোমধ্যেই এ পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়ে ফেলেছে এবং অর্থমন্ত্রীর ভাষ্য অনুসারে, ৫ জুনের পর বিভিন্ন বিল পরিশোধের জন্য সরকারের হাতে কোনো অর্থ থাকবে না। তখন কার্যত দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে।

বস্তুত, সম্ভাব্য সেই পরিস্থিতি ঠেকাতেই, নতুন বিলে ঋণসীমাসংক্রান্ত বিধি ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে এবং ২০২৪ ও ২০২৫ সালের ব্যয়ের সীমাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মানে, সরকার আরও ঋণ নেবে। মার্কিন কংগ্রেসের সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে কংগ্রেস ২০ বারের বেশি ঋণের সীমা সমন্বয় করেছে।

মার্কিন সরকার বিংশ শতাব্দির আশির দশকে প্রচুর ঋণ করে। ১৯৭৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২০টি দীর্ঘকালীন বা সংক্ষিপ্ত সরকারি "শাটডাউন" হয়েছে ঋণের সীমা ইস্যুতে। "ফাইনান্সিয়াল টাইমস"-এর প্রধান অর্থনৈতিক ভাষ্যকার মার্টিন উলফ উল্লেখ করেছেন, দুই দলের সৃষ্টি করা অযৌক্তিক প্রহসন দেশের বিশ্বাসযোগ্যতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই ধরনের প্রহসন বারবার মঞ্চস্থ হতে থাকলে, মার্কিন আর্থিক ব্যবস্থার পতনের আশঙ্কা বাড়তে থাকবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন গবেষণা সংস্থা ‘ফেডারেল বাজেট অ্যাকাউন্টিবিলিটি কমিটি’র সভাপতি মায়া ম্যাকগিনেস বলেছেন, "আমরা ঋণের প্রতি আসক্ত।" (ইয়াং/আলিম/ছাই)